ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা

ধামরাইয়ে পাঁচ ডাকাতের বিরুদ্ধে চার মামলা

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ধামরাইয়ে পাঁচ ডাকাতের বিরুদ্ধে চার মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ২০ ফেব্রুয়ারি ॥ শুক্রবার ভোরে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ধামরাই বাজার শাখায় ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নিহত ও আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে র‌্যাব-৪। ভাড়াটের পরিচয় না রাখায় এ ঘটনায় ওই ভবনের মালিক রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিমকে আটক করা হয়। পরে তাকে জনপ্রতিনিধির জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। শুক্রবার গভীর রাতে র‌্যাব-৪ এর ওয়ারেন্ট অফিসার বকতিয়ার বাদী হয়ে আটক পাঁচ ডাকাতের নামে অস্ত্র, মাদক, ডাকাতি চেষ্টা ও অপমৃত্যু আইনে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলার আসামিরা হলো- লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার মহাদেবপুর গ্রামের সবুজ, চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার উত্তরপাড়া এলাকার বাদশা মিয়া, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার দক্ষিণ লসকারপুর এলাকার রিয়াজুল ইসলাম, ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকার মেহেদী হাসানের স্ত্রী শিলা এবং ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার কদমতলী এলাকার লিটন মিয়ার স্ত্রী রুমানা। নিহত ডাকাত মাসুদ ওরফে মাসুকের স্ত্রী নাছিমা বেগম খবর পেয়ে শুক্রবার ধামরাই থানায় আসে। সে জানায়, তার স্বামী সিলেট কোতোয়ালি থানার শেখঘাট (দুর্বার-৫৮) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে এবং তাদের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বর্তমানে রাজধানী ঢাকার বংশাল থানার ৩নং মালিটোলা লেনের বাবুলের বাসার ভাড়াটে। তার স্বামীর ধোলাইখালে পার্টসের গ্যারেজ আছে। তিন দিন আগে মোটরপার্টস কেনার জন্য চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা বলে তার স্বামী বাসা থেকে বের হয়। শিলা জানায়, তাকে অনেক টাকা দেবে বলে মাসুক পাঁচ দিন আগে ধামরাই নিয়ে আসে। কুমিল্লার একটি ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। রুমানা জানায়, সাত দিন আগে তাকে এক লাখ টাকা দেয়ার কথা বলে মাসুক এখানে নিয়ে আসে। মাসুকের সঙ্গে তাদের পূর্বপরিচয় রয়েছে। তার স্বামী লিটন মাদক মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছে।
×