ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্বোধনী দিনে ভারত বাংলাদেশ আজ মুখোমুখি

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

উদ্বোধনী দিনে ভারত বাংলাদেশ আজ মুখোমুখি

মিথুন আশরাফ ॥ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আজ প্রথমবারের মতো টি২০ ফরমেটের এশিয়া কাপ শুরু হতে যাচ্ছে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রাত সাড়ে সাতটায় বল গড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যাবে ১৩তম এশিয়া কাপের আসর। এ আসরে অংশ নেবে স্বাগতিক বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দল সংযুক্ত আরব আমিরাত। মঙ্গলবার দুপুরে যখন নগরীর একটি হোটেলে এশিয়া কাপের ট্রফি উন্মোচন করা হলো, আয়োজনটি বড্ড বেমানানই লাগল। পাকিস্তান দল যে এখনও বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়নি। আজ আসবে। তাই বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, ফিটনেস সমস্যার কারণে আজ ম্যাচে না খেলার সংশয়ে থাকা ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা ও আরব আমিরাতের অধিনায়ক আমজাদ জাভেদ ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলায় পোজ দিলেন। তাতে থাকলেন না পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। তাতে বাংলাদেশ বা ভারতের ক্রিকেটারদের কী আসে যায়। তাদের তো এসব নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামানোর সময় নেই। আজ যে ম্যাচ খেলতে নামতে হবে। দুই দলই শুভ সূচনা কিভাবে করা যায়, সেই ভাবনায় মশগুল। অবশ্য ম্যাচটিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকছে ভারতই। টি২০তে ভারত অনেক শক্তিশালী দল। একবার টি২০’র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ২০০৭ সালে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপেই শিরোপা ঘরে তুলেছে। টি২০ ক্রিকেটটাও দারুণ রপ্ত করে নিয়েছে দলটি। বাংলাদেশে আসার আগে ভারতের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে। দুটিই তিন ম্যাচের সিরিজ ছিল। অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। আর শ্রীলঙ্কাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, ভারত কতটা শক্তিশালী দল। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মতো দল পাত্তা পায়নি। ৬৩ টি২০ ম্যাচ খেলে ৩৬ ম্যাচেই জিতেছে ভারত। হেরেছে ২৫টিতে। ১ ম্যাচ টাই হয়েছে (এ ম্যাচটিও ‘বল আউটে’ জিতেছে ভারত)। আর ১ ম্যাচের রেজাল্ট হয়নি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতেছে। দুটি ম্যাচই হয়েছে বিশ্বকাপের আসরে। ২০০৯ সালে নটিংহ্যামে ২৫ রানে ও ২০১৪ সালে মিরপুরে ৮ উইকেটে জিতেছে ভারত। সেই তুলনায় বাংলাদেশের টি২০ ইতিহাস খুবই দুর্বলতার সাক্ষী দিচ্ছে। এ ফরমেটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ তো হেরেছেই বাংলাদেশ, মোট ৫০ ম্যাচ খেলে জিতেছে ১৫ ম্যাচ। হার হয়েছে ৩৪! ১ ম্যাচের রেজাল্ট হয়নি। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ যে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ চার ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলল, সেটিতেও নেই সাফল্য। তা ভাগাভাগি করে নিতে হয়েছে। সিরিজের ফল হয়েছে ২-২। যে জিম্বাবুইয়েকে ওয়ানডেতে অনায়াসেই হারায় বাংলাদেশ, সেই জিম্বাবুইয়ের সঙ্গেও টি২০তে পুরোপুরি কুলিয়ে উঠতে পারে না। সেখানে ভারত তো অনেক শক্তিশালী দল। এরপরও আশা থাকে। সেই আশা বাংলাদেশকে দেখাচ্ছে ২০১৫ সালটি। এই বছরটিতে যে সোনালি সাফল্য মিলেছে, সেই আত্মবিশ্বাসে কিছু হলেও হয়ে যেতে পারে। ওয়ানডেতে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে হারানোর যে সুখ স্মৃতিগুলো, সেগুলো সাহস জুগিয়ে দিতে পারে। তাতে করে ভারতকে আজ হারিয়েও দিতে পারে বাংলাদেশ। বাস্তব বলছে ‘না’। তবে স্বপ্ন, আশা, প্রত্যাশার জায়গা ‘হ্যাঁ’ টাকেই বার বার সামনে তুলে ধরছে। শেষপর্যন্ত মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজ, সাব্বিররা সেই আশার প্রতিফলন ঘটিয়ে দিতে পারলেই হয়। তাহলেই শুভ সূচনাও হয়ে যেতে পারে। সেই আশা নিয়েই আজ টি২০ ফরমেটের প্রথম এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।
×