ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নজিরবিহীন হারে শিশুদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে আইএস ॥ যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

 নজিরবিহীন হারে শিশুদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে আইএস ॥ যুক্তরাষ্ট্র

জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিপুলসংখ্যক শিশুকে তাদের দলে ভিড়িয়ে নজিরবিহীন হারে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছে। যুদ্ধ করতে গিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালানোসহ আরও নানাভাবে মারা যাচ্ছে শিশুরা। মার্কিন গবেষকদের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর গার্ডিয়ানের। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি তাদের করা গবেষণায় দেখতে পেয়েছে যে, অন্তত ১৪টি দেশের ৮৯ জন শিশু ও কিশোর নিহত হয়েছে, যাদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশেরই বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। গবেষকদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৮ বছর বয়সীদের মৃত্যুর হার দ্বিগুণ এবং আইএস তাদের যুদ্ধে ব্যবহার করেছে। ৩৯ শতাংশ শিশু আত্মঘাতী গাড়ি হামলা মিশনে এবং ৩৩ শতাংশ লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা আইএসের প্রচার এবং যোদ্ধা সংগ্রহ করা নিয়ে ১৩ মাস গবেষণার পর তথ্য দিয়েছেন। সামরিক বাহিনীর ‘কমব্যাটিং টেরোরিজম সেন্টার এ্যাট ওয়েস্ট পয়েন্ট’ প্রতিবেদনটির তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছে। আইএস নিহত শিশুদের আসল নাম এবং বয়স না জানালেও গবেষকরা তাদের বয়স এবং জাতীয়তা নির্ধারণ করতে পেরেছেন। তাদের ধারণা, নিহত শিশুদের ৬০ শতাংশেরই বয়স ১২ থেকে ১৬’র মধ্যে। আর ৬ শতাংশের বয়স ৮ থেকে ১২’র মধ্যে। প্রতিবেদনে শিশুদের ইরাক এবং সিরিয়ার মধ্যকার অভিযানে অংশ নেয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। অর্ধেকেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে ইরাকে। তবে নিহত শিশুদের বেশিরভাগই সিরীয়। এ থেকে বোঝা যায়, আইএস সিরিয়ায় শিশুদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে এবং তাদের ইরাকেও পাঠাতে পারে। নিহত অন্য শিশুরা হচ্ছে ইয়েমেন, সৌদি আরব, তিউনিসিয়া এবং লিবিয়ার। এছাড়া যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং নাইজিরিয়ারও কিছু শিশু আইএসের হয়ে যুদ্ধে নিহত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনের এক কো-অথার চার্লি উইন্টার বলেছেন, এমনভাবে নিশ্চয়ই আরও অনেক শিশু নিহত হয়েছে। ‘আগুন ঝর্ণা’ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ইয়োসেমিটি ন্যাশনাল পার্কে পাহাড়ের উঁচু থেকে নেমে আসছে আগুনের ঝর্ণাধারা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে পার্কে আগুন ঝর্ণাটি দেখা যায়। আসলে এটি এল ক্যাপিতান পর্বত থেকে আসা সাধারণ পানিরই একটি ঝর্ণা। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে অস্তগামী সূর্যের আলো বিশেষ কোন থেকে পড়ার কারণে এটিকে আগুনের ঝর্ণার মতো দেখা যায়। -বিবিসি গল্প বলতে চেয়ে রাজাকে চিঠি যুদ্ধবিদ্ধস্ত পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে গত দু’বছর ধরে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হাতে করে পালিয়েছেন। জন্মভূমিতে কেমন ছিল? পরভূমে এসে কেমন আছে? সেই গল্প শোনানোর জন্য সুইডেনের রাজার কাছে চিঠি লিখেছে এক শরণার্থী সিরীয় কুর্দি শিশু আহমেদ (১২)। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মা, বাবা ও ছোট্ট ভাইয়ের সঙ্গে শরণার্থীদের মিছিলে মিশে আহমেদ এসে পৌঁছায় সুইডেনের মালমো শহরে। ভর্তি হয় সোফিলুন্ডস্কোলান স্কুলে। স্কুলের কাউন্সিলর পুজা শরাফিকে আরবীতে লেখা চিঠি দিয়ে সে তার ইচ্ছার কথা জানায়। -আনন্দবাজার পত্রিকা
×