ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়া সন্দেহে বউ-শাশুড়িকে জবাই ॥ কোর্টে ঘাতকের স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ০৮:১০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পরকীয়া সন্দেহে বউ-শাশুড়িকে জবাই ॥ কোর্টে ঘাতকের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ২০ ফেব্রুয়ারি ॥ পরকীয়ার সন্দেহ ও অবাধ্য হওয়ার কারণেই স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে বলে ঘাতক কাওসার হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক এই জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনারগাঁও থানার এসআই আব্দুল হক। কাউসারের জবানবন্দী উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের এসআই জানান, ৬ মাস আগে কাউসারের সঙ্গে বিয়ে হয় লাভলীর। বিয়ের পর থেকেই সে তার কথা শুনত না, ইচ্ছেমতো চলাফেলা করত। এ নিয়ে বহুবার শাশুড়ির কাছে নালিশ করেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো লাভলীই বিভিন্নভাবে তাকে শাসাত। তার স্ত্রীর সঙ্গে এক ছেলের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করে কাউসার। এছাড়া বিয়ের পর কাউসার জানতে পারে, তার স্ত্রী লাভলীর অন্য জায়গায় আগে বিয়ে হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে শাশুড়ি ও শ্যালক তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যায় কাউসারের সঙ্গে তার শাশুড়ির কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বঁটি নিয়ে মাথায় কোপ দিলে শাশুড়ি রাশিদা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্ত্রী লাভলী এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতারি কোপায় কাউসার। পরে অচেতন শাশুড়ি রাশিদা ও স্ত্রী লাভলীকে জবাই করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে এলাকাবাসী তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এই জোড়া খুনের ঘটনায় শনিবার সকালে নিহত লাভলীর ছোট ভাই ইমদাদুল হক বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
×