ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

একুশে ফেব্রুয়ারি জনকণ্ঠ ভবনে এ লেখা লিখতে বসে কিছুক্ষণ থমকে থাকি। অফিসে আসার সময় আজ সড়কে বিশেষ ভিড় দেখিনি। অন্যদিন ঢাকার রাজপথ রাজত্ব করে প্রাইভেটকার। আজ সকালে সেই প্রাইভেট গাড়িরই সংখ্যা অতিসামান্য। ভাবছিলাম একুশের পথ ধরে স্বাধীনতার সুফল এটাও যে লাখ লাখ মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি হাঁকাতে পারছেন। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে তাদের ভেতর দেশের প্রতি কর্তব্যবোধ, আপন সংস্কৃতির জন্য দায়িত্ববোধ কতখানি রয়েছে সেটা নিয়ে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত থাকি। শুক্র-শনির সঙ্গে রবিবার একুশে ফেব্রুয়ারির কারণে ছুটি হওয়াতে ঈদের ছুটির মতো ৩ দিনের ছুটি পেয়ে গেছেন ঢাকার বহু মানুষ। তাদের একটা বড় অংশ ঢাকার বাইরে চলে গেছেন বলে ক’দিন ধরে ঢাকায় ট্রাফিক জ্যাম কম। কিন্তু শহীদ দিবসে সকাল বেলায় রাস্তা এতটা সুনসান কিভাবে? বিশেষ করে ব্যক্তিগত গাড়ির স্বল্পতা দেখে অুনমান করি, গাড়িঅলারা সব বিশ্রামে আছেন এই ছুটির দিনে। বিকেলে বইমেলায় যাব ভেবেছিলাম। আজ ওই এলাকাতেই ভিড় হওয়ার কথা। জনকণ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কাজ চূড়ান্ত করে আমরা যখন বেরিয়ে পড়ি তখন রাত ৮টা বেজে গেছে। তাতে কি। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন বইমেলা একঘণ্টা বেশি খোলা থাকে। শেষ হবে রাত ৯টায়। দেখি শাহবাগের সিগন্যালেই কিছুটা গাড়ির জটলা। অথচ আশপাশের সড়কে যানবাহনের তেমন চাপ নেই। তবে আছে মানুষ। বিশেষ করে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা। এটাই স্বস্তিদায়ক চিত্র। তবে বইমেলায় বই রচয়িতা তথা লেখকদের ভেতর কারও কারও কর্মকাণ্ড দুঃখজনক। তরুণ কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক আফসানা বেগম দেশের বাইরে থাকেন। বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন এভাবে- বিকেলে আসছি বইমেলায়... এ রকম কথা লেখার সাধ হয়। লেখা হয় না। তবে প্রতিদিন বইমেলার ছবি আর রিপোর্টিঙের ভেতর দিয়ে সেখানে না গিয়ে পারাও যায় না। যাই আর মন খারাপ করে ফিরে আসি। লেখকেরা বই বুকে ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রিপোর্টারের মাইক্রোফোনের দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন... এটাই লেখকের প্রতিকৃতি? কখনো লজ্জায় চ্যানেল বদলাতে হয়। রিপোর্টার থামিয়ে দিচ্ছেন অথচ আবেগী লেখকের কথা বন্ধ হচ্ছে না। ভাবটা এমন যে অনেক থাপ্পড় খাই কিন্তু অপমানিত হই না।... ভাষার মাসে ভাষা নিয়ে ক’ছত্র ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে এলো। ভাষার মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এখানে সামান্য ক’টি কথা বলতে চাই। প্রতিক্ষণ জীবনধারণের জন্য পানি ও বাতাসের অপরিহার্যতার সমতুল্য মাতৃভাষা। আবার জীবনের দাবি বা প্রয়োজনকে স্বীকার করে নিয়ে মাতৃভূমির নাড়ি ছেঁড়া ধন যখন ভিন্ন ভাষা পরিমণ্ডলে গিয়ে পড়ে এবং সে-ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে গ্রহণ করে, তখনো তার সত্তার গভীরে জলহাওয়ার মতোই জ্বলজ্বলে থাকে মাতৃভাষাই। মাতৃভাষা বা মায়ের ভাষা মানুষ পায় জন্মসূত্রে; জন্মের পর যে ভাষা আমাদের কানে পশে, যে ভাষায় বুলি ফোটে এবং জ্ঞান হয়, যে ভাষাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের শেখা হয়ে যায় সেই তো আমাদের আপন ভাষা। মা আর মাসি যেমন এক নয়, তেমনি মায়ের ভাষা ও পরভাষা এক হতে পারে না। তাই মাতৃভাষার উচ্চতার কাছে অন্যভাষা নিশ্চিতরূপেই খর্বকায়। সে কারণে সত্যিকারের জ্ঞানার্জনের জন্য মাতৃভাষার বিকল্প কিছু হতে পারে না। জ্ঞানের পূর্ণতার জন্যেও নয়। অথচ পৃথিবীর কোন একটি জাতির কোন একটি ভাষার বইয়ে তো আর বিশ্বের সব জ্ঞান-বিজ্ঞান মেলে না। সক্রেটিস, আইনস্টাইন, শেক্সপিয়ার, জেমস জয়েস, রবীন্দ্রনাথ- এঁদের মায়ের ভাষা এক নয়। তবে বিশ্বজননীর সন্তান এঁরা সবাই, সে অর্থে তাঁদের মাতৃভাষা আবার অভিন্ন- সেটি মানবভাষা, মানবজাতির জ্ঞানের ভাষা। বিশ্বজ্ঞানের যে নিরন্তর প্রবাহ তাতে এঁরা এবং এমনি হাজারো মনীষী জ্ঞান সংযুক্ত করে গেছেন। সেসব জ্ঞান পরিপূর্ণরূপে অর্জনের মাধ্যম মাতৃভাষাই; বাঙালীর কাছে বাংলা, রুশীর কাছে রুশ। পাশ্চাত্যের এক ভাষাবিদ বলেছিলেন, একভাষিতা নিরক্ষরতার মতোই মন্দ, কারণ তা বৈচিত্র্যকে অস্বীকার করে। কথাটাকে উপেক্ষা করা চলে না। যদিও পাশাপাশি এ সত্যও অনস্বীকার্য যে, মাতৃভাষার সমব্যবহারেই আমাদের অপর ভাষার জ্ঞান গ্রহণ করা সমীচীন। কারণ আপন ভাষার উচ্চতাকে ছুঁতে অক্ষম ভিনভাষা। জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়াসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা বুঝে নিতে পারব তারা মাতৃভাষার উচ্চতার গুরুত্ব অনুধাবনে সমর্থ হয়েছিল বলেই সেই উচ্চতাকে আশ্রয় ও অবলম্বন করেই তারা এগিয়ে গেছে সামগ্রিক উন্নতির সোপানে। আপন উচ্চতাকে ধারণ করে আপনার উন্নতি- এটাই মোক্ষম কথা। অন্যরকম দুটি বই আজ (মঙ্গলবার) পাঠক যখন এ লেখা পড়ছেন, জনকণ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যার দ্বিতীয় পর্ব বের হলো। গতকাল প্রথম পর্বের দুজন লেখকের দুটি বই নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। এরা হলেন- মাসুদ আহমেদ ও সৈয়দ আনওয়ারুল হাফিজ। দুটি বইই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, যদিও এই দুটি বই আমাদের বইমেলা প্রতিবেদকদের (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক) দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। আমার ঘোর সন্দেহ রয়েছে বইমেলা যারা কাভার করেন তাদের নিরানব্বই ভাগ উভয় লেখকের নাম শুনেছেন কিনা। যা হোক, গত বছর জনকণ্ঠে সাহিত্যপাতায় চার শুক্রবার একগুচ্ছ নির্বাচিত বই নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কাজের চাপে বইমেলা বিশেষ যাওয়া হয়নি, আর বিশেষ বই নিয়ে লেখা তো দূরের কথা। তাহলে এখন যে দুটো বই নিয়ে কথা বলছি, সেটা কিভাবে সম্ভব হলো- এমন প্রশ্ন পাঠকেরা করতেই পারেন। বইমেলায় না গেলেও অনলাইনের মাধ্যমে সদ্য মেলায় আসা নতুন বইয়ের দিকে আমার চোখ রাখি প্রতিদিনই; আর সংবাপত্রের বিশেষ আয়োজনের দিকেও লক্ষ্য রাখি। তবে এই দুটো বইয়ের ব্যাপার আলাদা। গত মাসের কথা। বনেদি প্রকাশনা সংস্থা থেকে সদ্য বইটি প্রকাশিত হয়েছে। লেখক মাসুদ আহমেদ (দেশের অডিটর জেনারেল) এক কপি বই পাঠিয়ে দিলেন। এক অনুষ্ঠানে তিনি কথায় কথায় বলেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এক খুনির (ফাঁসিতে ঝোলা) জীবন নিয়ে তিনি উপন্যাস লিখছেন। আমি চমকে উঠেছিলাম। তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম বই বের হলে জানাতে। ‘বিজন নীল জলে’ এক নিঃশ্বাসেই পড়ে ফেললাম। আর সৈয়দ আনওয়ারুল হাফিজ ‘রূপে তোমায় ভোলাবো না’ উপন্যাসখানি লিখছেন কয়েক বছর ধরে। এর প্রতিটি পর্ব লেখা শেষ করে আমাকে পড়তে দিয়েছেন। ভদ্রলোক পঁচাত্তর পেরিয়ে উপন্যাস লিখতে শুরু করেছেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস পড়েই আলোড়িত হই। পরের বইটাও মুগ্ধ করে। এ উপন্যাসের নায়ক একজন পর্বতারোহী। পর্বতারোহনের খুঁটিনাটি বিষয় জানার জন্য লেখক পরিশ্রম করেছেন। আমাদের দুই এভারেস্টবিজয়ী মুসা ও মুহিতের ভেতর সম্পর্ক যাই থাকে, হাফিজ সাহেবের সঙ্গে ওই দুজনারই চমৎকার বন্ধুত্ব। ভিন্ন ভিন্ন সন্ধ্যায় দুটি সেশনে মুসা ও মুহিত তাঁদের এভারেস্ট জয়ের ক্লিপিংস দেখান আমাদের লেখকের বৈঠকখানায়। যা হোক, সচেতন পাঠকমাত্রই জানেন ‘অপরাধ ও শাস্তি’ (ক্রাইম এ্যান্ড পানিশমেন্ট) জগদ্বিখ্যাত একটি রুশ উপন্যাস। ভিন্ন ভাষার কোন উপন্যাস বা অন্য লেখার ক্ষেত্রে একই নাম ব্যবহার করায় নিষেধ না থাকলেও লেখকরা সচরাচর বিষয়টি এড়িয়ে যান। তা না হলে ‘বিজন নীল জলে’ উপন্যাসটির নাম ‘অপরাধ ও শাস্তি’ হলেই বরং মোক্ষম হতো। এই কাহিনী একজন ভয়ঙ্কর অপরাধীর, চরম শাস্তিও তার জুটেছে শেষাবধি। কিন্তু সেই শাস্তি নিশ্চিত করা খুবই কঠিন ও জটিল ছিল। খুনিটিকে যাতে বিচারের মুখোমুখি না হতে হয় সেজন্য রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখলকারী সামরিকজান্তা এক গভীর কূটকৌশলের আশ্রয় নেন। অধ্যাদেশ জারি করে খুনির বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়। ইতিহাসকে উপজীব্য করে ফিকশন লেখার বিপদ আছে। বিপদ আরও বেড়ে যায় যদি সেই ইতিহাস হয় নিকট ইতিহাস। সত্য যে পাঠকের জানা, তাই তিনি জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে বইয়ের ঘটনার সঙ্গে বাস্তব ঘটনার তুলনা করবেনই। তাতে কোন ফারাক থাকলে, কিংবা তিনি যা জানেন না তার উল্লেখ থাকলে পাঠক আন্দোলিত হবেন। সেই আন্দোলনের উপাদান হতে পারে বিরক্তি, উষ্মা কিংবা বিস্ময় ও ভাললাগা। দেড়শ’ পৃষ্ঠার এ উপন্যাসের প্রবেশিকায় অবশ্য লেখক মাসুদ আহমেদ একটি অনুরোধ করেছেন। বলছেন, ‘...সরলরৈখিকভাবে না হলেও কয়েক হাজার বছর ধরে মানবসমাজে অপরাধ এবং শাস্তিবিধানের পরম্পরা কখনো বোধগম্যভাবে কখনো বা দুর্জ্ঞেয় রহস্যাবৃত পথে সম্পন্ন হয়ে এসেছে। আমার এ উপন্যাসের উপজীব্যে তেমনভাবে আমাদের জাতির জনকের একজন হত্যাকারীর ক্রমপরিণতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে পাঠক-পাঠিকারা এতে সব সময় যেন ইতিহাস না খোঁজেন, সে অনুরোধ করব। সাহিত্য আর ইতিহাসে পার্থক্য থাকবেই।’ লেখকের অনুরোধ মানলে আর পাঠকের আলাদা সমস্যা থাকে না। বরং উপন্যাস-পাঠ উপভোগ্য হয়ে ওঠে। বাঙালীর বদনাম আছে ইতিহাসবিস্মৃত জাতি হিসেবে। এর কিছু সত্যতা নিশ্চয়ই রয়েছে। তবে বাঙালীর একটি অংশ যে ইতিহাস বিকৃতিতেও পারঙ্গম, তার উদাহরণ খুঁজতে ইতিহাস ঘাঁটা লাগে না। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এক খুনির ফাঁসির রায় কার্যকরের আগের দু’দশকের সিংহভাগ ইতিহাস হয়ত মানুষ ভুলে যাবে এখন থেকে অর্ধ-শতাব্দীকাল পরে। ফারুক নামটিও নিষ্প্রভ হয়ে আসবে। সেদিন এই ‘বিজন নীল জলে’ উপন্যাসখানি বাঙালীকে তার মাতৃভূমির এক হন্তারককাল এবং সেসঙ্গে দৃঢ়চেতা এক মানবীর ইতিহাসের দায়মোচনে সাহসিকতার কথা ছবির মতো তুলে ধরবে। এখানেই সাহিত্যের জিত। হাজার পাতার ইতিহাসগ্রন্থ যা পারে না, কুড়ি পাতার গল্প তা তাৎপর্যপূর্ণভাবে ধরে রাখে। এ রকম একটি বই লিখে লেখক মাসুদ আহমেদ আমাদের লেখকসমাজের পক্ষে সাহিত্যিক-সামাজিক দায়িত্ব পালন করলেন। শেখার যেমন কোন বয়স নেই, তেমনি লেখা শুরুরও কোন বয়স নেই। সৈয়দ আনওয়ারুল হাফিজ, যিনি পেশায় চিকিৎসক, পুরোটা ক্যারিয়ার কেটেছে বিলেতে। এখন তার ছিয়াশি চলছে। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী যিনি এন্টার্কটিকায় গেছেন। গতকাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যায় আদিম অরণ্যে তাঁর গরিলা দর্শনের বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন। ভদ্রলোকের লেখার প্রতি ঝোঁক ছোটবেলা থেকেই। অথচ এতকাল যে তাঁর লেখালেখি হয়ে ওঠেনি সেজন্যে কারণ হিসেবে বলেন অন্য চিন্তা ও অন্ন-অন্বেষণের ব্যস্ততার কথা। যা হোক, এবারের বইমেলায় তাঁর যে উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে সেটি (রূপে তোমায় ভোলাবো না) দুই দেশের দুই নর-নারীর সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিষয়টি ছাপিয়ে ওই দুজনের পেশাগত সঙ্কট ও সম্ভাবনা এবং উভয়ের নিজ নিজ দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং সর্বোপরি মানুষের চিরন্তন আবেগ ও গভীর বোধকে উর্ধে তুলে ধরেছে। হিগস-বোসন কণা বা গড পার্টিক্যালের আবিষ্কারের জন্য ক’বছর আগে নোবেল দেয়া হলো আবিষ্কারকদের। এই আবিষ্কার চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হয়েছিল জেনিভায়। লেখক সৈয়দ আনওয়ারুল হাফিজের এই উপন্যাসের নায়িকা একজন পদার্থবিজ্ঞানী। বিষয়টি আদ্যোপান্ত বুঝে নিয়ে উপন্যাসে তুলে আনার প্রয়োজনে লেখক গত বছর জেনিভাতে যান। লেখার জন্য এতটা সিরিয়াস ও নিবেদিতপ্রাণ হতে দেখে গর্ব বোধ হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ [email protected]
×