ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জ্বালাও-পোড়াওয়ের দায় বিএনপি নেত্রীকে নিতে হবে ॥ নাজমুল হুদা

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জ্বালাও-পোড়াওয়ের দায় বিএনপি নেত্রীকে নিতে হবে ॥ নাজমুল হুদা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ একত্রিশ দলীয় জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, বিগত সময়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন যে অবরোধ কর্মসূচী দিয়েছিলেন এবং এতে যে জ্বালাও পোড়াও হয়েছে তার দায়দায়িত্ব তাকে নিতে হবে। অবরোধ কর্মসূচী যেহেতু হিংসাত্মক, ধ্বংসাত্মক কর্মসূচীতে পরিণত হয়েছিল তার দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। নাজমুল হুদা বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে রাষ্ট্রের ক্ষমতার মালিক হবে জনগণ। ভোট হচ্ছে জনগণের শক্তি। ভোট দিতে না পারলে জনগণ শক্তিহীন। বিদেশী শক্তি সন্ত্রাসীরা যদি কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে সে সরকার কেন জনগণের দিকে তাকাবে। অতীতে দেখেছেন আপনার ভোট অন্যজন দিয়েছে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছে। ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। নাজমুল হুদা বলেন, আগেই আমি বলেছিলাম দুই নেত্রীকে এক টেবিলে বসা দরকার। সদিচ্ছা থাকলে দুই নেত্রী বাংলাদেশকে বিশ্ব মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে পারেন। নাজমুল হুদা বলেন, ভাল থেকে মন্দ সব ক্ষমতা এখন এক হাতে। এক হাতের এ ক্ষমতাকে প্রশংসনা না করে পারছি না। এখন রাস্তাঘাটে অপকর্ম হয় না। পেট্রোলবোমা নেই। প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাব। রাস্তায় তিনি শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। আমাদের তাঁর উপর নির্ভর করতে হবে। তাঁর হাতেই সমস্ত ক্ষমতা। আমরা ভোটাধিকার মানবাধিকার বিষয়ে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে জনমত গড়ে তুলে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি উপলব্ধি করাতে হবে। বিএনপি ছাড়ার প্রসঙ্গে নাজমুল হুদা বলেন, আমি সহিংস রাজনীতিতে ইস্তফা দিয়ে চলে এসেছি। বিএনপির ৯ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের একজন আমি। ১২ সদস্যের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমি। বিশ বছর এমপি ছিলাম। ১৯ বছর ছিলাম মন্ত্রী। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলাম। তারপরও কেন বিএনপি ছাড়লাম। কারণ আমি বলেছিলাম ৫ জুন প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপে আহ্বান করুন। না করলে ৬ জুন আমি পার্টি থেকে পদত্যাগ করব। আমি কথা রেখেছি। সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ। আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন জাফর উল্লাহ, মহাসচিব মাওলানা আবেদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা এসএম মোর্তুজা হোসেন, মনোয়ারা বেগম হেনা, ইকবাল হোসেন, মিজানুর রহমান মজুমদার, সৈয়দ আমানউল্লাহ, আজিমউদ্দিন অভি, এসএম আলী প্রমুখ।
×