ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউনেস্কোর প্রতিবেদন

উর্দুর কারণে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

উর্দুর কারণে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে

পাকিস্তানের মতো বহু ভাষাভাষী একটি দেশে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বিদ্যালয় পর্যায়ে এককভাবে উর্দু ভাষার প্রাধান্য রাজনৈতিক অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে এখানে জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ব্যবধান সৃষ্টি করছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রবিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের আগে ইউনেস্কোর একটি কর্মপন্থা নির্ধারণীপত্রে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এতে তুরস্ক, নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও গুয়াতেমালার জাতিগত সংখ্যালঘু ভাষার জনগোষ্ঠীর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। শিশুরা যে ভাষাটি বুঝতে সক্ষম সে ভাষাতেই তাদের শিক্ষা দেয়া উচিত বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ৮ শতাংশেরও কম মানুষ উর্দুতে কথা বলে। এর পরও সরকারী বিদ্যালয়ে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে উর্দুই ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে দেশটিতে রাজনৈতিক অসন্তোষ উস্কে দেয়া হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতার পর পর পাকিস্তানের শাসকরা উর্দুকে জাতীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। এর জের ধরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত। আর সেই আন্দোলনের রেশ ধরে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে পাক-শাসকদের ব্যর্থতাকে দায়ী করে ইউনেস্কো জানায়, পাকিস্তানে ছয়টি ভাষাভাষী প্রধান এবং ৫৪টি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী থাকা সত্ত্বেও উর্দুকে প্রধান ভাষা হিসেবে বেছে নেয়ায় সংঘাতে পড়েছিল সদ্য স্বাধীন দেশটি। কর্মপন্থা নির্ধারণী ওই পত্রে বলা হয়, নিজের ভাষার পরিবর্তে অন্য ভাষায় শিশুদের শিক্ষা দিলে তাদের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক ক্রিয়া সৃষ্টি করে। জাঠ বিক্ষোভে উত্তাল হরিয়না ॥ নিহত ১০ ভারতের সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চাকরিতে অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মতোই সুযোগ-সুবিধার দাবিতে জাঠদের আন্দোলনে উত্তাল হরিয়ানায় সহিংসতায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার আন্দোলনের অষ্টম দিন পর্যন্ত এসব সহিংসতায় আরও ১৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সান্ধ্য আইন জারি থাকা এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও হরিয়ানার বিভিন্ন অংশে সড়ক অবরোধ বসিয়েছে বেপরোয়া আন্দোলনকারীরা। এতে সড়ক ও রেল যোগাযোগে মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। আন্দোলনের কারণে দিল্লিতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারির পর শনিবার সেনাবাহিনী নামানো হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি পূরণের আশ্বাস সত্ত্বেও ঘরে ফেরেনি আন্দোলনকারীরা। দিল্লীর সরকার জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা হরিয়ানার মুনাক খালের পানি সরবরাহের যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত করায় দিল্লীর পানি সরবরাহে ‘মারাত্মক’ বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। পানির অপ্রতুলতার কারণে সোমবার দিল্লীর সব স্কুল ও সরকারী দফতর বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার। রবিবার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লিতে পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমরা এ নিয়ে কেন্দ্রের (সরকার) সঙ্গে কথা বলেছি। যতটুকু সম্ভব পানি বাঁচানোর জন্য আমি দিল্লীবাসীর প্রতি অনুরোধ করেছি।’ দিল্লীর পানি সরবরাহে যেন কোন বিঘœ না ঘটে তা দেখতে হরিয়ানা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে জাঠদের কোটার প্রস্তাব এক বছর আগেই খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তা নিয়ে ভেতরে ভেতরে অসন্তোষ চলছিল।
×