ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুলারের জোড়ায় জয় বেয়ার্নের

প্রকাশিত: ০৩:১০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মুলারের জোড়ায় জয় বেয়ার্নের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিরোপা ধরে রাখার পথে কাঙ্খিত ছন্দে এগিয়ে চলেছে বেয়ার্ন মিউনিখ। শনিবার রাতে জার্মান বুন্দেসলীগার ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও সহজ জয় পেয়েছে বাভারিয়ানরা। মিউনিখের অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারানায় স্বাগতিক বেয়ার্ন ৩-১ গোলে পরাজিত করে অতিথি এসভি ডার্মস্টাটকে। বেয়ার্নের জয়ে অসাধারণ একটি গোলসহ জোড়া গোল করেন তারকা ফরোয়ার্ড টমাস মুলার। অপর গোলটি করেন দারুণ ধারাবাহিক ফর্মে থাকা রবার্ট লেভানডোস্কি। এই নিয়ে বুন্দেসলীগার চলমান মৌসুমে নিজেদের মাঠে ১১টি ম্যাচের সবকটিতেই জিতলো বেয়ার্ন। দাপুটে জয়ে শিরোপার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে বেয়ার্ন। ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে পেপ গার্ডিওলার দল। এক ম্যাচ কম খেলা বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ৪৮। এই জয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাসও জুগিয়ে নিয়েছে জার্মান পরাশক্তিরা। আগামী মঙ্গলবার শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসের রিবুদ্ধে লড়বে বেয়ার্ন। ওয়াগনারের গোলে ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে যায় অতিথি ডার্মস্টাট। প্রথমার্ধে প্রাণান্ত চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি মিউনিখের জায়ান্টরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুর্দান্ত দাপটে খেলতে থাকে তারা। ফলস্বরূপ বেয়ার্নকে ৪৯ মিনিটে সমতায় ফেরান টমাস মুলার। মাপা ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন জার্মানির এই ফরোয়ার্ড। ৭১ মিনিটে অসাধারণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে নেন মুলারই। আর্টুরো ভিদালের উঁচু করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে চোখ ধাঁধানো বাইসাইকেল কিকে অতিথি গোলরক্ষককে কাবু করেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলের এই ফরোয়ার্ড। এরপর বেয়ার্নের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করেন লেভানডোস্কি গোল করে। বুন্দেসলীগার চলমান মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসে থাকা পোল্যান্ডের এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ২২টি। দলকে শিরোপার পথে নিয়ে যাওয়া কোচ গার্ডিওলাকে অবশ্য পরশু রাতে ভিন্ন যাতনায় সইতে হয়েছে। ইতোমধ্যে বেয়ার্নকে দু’টি বুন্দেসলীগা শিরোপা এনে দিয়েছেন। আরেকটি প্রায় হাতের মুঠোয়। জিতেছেণ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ। এত কিছু করেও বেয়ার্ন মিউনিখ সমর্থকদের মন জয় করতে পারেন নি সাবেক বার্সিলোনা কোচ! ডার্মস্টাডের বিরুদ্ধে ম্যাচে এমনই দেখা গেছে। খেলা চলাকালীন গ্যালারিতে একটা ব্যানার ধরা পড়ে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায়। সেটিতে লেখা, ‘পেপ কখনও আমাদের ছিল না।’ কিন্তু দলকে এত কিছু জেতানোর পরও গার্ডিওলা এমন পর হয়ে গেলেন কেন? এই প্রশ্ন এখন সবার।
×