ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে প্রশ্নোত্তর

বিমানবন্দরে লাগেজ খোয়া যাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনা ॥ মেনন

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

 বিমানবন্দরে লাগেজ খোয়া যাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনা ॥ মেনন

সংসদ রিপোর্টার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ খোয়া যাওয়ার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ বলে মন্তব্য করলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার ব্যাগ বা লাগেজের বিশাল কর্মকা-ের মধ্যে হ্যান্ডলিং সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যাগেজ হারানোর মতো দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সরকারী দলের সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, এ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রীদের ব্যাগেজ ক্ষতিগ্রস্ত বা খোয়া যাওয়া ব্যতিক্রম ঘটনা। যাত্রীদের মালামাল পরিবহনকালে হ্যান্ডলিং সীমাবদ্ধতার কারণে কদাচিৎ ভুল গন্তব্যে যাওয়া বা শনাক্তহীন হিসেবে যাত্রাস্থলে থেকে যায়। এ সকল ব্যাগেজ সবসময়ই একশ ভাগ সিস্টেমের মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটনাগুলোর আন্তর্জাতিক ব্যাগেজ ক্ষতিপূরণ নিয়মানুযায়ী নিষ্পত্তি করা হয়। তিনি জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার যাত্রীর ২৫ থেকে ৩০ হাজার ব্যাগ বহন করা হয়ে থাকে। এই বিশাল কর্মকা-ের মধ্যে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এ সকল ঘটনাও অবশ্যই কাম্য নয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ জাতীয় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্নভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। সম্প্রতি বিগত তিন মাসের লাগেজ হারানোর পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, জানুয়ারি ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ১৩টি, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ১৪টি এবং নবেম্বরে ৯টি লাগেজ হারিয়েছে। সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরে স্পর্শকাতর স্থান বা এলাকাগুলোতে ১৯০টি ডিজিটাল সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বিমানবন্দরে আগত সকল যাত্রী ও অতিথিসহ বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচল ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হয়। এছাড়াও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক টার্মিনাল এবং বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত ১২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে এলাকায় তিনটি সার্ভিল্যান্স ক্যামেরাও (আইপি বেসড) বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
×