ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রাইস্টচার্চে জয়ের পথে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ক্রাইস্টচার্চে জয়ের পথে অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে জয়ের পথে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য ২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৭০ রান করেছে সফরকারীরা। আজ শেষ দিনে চাই আর ১৩১। ২৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন জো বার্নস, ১৯ রানে তার সঙ্গী উসমান খাজা। প্রথম ইনিংসে অতিথিদের সংগ্রহ ছিল ৫০৫ রান। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড অলআউট হয় ৩৭০ ও ৩৩৫ রানে। অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকুকলামের বিদায়ী ম্যাচে কিউইদের পক্ষে হার এড়ানোটা প্রায় অসম্ভব। দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে কাল আম্পায়ারের এক সিদ্ধান্ত ঘিরে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে। এজন্য অবশ্য যতটা না আম্পায়ারের ভুল, তার চেয়ে ঢের বেশি অস্ট্রেলীয় ফিল্ডারদের উগ্রতাই দায়ী! লাঞ্চের ঠিক আগের ওভারে ঘটে দিনের আলোচিত ওই ঘটনা। দারুণ খেলতে থাকা কেন উইলায়মসন জস হ্যাজলউডের ইয়র্কারে পরাস্ত হলে অস্ট্রেলীয় ফিল্ডারদের পক্ষ থেকে এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন ওঠে। ফিল্ড আম্পায়ার মার্টিনেজ সেটি নাকচ করে দেন। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ রিভিউ নিলে টিভি আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থও ওই সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। হট-স্পট দেখে তার মনে হয়েছে বল ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। কিন্তু মাঠের বড় পর্দায় দেখে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা দাবি করেন, হ্যাজলউডের বলটি উইলিয়ামসনের ব্যাটের কোথাও লাগেনি। ব্যাট মাটিতে লাগার কারণেই হট-স্পটে ওই নমুনা দেখা যায় বলে মনে করেন তারা। অতিথি ফিল্ডাররা আম্পায়রকে ঘিরে ধরলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছুটা হৈচৈও হয়! থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেয়ার পর ফিল্ড আম্পায়ার র‌্যানমোর মার্টিনেজের দিকে ছুটে গিয়ে রীতিমোত মুখ খারাপ করে বসেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য একটা গালি দিয়ে বসেন! সঙ্গে জানতে চান, ‘টেলিভিশন আম্পায়রটা আবার কে?’ শেষ পর্যন্ত উইলিয়ামসন আউট হয়েছেন নার্ভাস নাইনটিতে। ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি কিউইদের ভবিষ্যত অধিনায়ক। ৯৭Ñএর মধ্য দিয়ে গ্রেট শচীন টেন্ডুলকর ও এ্যালিস্টার কুকের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে মাত্র ২৫ বছর (২৫ বছর ১৯৯ দিন) টেস্টে ৪ হাজার রানের ল্যান্ডমার্কে পা রাখেন উইলিয়ামসন। শেষদিকে ম্যাট হেনরির ৬৬ রান নিউজিল্যন্ডকে দুই শ’ লিড এনে দেয়। বিজে ওয়াটলিং ৪৬, কোরি এ্যান্ডারসন ৪০ ও আগের দিন টম লাথামের ৩৯ রান উল্লেখ্য। অসিদের হয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পথে ৫৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন পেসার জ্যাকসন বার্ড। জেমস প্যাটিনসসনের শিকার ৪। তবে সবকিছু ছাপিয়ে দিন শেষে আলোচনায় ছিল আম্পায়ারিংয়ের ওই ঘটনা। প্রশ্নবিদ্ধ মাঠে অস্ট্রেলীয়দের আচরণ। ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে ক্ষোভ জানিয়েছেন দুই সাবেক তারকা মার্ক রিচার্ডসন ও ইয়ান স্মিথ। রিচার্ডসনের মতে, অসিদের আচরণ ‘অসহিষ্ণু’। আর ইয়ান স্মিথ বলেন, ‘অসিদের বোঝা উচিত অন্যায়ভাবে অন্যের জন্য খাপ থেকে তলোয়ার বের করলে, নিজেদেরও সেই তলোয়াড়ে কাটা পড়তে হয়’। তার মতে, ‘পুরো বিষয়টাতে টিভি আম্পায়ারকে গালমন্দ করার কোন মানে হয় না। শেখ জামালের বড় হার ॥ এএফসি কাপ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোন কিছুতে সফল হতে গেলে কঠোর অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু সেই অনুশীলন-প্রস্তুতিতে যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে সাফল্য লাভে সংশয় রয়েই যায়। শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডের বেলাতেও তাই হয়েছে। এএফসি কাপের চূড়ান্ত পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক টেম্পাইন রোভার্সের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব। মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের জালান বেসার স্টেডিয়ামে তারা ৪-০ গোলে হারে স্বাগতিক দলের কাছে। জামালের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। প্রতিপক্ষ ফিলিপিন্সের সেরেস লা সাল্লে এফসি। দলে নেই তেমন কোন তারকা ফুটবলার। তড়িঘড়ি করে জোড়াতালি দিয়ে দল গড়ে এএফসি কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে সিঙ্গাপুরে যায় শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব। এর খেসারত তাদের দিতে হয়েছে বাজেভাবে হেরে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচের শুরু থেকেই চেপে ধরে টেম্পাইন্স। গ্রুপ ‘ই’র প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুর লীগের রানার্সআপ এই দলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি জামাল। বরং ঘরের মাঠে অগোছাল জামালকে নিয়ে ছেলেখেলা করে তারা! ম্যাচের ২ মিনিটেই গোল হজম করে বসে জামাল। মেহমেটের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ক্রস থেকে চমৎকার গোল করেন তিনি (১-০)। ৩৩ মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আবু সুজাত (১-০)। ৫২ মিনিটে ইউনুসের গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০ তে। ৫৩ মিনিটে ডিফেন্ডার তপু বর্মণের আত্মঘাতী গোলে আবারও পিছিয়ে পড়ে জামাল (৩-০)। এ যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া! ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকেই পড়ে জামাল। এরপর আর কোন গোল না হলেও বড় হারেই শুরু হয় জামালের এএফসি কাপের মিশন। প্রস্তুতিটা খুব একটা ভাল ছিল না শেখ জামালের। বলতে গেলে প্রস্তুতি ছাড়াই এএফসি কাপে খেলতে যেতে হয়েছে দেশের শীর্ষ ক্লাবটিকে। বিভিন্ন ধকল কাটিয়ে উঠে দল সাজিয়ে সবাইকে নিয়ে অনুশীলনটা খুব বেশিদিন করা হয়নি ধানম-ির ক্লাবটি। তাই দলীয় বোঝাপড়ার অভাবে ছিল সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে স্বাগতিকরা।
×