ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজ অমর একুশে ॥ বাঙালী জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আজ অমর একুশে ॥ বাঙালী জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস

মোরসালিন মিজান ॥ কোথায় বরকত কোথায় সালাম/ সারা বাংলা কাঁদিয়া মরে।/ যে রক্তের বানে ইতিহাস হলো লাল/ যে মৃত্যুর গানে জীবন জাগে বিশাল/ সে জাগে ঘরে ঘরে...। বাংলার প্রতি ঘরে বোনা হয়েছিল একুশের রক্তবীজ। বায়ান্নর সে বীজ থেকে আজকের বাংলাদেশ। এই দেশে উর্দু নয়, বরং বাংলা এবং বাংলাই হয়েছে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। আজ সেই মহান অর্জনের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করার দিন। মাথা নত না করার অমর একুশে আজ। ১৯৫২ সালের এই দিনে মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ বিলিয়ে দিয়ে বিরল ইতিহাস গড়েছিল বাঙালী। প্রতিবারের মতো এবারও যথাযথ মর্যাদায় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হবে মহান শহীদ দিবস। সর্বত্র সকলের কণ্ঠে আজ একই শোকসঙ্গীত- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি...। একই সঙ্গে গোটা বিশ্ব আজ পালন করবে ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। তোমার কোলে তোমার বোলে কতই শান্তি ভালবাসা...। মায়ের মুখের সেই বুলি আর ভালবাসা আক্রান্ত যখন, তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিল বাঙালী। ১৯৫২ সালের এই দিনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে এসেছিল বাংলা মায়ের বিক্ষুব্ধ সন্তানরা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মুখর ছাত্রদের রুখে দিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। বরকত সালাম রফিক শফিক জব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেক শহীদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুখিনী বর্ণমালা। সেই থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে। মহান শহীদ দিবস। ভাষার অধিকারের পক্ষে লড়ার পাশাপাশি, ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন শোষণের বিরুদ্ধে একুশ ছিল বাঙালীর প্রথম প্রতিরোধ। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালী জাতিসত্তার যে স্ফুরণ ঘটেছিল তা-ই পরবর্তীতে বাঙালীর জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মনস্তাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক প্রেরণা যোগায়। নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানানোর বিশেষ অনুপ্রেরণা হয়ে আসে ২১ ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন। শুধু শোক নয়। সহ্য করে যাওয়া নয়। সকল অন্যায় অশুভ অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানে আজ সারা দেশে পালিত হচ্ছে অমর একুশে। সমাজের সকল অন্যায় অসাম্য ধর্মান্ধতা সাম্প্রয়িকতার বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠার নতুন শপথ নেবে বাঙালী। গীতিকবির ভাষায়- স্বাধীন এই বাংলা আমার/ কোটি প্রাণ শহীদ মিনার/ নেবই নেব, নেবই নেব/ নেবই নেব আমরা মনের মতো এই দেশ গড়ে...। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয়ে গেছে নানা আনুষ্ঠানিকতা। জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে ভাষা শহীদদের স্মরণ করছে। ভাষা শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদও ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এর পর পরই সর্বস্তরের জনতার ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ ফুল দিয়ে ভাষার প্রতি নিজেদের ভালবাসার কথা জানাচ্ছে। নগ্নপায়ে অংশ নিয়েছে প্রভাতফেরিতে। আজ শহীদদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সর্বত্র উড়ছে শোকের কালো পতাকা। ইতিহাস বলে, ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়। জন্ম নেয় পৃথক দুই রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তানের দুই অংশ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান। সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্বাঞ্চলের মানুষ বাঙালী। মাতৃভাষা বাংলা। অপরদিকে পশ্চিমাঞ্চলে প্রচলিত ছিল সিন্ধী, পশ্তু, বেলুচ, উর্দুসহ আরও কয়েকটি ভাষা। এ অবস্থায় পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন মুসলীম লীগ নেতৃত্ব সমগ্র পাকিস্তানের আনুমানিক পাঁচ শতাংশের ভাষা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার চক্রান্ত শুরু করে। অথচ তারও অনেক আগে পূর্ব পাকিস্তানে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটেছিল। মায়ের ভাষার প্রতি বাঙালীর অনুভূতি কত তীব্র ছিল তা জানিয়ে মধ্যযুগের কবি আবদুল হাকিম লিখেছিলেন- যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী/ সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি...। কিন্তু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এই অনুভূতি স্পর্শ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। এ অঞ্চলের মানুষকে পেছনে ফেলে রাখার প্রাথমিক ষড়যন্ত্র হিসেবে ভাষার উপর আঘাত হানে। মায়ের ভাষা বাংলা মুখ থেকে কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সকল অনুভূতি তুচ্ছ করে উর্দুকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা আসতে থাকে শীর্ষ মহল থেকে। এমন ষড়যন্ত্রে হতবাক হয়ে পড়ে বাংলার মানুষ। বাঙালীর সে সময়ের মনোজগত তুলে ধরে কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন- মাগো, ওরা বলে/ সবার কথা কেড়ে নেবে।/তোমার কোলে শুয়ে/ গল্প শুনতে দেবে না।/ বলো, মা,/ তাই কি হয়? এর পরও নিজেদের সিদ্ধান্তে স্থির থাকে পশ্চিম পাকিস্তানীরা। গণচেতনাকে স্তব্ধ করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে। এ অবস্থায় বাঙালীর সামনে দুর্বার আন্দোলনের বিকল্প ছিল না। সবাই যেন একসঙ্গে গেয়ে উঠেছিলেন- সইমু না আর সইমু না অন্য কথা কইমু না/যায় যদি ভাই দিমু সাধের জান/এই জানের বদলে রাখুম রে/বাপ-দাদার জবানের মান...। সাধের জান হাসিমুখে বিলিয়ে দিয়ে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিল বাঙালী। ১৯৪৮ সাল এবং ১৯৫২ সালের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম তার প্রমাণ। বিশেষ করে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুরুয়ারি পাকিস্তানীদের গোয়ার্তুমির চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে। এদিন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। কিন্তু সকল ভয় জয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাজপথে নেমে আসে। বাংলার দাবি চিরতরে স্তব্ধ করতে মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। মাটিতে লুটিয়ে পরে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার ও আবদুস সালাম, শফিক, রফিকসহ নাম না জানা আরও অনেকে। গীতিকবির ভাষায়- রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন করিলিরে বাঙালী/তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি...। মায়ের ভাষার জন্য বিরল রক্তস্রোত। রাজপথ ভেসে গিয়েছিল তরুণ তাজা খুনে। ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে সমবেত হন। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও রাজপথে নেমে আসেন। স্বজন হারানোর স্মৃতি অমর করে রাখতে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের স্মরণে গড়ে তোলা স্মৃতিস্তম্ভ। ২৬ ফেব্রুয়ারি স্মৃতির মিনার গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ। তবে কাজ হয় না কোন। বাঙালীর ভাষার আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে। ৯ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভ করেছে অমর একুশে। রাষ্ট্রপতির বাণী ॥ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, অমর একুশের অবিনাশী চেতনা স্বাধিকার ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অসীম প্রেরণা ও শক্তি যুগিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় ঐক্য ও বিজয়ের প্রতীক হয়ে উঠবে। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাভাষীসহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সেই সাথে মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রীর বাণী ॥ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বাংলাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমর একুশে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালী জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও নিরক্ষরতামুক্ত এবং আধুনিক ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের সরকার দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সকল ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পবিত্র সংবিধান ও গণতন্ত্র এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদলীয় নেতার বাণী ॥ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, দিনটি এখন আর শুধু শোক ও বেদনার নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সব ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সার্বজনীন উৎসবের দিন। ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান বিরোধীদলীয় নেতা। বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাণী ॥ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তবে এক বাণীতে তিনি বলেছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় জীবনে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। বায়ান্ন আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় একাত্তরে বিজয় অর্জিত হয়। একুশের চেতনায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। অমর একুশের কর্মসূচী ॥ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সারা দেশেই আজ থাকবে নানা আনুষ্ঠানিকতা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেও গ্রহণ করা হয়েছে পৃথক কর্মসূচী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাতে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া হবে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। কালোব্যাজ ধারণ করবেন নেতাকর্মীরা। বিএনপির পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে কর্মসূচী। বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। আরও আগে থেকে চলছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের একুশের অনুষ্ঠান। আজ ধানম-ির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে থাকবে একুশের বিশেষ আয়োজন। সকাল সাড়ে ১০টায় সেগুনবাগিচার নিজস্ব কার্যালয়ে একুশের অনুষ্ঠান আয়োজন করবে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভাষা সংগ্রামী ডাঃ মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পার্টি, ইমরাত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, ঢাকা মহানগর দোকান কর্মচারী ফেডারেশনসহ ছোট-বড় প্রায় সব সংগঠনগুলো। এভাবে নানা আয়োজনে সারা দেশেই স্মরণ করা হবে ভাষা শহীদদের। জানানো হবে বিনম্র শ্রদ্ধা।
×