ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন মন্ত্রীরা

ইইউতে থাকা নিয়ে গণভোট ডাকলেন ক্যামেরন

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ইইউতে থাকা নিয়ে গণভোট ডাকলেন ক্যামেরন

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকার প্রশ্নে আগামী ২৩ জুন গণভোট ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। মন্ত্রিপরিষদের এক ব্রিফিং শেষে ডাউনিং স্ট্রিটে গণভোটের ঐতিহাসিক এ ঘোষণা দেন তিনি। গণভোটকে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত অভিহিত করে ক্যামেরন বলেন, ইইউয়ে থাকার পক্ষেই প্রচার চালাবেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদের অনেক মন্ত্রীই ইইউয়ে যুক্তরাজ্যের থাকার পক্ষে মত দিলেও অন্যরা ক্যামেরনের বিপক্ষেই প্রচার চালাবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। ক্যামেরন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়া মানে অন্ধকারে ঝাঁপ দেয়া। তিনি ভোটারদের সংস্কার চুক্তি সমর্থন করার আহ্বান জানান। কিন্তু মন্ত্রীরা এরই মধ্যে ইইউয়ের পক্ষ-বিপক্ষ দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে ইইউয়ে থাকার পক্ষের শিবিরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু বিচারমন্ত্রী মিশেল গোভ ইইউ ত্যাগের পক্ষের শিবিরে আছেন। লন্ডনের মেয়র বরিস জনসনও এ শিবিরে যোগ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি এখনও তার মতামত জানাননি। প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলছেন, ব্রাসেলসে দুদিনের সম্মেলনে উপনীত তার সংস্কার চুক্তিতে যুক্তরাজ্য ইইউয়ে বিশেষ মর্যাদা পাবে। এ কারণে এ ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যকে ধরে রাখার ‘প্রাণপণ’ চেষ্টা করবেন তিনি। এক বিবৃতিতে ক্যামেরন ভোটারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যারা ইইউ ছাড়তে চায় তারা জনগণকে ইউরোপের অবাধ বাণিজ্যের বাজারে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য চলার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। কর্মরত লোকদের চাকরিরও নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। অনিশ্চয়তার এ সময়ে তারা কেবল ঝুঁকিই ডেকে আনছেÑ অনেকটা অন্ধকারে ঝাঁপ দেয়ার মতো। ভোটারদের প্রতি সরাসরি এক আবেদনে ক্যামেরন বলেন, ‘সিদ্ধান্ত আপনাদের হাতে। তবে আমার সুপারিশ স্পষ্ট। আর তা হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকলেই ব্রিটেন অনেক বেশি নিরাপদ, শক্তিশালী এবং ভাল থাকবে।’ ক্যামেরনের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে ও বলেছেন, ইইউ একেবারে নিখুঁত না হলেও নিরাপত্তা, অপরাধ এবং সন্ত্রাস থেকে সুরক্ষা, ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিশ্ববাজারে প্রবেশের জাতীয় স্বার্থে ইইউয়ে থাকাটাই প্রয়োজনীয়। ওদিকে, বিপক্ষ শিবিরের মিশেল গোভ মনে করেন, ইইউয়ের বাইরে থাকলেই ব্রিটেন অনেক বেশি স্বাধীন, সুষ্ঠু এবং ভাল থাকবে। আর নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বলেন, অনিশ্চিত এ পৃথিবীতে নিরাপত্তা দেয়া তো দূরের কথা, ইইউয়ের নীতি এখন অনেক বেশি অস্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করছে। কমন্স নেতা ক্রিস গ্রাইলিং, সংস্কৃতিমন্ত্রী, শ্রম ও পেনশনমন্ত্রী, উত্তর আয়ারল্যান্ড মন্ত্রী, কর্মসংস্থানবিষয়কমন্ত্রী সবাই ইইউ ত্যাগের পক্ষের শিবিরে যোগ দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ায় নয়া সেনা প্রধান নিয়োগ উত্তর কোরিয়ায় নতুন সামরিক প্রধানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম রবিবার এ খবর নিশ্চিত করেছে। এর আগে সম্প্রতি দেশটির সাবেক সামরিক প্রধানের মৃত্যুদ- কার্যকরের খবর জানিয়েছিল সিউলের সংবাদ মাধ্যম। খবর এএফপির। উ. কোরীয় নেতা কিম জং-উনের নির্দেশনায় সেনাবাহিনীর এক সামরিক মহড়াসংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশের সময় কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) সাবেক নিরাপত্তা মন্ত্রী রি মিয়ং-সুকে কোরিয়ান পিপলস আর্মি জেনারেল স্টাফের প্রধান হিসেবে উল্লেখ করে। এছাড়া কিমের বিমানবাহিনীর মহড়া সংক্রান্ত অপর একটি খবর প্রকাশের সময়ও কেসিএনএ আবারো রি মিয়ং-সুর নাম উল্লেখ করে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে রি মিয়ং-সুরের পূর্বসূরি রি ইয়ং-গিলের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয় বলে খবর বেরোয়। এর আগেও দেশটিতে কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে।
×