ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাইফুর রহমান ওসমানী জিতু

হলিউডে একুশের প্রথম প্রভাতফেরি

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

হলিউডে একুশের প্রথম প্রভাতফেরি

(শেষাংশ) অনেকে জানতে চাইলেন প্রভাতফেরির জন্য কোন্ রাস্তাটা বেছে নেয়া যেতে পারে। আমি অবশ্য আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম এই লস এ্যাঞ্জেলেস শহরেই পৃথিবীর বিখ্যাত রাস্তা ‘হলিউড বুলেভার্ড’র রাস্তাটির কথা। ‘হলিউড বুলেভার্ড’র রাস্তাটি বেছে নেয়ার পেছনেও একটি বিশেষ কারণ ছিল। ঢাকার মেডিক্যাল কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের রাস্তাটি যেমন বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত, ঠিক তেমনি লস এ্যাঞ্জেলেস শহরের ‘হলিউড বুলেভার্ড’র রাস্তাটিও বিখ্যাত বিশ্বজুড়ে। এ রাস্তাটির দু-পার্শ্বের ফুটপাথের ওপর বসানো আছে বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র আর বিনোদন শিল্পের প্রখ্যাত তারকাদের নামখচিত ‘তারকাফলক’ এবং তাদের হাতের ও পায়ের ছাপ, যেটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন দেখার জন্য। বাংলাদেশ টেলিভিশনে সেই সময় নিয়মিত প্রচারিত হানিফ সংকেতের উপস্থাপনায় ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে ‘হলিউড প্রতিবেদন’ নামে একটি পর্ব দেখানো হতো। ওই অনুষ্ঠানে লস এ্যাঞ্জেলেস থেকে তৈরি করে পাঠানো ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানের জন্য নির্মিত হলিউড বুলেভার্ডের রাস্তাটির ওপর আমার উপস্থাপনায় সেই প্রতিবেদনের কথা অনেক পাঠক-পাঠিকার হয়ত মনে থাকতে পারে। বলা যেতে পারে, সেই বিশেষ প্রতিবেদনটি নির্মাণের সুবাদে হলিউডের রাস্তাটি বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে আমাকে অনেকটা প্রভাবিত করেছিল। হলিউড বুলেভার্ডের রাস্তা সপ্তাহান্তে বিশেষ করে শনিবার রাতে সন্ধ্যা থেকে রাত ২-৩টা পর্যন্ত থাকে শত শত গাড়ি, চলন্ত গাড়িতে প্রচন্ড শব্দে গান বাজানো, চোখ ঝলসানো বাতি এবং তরুণ-তরুণীদের উল্লাস আর ভিড়ে পরিপূর্ণ। রবিবার রাতে একটু ভিড় কম থাকে, যেহেতু পরের দিন কাজ থাকার কারণে। অন্য দিনগুলোতে হলিউড বুলেভার্ডের রাস্তা রাত ৭-৮টার পর হয়ে যায় জনশূন্য, নীরব, অন্ধকার আর থমথমে। মনে হয় অনেকটা ভুতুড়ে রাস্তা। আমাদের একুশের ‘প্রভাতফেরি’র সেই দিনটি ছিল কর্মদিবসের রাত। অতএব, পরের দিনের কাজের কারণে অনেকে মধ্য রাতের অনেক আগেই ঘুমিয়ে পড়ে। স্বাভাবিক কারণেই হলিউডের রাস্তা একেবারে জনমানবশূন্য। অনেকটা আধো আলো-ছায়া, নীরব আর থমথমে। তবু আমরা কেউ হতাশ হলাম না এই ভেবে যে, আমরা একটা নতুন কিছু করতে যাচ্ছি, যেটা হয়ত আমাদের অন্য প্রবাসীদের উৎসাহিত করবে আগামীতে এমনি ধরনের কর্মসূচী হাতে নিতে। একুশে ফেব্রুয়ারি। সময় রাত সাড়ে এগারোটার কাছাকাছি। লস এ্যাঞ্জেলেস শহরের হলিউড বুলেভার্ড ও নর্মান্ডি রাস্তার মোড়। মোটামুটি আয়োজন পরিকল্পনা অনুযায়ী সব প্রস্তুত। শহীদ মিনারের প্রতিকৃতিসহ গাড়ি এসে গেছে সময়মতো। আমাদেরই একজন সহকর্মী ‘হোম ডিপো’ সুপার স্টোর থেকে কাঠ ও অন্যান্য সরঞ্জাম যোগাড় করে সুন্দর আর অবিকল ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি তৈরি করেছিল। আমরা অপেক্ষা করছি মধ্য রাতের সময় সংকেতের জন্য। জনমানবশূন্য রাস্তা আর মাঝে মাঝে দ্রুত বেগে কয়েকটা গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। রাস্তার দু’ধারের দোকানপাট সব বন্ধ। আশপাশের বাড়িগুলোতে কিছু কিছু জানালায় যদিও মৃদু বাতি জ্বলছে, তবে অধিকাংশ বাড়ির বাতি নেভানো। রাত বারোটা বাজার আর মাত্র ৫-১০ মিনিট বাকি। সবাই একে একে সমবেত হতে শুরু করেছে হলিউড বুলেভার্ড ও নর্মান্ডি রাস্তার মোড়ে। আমরা সবাই বারবার ঘড়ির দিকে সময় দেখছি রাত বারোটা বাজার অপেক্ষায়। সবাই প্রস্তুত। সেদিন ছিল প্রচ- বাতাস ও কনকনে শীত। এই প্রচ- শীতের মধ্যে পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা আর কনকনে প্রচ- বাতাসের কারণে আমরা কাঁপতে শুরু করেছি। নিজের অজান্তেই হাসি পেয়ে গেল অনেকের প্রচ- বাতাস আর শীতে কাঁপুনির অবস্থা দেখে। একুশের শোভাযাত্রার আয়োজন ও পরিকল্পনাতে আমাদের একটু ভুল ছিল। বাংলাদেশের ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের একুশের রাতের প্রভাতফেরির কথা ভেবে ক্যালিফোর্নিয়ার মাঝরাতের হাড়কাঁপানো শীতের কথা একেবারে বেমালুম ভুলে বসে আছি আমরা। হাড়কাঁপানো মাঝরাতে খোলা আকাশে উন্মুক্ত সড়কে কাউকে বলা হয়নি পাঞ্জাবির সঙ্গে গরম কাপড় নিয়ে আসার জন্য। আর এর জন্য আমাদের সকলের ভোগান্তি কম যায়নি। সেই সময় একুশের ‘প্রভাতফেরি’র সফরসঙ্গীর অনেকের নাম যদিও মনে নেই, তবে সম্ভবত মূকাভিনেতা কাজী মসহুরূল হুদা, মুস্তাফিজুর রহমান তুফান, সোহেল রহমান বাদল, মতিন ভাই, এলিজা ভাবি, সহিদুল করিম, জাফরুল আহসান, জসিম, দেলোয়ারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন আমাদের সঙ্গে সেই ঐতিহাসিক হলিউডের প্রভাতফেরিতে। এরা ছাড়াও সেদিন ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে অনেকে হলিউডের প্রভাতফেরিতে উপস্থিত ছিলেন; দুঃখিত তাদের অনেকের নাম এ মুহূর্তে সঠিক মনে পড়ছে না। রাত ঠিক বারোটা বাজার পূর্বমুহূর্ত। আর মাত্র কয়েক মুহূর্ত বাকি। আমরা সবাই প্রস্তুত এবং লাইন করে দাঁড়িয়েছি খালি পায়ে নির্দেশের অপেক্ষায়। রাত ঠিক বারোটা বাজার সময়সূচক বেজে গেছে। আমার রুমমেট মুস্তাফিজুর রহমান তুফান গলায় গামছা দিয়ে হারমোনিয়াম বাজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খালি কণ্ঠে উচ্চৈঃস্বরে গাইতে শুরু করল অমর একুশের গান : ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।’ মুহূর্তের মধ্যে আমাদের সবার শরীরে যেন বিদ্যুত বয়ে গেল। বাংলাতে যখন একুশের গান গেয়ে এগিয়ে চলেছি, বিশেষ করে আমেরিকার মাটিতে বিশ্ববিখ্যাত হলিউডের রাস্তায় এই প্রথম প্রভাতফেরিতে। বিদেশের মাটিতে ‘একুশের গান’- এ যেন অনেকটা চাঁদে গিয়ে বাংলাতে একুশের গান গাইবার অনুভূতি। আর তাই মনে হয়েছিল- সেদিন আমার কাছে। আমরা সবাই কোরাস কণ্ঠে সুর মিলিয়ে উঁচু কণ্ঠে হলিউড বুলেভার্ডের রাস্তার মাঝপথে গান গেয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত ‘হলিউড বুলেভার্ড’র রাস্তায় প্রভাতফেরিতে গলা ছেড়ে অমর একুশের গান গাইবার সেদিনের যে অনুভূতি সেটা সম্ভবত একমাত্র তারাই বলতে পারবেন, যারা সেই ঐতিহাসিক প্রভাতফেরিতে অংশ নিয়েছিলেন। চারদিকে সবাই যখন গভীর ঘুমে তখন আমাদের এই গানের শব্দে আসে পাশের প্রতিবেশীরা কে কী মনে করবে সেই বোধশক্তি সম্পর্কে ধারণা আগে যেমনটি ছিল না, এখন অবশ্য অনেকটা বুঝতে সক্ষম। সবাই কোরাসের সুর মিলিয়ে একুশের গান গেয়ে সামনের দিকে হেঁটে চলেছে। সবার দৃষ্টি সামনে। জনমানবশূন্য হলিউডের রাস্তাতে সবাই গেয়ে চলেছে একুশের গান : ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।’ কিছুদূর যেতে না যেতেই আমাদের একুশের শহীদ মিনারের প্রতিকৃতিসহ গাড়িটি হয়ে গেল বিকল। সবাই থেমে গেল। কী হলো, কী হলো- গাড়ি চলছে না কেন? মনে মনে রাগ হলাম- গাড়ি বিকল হওয়ার আর সময় পেল না। বলা হলো এ গাড়ি আর চলবে না। মনে হলো শীতের কারণে গাড়িও কাবু হয়ে গেছে। তাহলে বিকল্প কি ব্যবস্থা নেয়া হবে? ঠিক করা হলো ধাক্কা দিয়ে আস্তে আস্তে শহীদ মিনারের প্রতিকৃতিসহ গাড়িটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আমাদের মধ্য থেকে দুজন গাড়ির পেছনে ধাক্কা দিতে সাহায্য করল। আবার আমরা চলতে শুরু করলাম। এর মধ্যে ঘটে গেল এক কা-। ঘুরে দেখি আমাদের চারদিকে ৫-৬টা লস এ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ অর্থাৎ ‘এলএপিডি’র পুলিশের গাড়ি ও সার্চ লাইট জ্বালিয়ে বেশকিছু পুলিশ আমাদের সবাইকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমাদের দিকে তাক করে বন্দুক উঁচিয়ে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা করছে : ‘তোমরা যে যেখানে রয়েছ নড়াচড়া না করে দাঁড়িয়ে থাকো’? মুহূর্তের মধ্যে সব দৃশ্য যেন পাল্টে গেল। ভয়ে অনেকের মুখ চুপসে গেল। এটা আবার কী হলো? এমন তো কথা ছিল না? জীবনে এই প্রথম এমনি ধরনের পরিস্থিতিতে পুলিশের মুখোমুখি। বুঝতে আর বাকি রইল না- নিশ্চয়ই কেউ আমাদের নিয়ে অভিযোগ করেছে পুলিশের কাছে ৯১১ কল করে। আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি অপরাধীর মতো। একজন পুলিশ অফিসার ট্রলির অপর পাশে রাখা আমাদের নির্মিত শহীদ মিনারের প্রতিকৃতির কাছে এসে খুব মনোযোগ দিয়ে কী যেন ঘুরে ঘুরে দেখে বোঝার চেষ্টা করছে- এটা কী? এত রাতে সকলের হাতে ভিন্ন ভাষায় হাতে লেখা পোস্টার, গলায় বাদ্যযন্ত্র, ঠা-ার মধ্যে মাঝরাতে আবার খালি পায়ে... ঘটনাটা কী? সকল পুলিশ অফিসারের চেহারায় যেন কৌতূহলের ছায়ার চিহ্ন। একজন পুলিশ অফিসার আমার এক বন্ধুর কাছে জানতে চাইলেন, আমাদের মধ্যে টিম লিডার কে? শুধু তার সঙ্গে কথা বলব। দেখে মনে হলো পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবাই ঠিক করে রেখেছে কার নাম বলা হবে। যা ভেবেছিলাম তাই হয়েছে এবং সবাই একবাক্যে কালবিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গে দেখিয়ে দিল আমাকে। পুলিশ আমার কাছে জানতে চাইল আমার নাম। দেখতে চাইল আমার পরিচয়পত্র। আমাকে প্রশ্ন করল- ‘তুমি আমাকে বলবে এত রাতে তোমরা এখানে কী করছ? এই রাস্তাতে শোভাযাত্রা করার কোন অনুমতিপত্র থাকলে আমাকে দেখাও। ভাবলাম এবার সেরেছে! প্রভাতফেরি করতে এসে এবার সবাইকে নিয়ে লস এ্যাঞ্জেলেস পুলিশের হাজতে একুশের প্রহর কাটাতে হবে মনে হয়। সংক্ষেপে পুলিশ অফিসারকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম আমরা কেন আজ সবাই জড়ো হয়েছি এই মাঝরাতে। সংক্ষেপে বোঝানোর চেষ্টা করলাম ‘একুশের ইতিহাস’ এবং আমাদের দেশে আজ হাজার হাজার লোক শ্রদ্ধার সঙ্গে অমর একুশের দিনটি পালন করছে, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিল ১৯৫২ সালে তাদের সম্মানে। মাতৃভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের সম্মানে আমরাও দিনটি এখানে পালন করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীরা আজ এই আয়োজন করেছি। পুলিশ অফিসার বেশ মনোযোগ দিয়ে আমার কথাগুলো শুনল। এর মধ্যে অন্য পুলিশ অফিসার তাদের গাড়ি থেকে বের হয়ে কাছে এসে আমাদের শহীদ মিনার, পোস্টার সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখছিল। আমাদের অনুমতিপত্র আছে দেখে বলল : ‘দেখো রাত অনেক হয়েছে এবং আশপাশের প্রতিবেশীরা সবাই এখন গভীর ঘুমে... সকালে অনেকের কাজে যেতে হবে... তোমাদের এই শব্দের জন্য আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে- যদিও আমি তোমাদের এই দিনকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি, তবে আমি সামান্য কিছু সময়ের জন্য অনুমতি দিচ্ছি এই শর্তে : কোন শব্দ নয়... তোমরা ফুটপাথের ওপর দিয়ে হাঁটবে আর গাড়িটা ফুটপাথের পাশ দিয়ে টেনে নিয়ে যাবে। আর কিছুদূর গিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে, ঠিক আছে?’ আমরা সবাই রাজি হলাম এবং হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম এক বিপদ থেকে। সবার উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে অন্তত এ যাত্রায় নির্ঘাত এক বিপদ থেকে যে সবাই মুক্ত এতে কোন সন্দেহ নেই। ১৯৮১-২০১৫ সাল। এই দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রবাসী বাংলাদেশী আমেরিকান হিসেবে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এই লস এ্যাঞ্জেলেস শহরে একুশের প্রথম প্রভাতফেরির আয়োজনে অংশ নেয়া, ক্যালিফোর্নিয়ার ইথারে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য প্রথম সাপ্তাহিক নিয়মিত বাংলা বেতার অনুষ্ঠান প্রচার ‘ভয়েস অব বাংলাদেশ লস এ্যাঞ্জেলেস (ভিওবি)’, লস এ্যাঞ্জেলেসে ‘লিটল বাংলাদেশ’ এবং যুক্তরাষ্ট্রে একুশের প্রথম অনলাইন স্মারক ডাকটিকেট প্রবর্তন অর্থাৎ ‘ইউএস পোস্টাল সার্ভিস’ (ইউএসপিও) অনুমোদিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি দিয়ে ৪৪ সেন্টের ‘২১শের ডাকটিকেট’- ইতিহাসের এই স্মরণীয় ঘটনাগুলো যা কখনই অন্তত আমার জীবন থেকে মুছে যাবে না। ১৮.২.২০১৬ লেখক : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী
×