ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আলোচনায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আলোচনায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে তুলনা করা যায় কেবল ফুটবলে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের সঙ্গে। যে দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে থাকে গোটা বিশ্ব। রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্বের কারণে দেশ দুটির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ দীর্ঘদিন বন্ধ। ক্রিকেটপ্রেমীদের তাই কেবল বৈষয়িক টুর্নামেন্টগুলোতেই এমন ম্যাচ দেখার সৌভাগ্য হয়। যেমনটি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে গত বিশ্বকাপে। এশিয়া কাপে ফের মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। মিরপুরে শনিবার অনুষ্ঠিত হবে উন্মদনার ওই ম্যাচ। ‘এশিয়ার বিশ্বকাপ’ খ্যাত আয়োজনটি প্রথমবারের মতো টি২০ ফরমেটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার অর্থ, দুই বছর পর টি২০তে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বী দু-দেশ। টি২০ বিশ্বকাপের আগে এ লড়াইকে তাই সম্পর্কন্নোয়নের দ্বৈরথ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার সর্বশেষ টি২০ ম্যাচটি হয়েছিল ২০১৪ সালের ২১ মার্চ, ঢাকায় টি২০ বিশ্বকাপে। ২০০৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক টি২০’র চর্চা শুরু হলেও এ পর্যন্ত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দল দুটি একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে মাত্র ৬ বার, যার ৪ বারই বিশ্বকাপে। এই ৬ ম্যাচের রেকর্ড হাতড়ে দেখলে শুধু ভারতেরই জয়জয়কার। যেখানে ভারতের জয় ৫ ও পাকিস্তানের ১। যে কোন ধরনের ম্যাচে এখন পর্যন্ত আইসিসির কোন টুর্নামেন্টে ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। সেই ১৯৯২ থেকেÑ ওয়ানডে, কিংবা টি২০ এখনও পর্যন্ত কোন ফরমেটের বিশ্বকাপেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখেনি পাকিস্তান! ২০১৫ পর্যন্ত ওয়ানডে ও টি২০ বিশ্বকাপে মোট ১০ ম্যাচ খেলে ৯টিতেই হেরেছে তারা। কেবল ২০০৭ প্রথম টি২০ বিশ্বকাপের লড়াইটা ‘টাই’এ শেষ হয়েছিল। আর টি২০তে ২০১৪ সালে দেখা হওয়া সর্বশেষ ম্যাচটিতেও পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে একচেটিয়াভাবেই হারিয়েছিল ভারত। যদিও ওয়ানডে ফরমেটে আগের এশিয়া কাপগুলোয় বেশ কয়েকবার ভারতকে হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে পাকিস্তানের। কিন্তু আধুনিক টি২০ ফরমেটে ভারতের সামনে বরাবরই অসহায় পাকিস্তান। এবার অবশ্য সেই ধারা বদলাতে মরিয়া দলটি। অতীতের গেরোটা খুলতে চায় তারা। কোচ ওয়াকার ইউনুসের বিশ্বাস, তারুণ্যনির্ভর দল সেটা পারবে। ‘আমি খুব ভাল করেই জানি ভারতের বিপক্ষে বড় মঞ্চে আমরা খুব ভাল করি না। কিন্তু এবার আমাদের দলটা তরুণ। তারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে যে কোন দলকেই হারানো সম্ভব। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ দিয়েই পরিসংখ্যানের চাকটা উল্টো দিকে ঘোরাতে চাই।’ এশিয়া কাপে হট ফেবারিট ভারত। অস্ট্রেলিয়া সফরে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-০তে ‘হায়াইটওয়াশ’ করার পর ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে ২-১এ হারিয়ে বাংলাদেশে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। আছে আইসিসি টি২০ র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। সুতরাং শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বে পাকিদের ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ হবে না। যদিও বিরাট কোহলির কাছ থেকে সমীহ পাচ্ছেন তারা। সেনসেশনাল ভারতীয় ব্যাটসম্যান বলেন, ‘টি২০তে দলগুলোর মধ্যে শক্তির ব্যবধান খুবই কম। আর প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তানও ভাল করার সামর্থ্য রাখে। হ্যাঁ, সম্প্রতি দুটি সিরিজের সাফল্য আমাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে। তবে নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই। এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে স্বাগতিক বাংলাদেশও শক্ত প্রতিপক্ষ। মাঠে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে।’
×