ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডরিন পাওয়ারের আইপিও আবেদন শেষ হচ্ছে আজ

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ডরিন পাওয়ারের আইপিও আবেদন শেষ হচ্ছে আজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ডরিন পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদা গ্রহণ শেষ হচ্ছে আজ সোমবার। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাঝে বিদ্যুত খাতের এ কোম্পানির চাঁদা গ্রহণ স্থগিত করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে আপিল বিভাগে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত হওয়ায় কোম্পানিটিকে আবারও আইপিও প্রক্রিয়া চালুর অনুমোদন দেয় কমিশন। শুরুতে ১৬ ফেব্রুয়ারি আইপিওর চাঁদা গ্রহণের শেষ দিন নির্ধারণ করা হলেও মধ্যবর্তী বিরতির কারণে তা পিছিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ডরিন পাওয়ার ৮ ফেব্রুয়ারি আইপিওর চাঁদা গ্রহণ শুরু করে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৬ ফেব্রুয়ারি। তবে কয়েকজন বিনিয়োগকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ফেব্রুয়ারি এ কোম্পানির আইপিও কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। একই সঙ্গে ডরিন পাওয়ারের আইপিও আবেদন গ্রহণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছিলেন আদালত। বিএসইসি ও কোম্পানিকে এ রুলের জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ১১ ফেব্রুয়ারি এ কোম্পানির আইপিওর চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। তবে কোম্পানি ও বিএসইসির আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ নবেম্বর ডরিন পাওয়ারকে ১৯ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৯ টাকা বরাদ্দমূল্যে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ৫৮ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। ২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুসারে, ডরিন পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ৩৪ টাকা ৮৭ পয়সা। গত পাঁচ বছরের গড় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ১৯ পয়সা। উন্নতির দিকে যাচ্ছে দেশ ॥ অর্থমন্ত্রী অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশ এখন ধারাবাহিক গ্রোথের (উন্নয়ন) দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বেস্ট ইকোনমিক রিপোর্টিং এ্যাওয়ার্ড ও ইআরএফ নাইট’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ২০ বছর বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের উপরে। আমাদের প্রবৃদ্ধিতে কোন উঠানামা নেই। দেশ এখন ধারাবাহিক গ্রোথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মুক্তিযুদ্ধে বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক দেশ আজ অতি অল্প সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি পেতেই আমরা মুক্তিযুদ্ধ করি। মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের আর্থিক সামর্থ্যরে দুই-তৃতীয়াংশই ধ্বংস হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাতেই দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো শুরু হয়। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ৭৫-এ আবার সামরিক শাসনের কবলে পড়ে দেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্য ভংগুর হয়ে পড়ে। ৯০-এ গণঅভ্যুত্থানের পরে দেশে আবার অর্থনৈতিক চাকা সচল হয়। দেশে এখন অর্থনৈতিক পরিবর্তন হচ্ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সময় অনেকেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলত। কিন্তু বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী। আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি বাংলাদেশের এই উন্নয়ন দেখে খুশি এবং নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করি। অনুষ্ঠানে ৫ ক্যাটাগরিতে ৬ জনকে বেস্ট ইকোনমিক রিপোর্টিং এ্যাওয়ার্ড তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহান, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদুজ্জামান মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. ফরাস উদ্দিন, ইআরএফ সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ।
×