ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট

পার্বতীপুরে প্রতিবাদের ঝড় ॥ মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পার্বতীপুরে প্রতিবাদের ঝড় ॥ মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ২২ ফেব্রুয়ারি ॥ প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেশকিছু জাতীয় দৈনিকে মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় পার্বতীপুরে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পূজা উদযাপন কমিটি, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সোমবার বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে তাদের প্রিয় নেতার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও বদনাম দেয়ায় প্রতিবাদ জানায়। এ উপলক্ষে সোমবার দুপুর ২টায় স্থানীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতৃত্বে মানববন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জড়ো হন। বাস, ট্রাক, রিক্সা, ভ্যান অটোবাইক চালকরা সমাবেশস্থলে আসেন। এমনকি শহরের হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ করে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিলে মানববন্ধন বিশাল আকার ধারণ করে। এতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি স্বপন কুমার সাহা ছাড়াও শচীন্দ্রনাথ সাহা, নীলকান্ত মহন্ত, দীপেশ চন্দ্র রায়, কৈলাস প্রসাদ সোনার বিকাশকান্তি রায় প্রমুখ বক্তব্য দেন। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে তারা বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধনে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তারা বিস্মিত হয়েছেন। তারা বলেন, মিথ্যা বক্তব্য দিলে কি প্রতিক্রিয়া হয় পার্বতীপুরে এসে তা দেখে যান। মান সম্মানহানির জন্য যে কোন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ন্যায়বিচার প্রত্যাশায় আইনের আশ্রয় নিতেই পারেন। মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সেটাই করেছেন। এটা তার অপরাধ হতে পারে না। সাত দিনের মধ্যে উকিল নোটিস প্রত্যাহার না করলে আবারও আন্দোলন শুরু হবে। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশে। সৌহার্দ্য সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে এ ধরনের উস্কানিমূলক ও হুমকির ভাষায় বক্তব্য দিয়ে তারা কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চান তা আমাদের বোধগম্য নয়। একই সংগঠনের হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তারপরও তারা ঘটনাস্থলে সরেজমিন সবকিছু দেখে মন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন। মন্ত্রীকে এমদাদুল ইসলাম চৌধুরীর কাল্পনিক খালাত ভাই বানিয়ে ভূমিহীন হিন্দু ৫৫ পরিবারের জায়গা দখল করছেন- এমন বক্তব্য দেয়া হাস্যকর। এ ছাড়াও পদ্মাবতী দেবীকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উল্লেখ করে নিজেরা মিথ্যার জালে জড়িয়েছেন। একই সময়ে আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ সমাবেশ করে স্থানীয় শহীদ মিনারে। পৌরসভাসহ ১০ ইউনিয়ন থেকে আগত দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীতে শহীদ মিনার চত্বর ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। দলের মুখপাত্র হিসেবে হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য অধ্যক্ষ নূরুল আমিনকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চ-িপুর মৌজায় ২৫.৭৮ একর সম্পত্তি এমদাদুল ইসলাম চৌধুরীর কেনা। ১৯৬৭ সাল থেকে সাবজজ থেকে সুপ্রীমকোর্ট পর্যন্ত রেকর্ড সংশোধনী মামলা চলার পর ২০০২ সালে তার পক্ষে মালিকানা হিসেবে চূড়ান্ত রায় হয়। এ রায়ের পরে যে কোন ব্যক্তির এতে হস্তক্ষেপ করার কী সুযোগ থাকে? মোস্তাফিজুর রহমান গণমানুষের নেতা। অন্যায়ভাবে কোন পক্ষে পক্ষ নিতে পারেন না। যারা এসব কাজে লিপ্ত হয়েছে তাদের দৃশ্যপট থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। দলের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, আমজাদ হোসেন, অধ্যক্ষ আঃ রাজ্জাক, সৈদুল আলম শান্ত প্রমুখ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
×