ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদ মিনার উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শহীদ মিনার উদ্বোধন

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মংলা। ভাষাসৈনিকদের শ্রদ্ধার জন্য উল্লেখ করার মত ছিল না কোন শহীদ মিনার। অবশেষে আশা পূরণ হলো মংলাবাসীর। নির্মাণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। উদ্বোধন করা হলো শনিবার। সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক ফিতা কেটে, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন। এ সময় মংলা পৌর মেয়র জুলফিকার আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে মংলা পৌরসভার উদ্যোগে মংলা নদী ও পশুর নদীর পারে এ শহীদ মিনারটি তৈরি করা হয়েছে। যার পাশেই রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। নয়নাভিরাম পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন এ শহীদ মিনারটি ইতোমধ্যে স্থানীয়দের দৃষ্টি কেড়েছে। প্রশংসা করলেন সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেকও। তিনি বলেন, মংলা পৌরসভা নিঃসন্দেহে একটি ভাল কাজ করেছে। নয়নাভিরাম পরিবেশে এতদিন পর মংলাবাসী ভাষাসৈনিকদের শ্রদ্ধার জন্য উপযুক্ত একটি শহীদ মিনার পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ শহীদ মিনার এলাকার মানুষের তো বটেই, দৃষ্টি কাড়বে এখানে বেড়াতে আসা মানুষেরও। নয়নাভিরাম সুন্দর একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করায় পৌর মেয়র জুলফিকার আলীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। মংলা পৌর মেয়র জুলফিকার আলী বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দরে একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দাবি ছিল সব শ্রেণীর মানুষের। তাই ভাষার মাসে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করা হলো। তিনি আরও জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে ৫২ শতক জমির ওপর এ শহীদ মিনারটি তৈরি করা হয়েছে। তবে এর কাজ এখনও বাকি রয়েছে। নকশা অনুযায়ী এটি সম্পন্ন করতে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। বর্তমানে এটি খুলনা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এবং দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার বলেও তিনি দাবি করেন। এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এ শহীদ মিনার ঘিরে কর্মসূচী ঘোষণা করেছে মংলা পৌর কর্তৃপক্ষ। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি রাত একটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ। সকাল ১০টায় কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং বিকেল পাঁচটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।-আহসান হাবিব হাসান, মংলা থেকে।
×