ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওবামার পররাষ্ট্রনীতির ভয়াবহ পরিণতি

সিরিয়ায় লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে মার্কিন সমর্থিত বিদ্রোহী গ্রুপগুলো

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সিরিয়ায় লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে মার্কিন সমর্থিত বিদ্রোহী গ্রুপগুলো

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির পরিণতি যে কত ভয়াবহ হতে পারে, তার উদাহরণ হিসেবে সিরিয়ার আলেপ্পোর উত্তরাঞ্চলীয় ছোট শহর মারিয়ার কথা উল্লেখ করা যায়। গত পাঁচ বছর সেখানে দক্ষিণ দিক থেকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনী ট্যাঙ্ক থেকে শেল নিক্ষেপ করছে। আবার পূর্ব দিক থেকে বারবার হামলা করছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গীরা। এছাড়া শহরটিতে একইদিন আসাদ বাহিনী বিমান হামলায় বোমা ও আইএস ভূমি থেকে শেল নিক্ষেপ করেছে। শহরের বিদ্রোহীরা এখন একই সঙ্গে আইএস, রুশ বোমা হামলা এবং নতুন এক শত্রু, সিরীয় কুর্দি মিলিশিয়া ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে লড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। তবে যদি কোন এক গ্রুপ অস্ত্রবিরতির ঘোষণা করে তাহলে শত্রু গ্রুপগুলো মারিয়ায় হামলা বন্ধ করবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে সেখানে শুক্রবার অস্ত্রবিরতি কার্যকরের কথা ছিল। কিন্তু মারিয়া ও সিরিয়ার অন্যান্য এলাকায় লড়াই অব্যাহত রয়েছে। দেশটির সরকার বিরোধী বিদ্রোহীরা শনিবার বলেছে, একটি নীতিতেই তারা সম্মত হয়েছে। তবে তারা এখনও অপেক্ষা করছে যে, রাশিয়া ও আসাদ বাহিনী বোমা হামলা বন্ধ করবে কিনা। বিরোধীদের মুখপাত্র সালিম আল-মিসলেত জানান, রাশিয়া ও সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া ছাড়াই মিউনিখে সম্মত হওয়া অস্ত্রবিরতির চূড়ান্ত সময়সীমা পার হয়ে গেছে। এরপর থেকে প্রতিটি সময়ই যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আসাদ বাহিনী ও রুশদের করা প্রতিশ্রুতির উপর বিশ্বাস রেখেছে, তখনই আলেপ্পোর রাস্তা, হোমস ও অন্যান্য শহর ও গ্রামসহ আমাদের পুরো দেশ রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। তবে এটা এখন আর নতুন নয় যে, সিরিয়া যুদ্ধ এখন জটিল পরিস্থিতিতে পরিণত হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিশ্লেষক ও অনেক মার্কিন কূটনৈতিক যারা বর্তমানে প্রশাসন ত্যাগ করেছেন, তাদের অনেকেই বিরক্ত হয়ে অকপটে স্বীকার করেছেন যে, আাসাদ বিরোধীদের সমর্থনে ওবামার সিদ্ধান্তের ভয়াবহ পরিণতির ফলে দেশটির এই পরিস্থিতি। তিনি মারিয়াসহ সিরীয় বিদ্রোহীদের সমর্থন করে অস্ত্র পাঠিয়েছেন। তবে তিনি রাশিয়া ও আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এরপর তিনি কুর্দিদের সমর্থন দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেন। তিনি চাইলেন, কুর্দিরা আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুক। তারা তাই করছে এবং সিরিয়ায় উত্তরাঞ্চলে একটি ছোট কুর্দি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদের পথে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের সঙ্গেই লড়াই করছে তারা। - টেলিগ্রাফ
×