ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চলে গেলেন ঔপন্যাসিক, দার্শনিক উমবের্তো একো

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চলে গেলেন ঔপন্যাসিক, দার্শনিক উমবের্তো একো

রহস্যোপন্যাস ‘নেইম অব দ্য রোজ’খ্যাত ইতালিয়ান ঔপন্যাসিক ও দার্শনিক উমবের্তো একো আর নেই। ৮৪ বছর বয়সী এই লেখক শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তবে তিনি মিলান ও রিমিনির কোন্ বাড়িতে মারা গেছেন কিংবা তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। খবর বিবিসির। ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেসান্দ্রিয়ায় ১৯৩২ সালে জন্মগ্রহণ করা একো লেখালেখি চালিয়ে গেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। চিহ্নবিজ্ঞানী, ঐতিহাসিক এবং সাহিত্য সমালোচক একোর প্রথম যে উপন্যাসটি ১৯৮০ সালে প্রকাশিত হয়, তিন বছর পর সেটিই ‘দ্য নেইম অব দ্য রোজ’ নামে ইংরেজীতে অনূদিত হয়, যা বিশ্বজুড়ে সাহিত্যপ্রেমীদের মধ্যে আলোড়ন তোলে। ১৯৮৯ সালে উপন্যাসটি চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়, যাতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন বিখ্যাত অভিনেতা শন কনারি। পাশাপাশি এই রহস্যোপন্যাসে লেখক সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন চিহ্নবিজ্ঞান, সাহিত্যতত্ত্ব, বাইবেলের নানান ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, মধ্যযুগের দর্শন, ইতিহাস ইত্যাদির। একোর আরও কয়েকটি উপন্যাস হচ্ছে ‘ফুকোজ পেন্ডুলাম’ (১৯৮৮), ‘দ্য আইল্যান্ড অব দ্য ডে বিফোর’ (১৯৯৫), ‘বাউদোলিনো’ (২০০০), ‘দ্য মিস্টেরিয়াস ফ্লেইম অব কুইন লোয়ানা’ (২০০৫) ও ‘ইয়ার জিরো’। এর মধ্যে শেষেরটি গত বছর প্রকাশিত হয়। এছাড়া ‘মিসরিডিংস’, ‘ট্রাভেলস ইন হাইপাররিয়ালিটি’ ও ‘হাউ টু ট্রাভেল উইথ আ স্যামন এ্যান্ড আদার এসেজ’ নামের প্রবন্ধ সঙ্কলনও রয়েছে তার। পাঠকনন্দিত হয়েছে তার ‘অন লিট্রেচার’, ‘অন বিউটি’ এবং ‘অন আগলিনেস’ নামের তিনটি গ্রন্থও। ‘আমি একজন দার্শনিক; কেবল সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেই আমি উপন্যাস লিখি’- এমনটাই ছিল নিজের সম্পর্কে এই লেখকের উপলব্ধি। একোর হাতেই ১৯৮০ সালে ইতালির সান মারিনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যোগাযোগ বিভাগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের ভূগর্ভস্থ পানি তেরো বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে সৌদি আরবে আগামী ১৩ বছরের মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ শেষ হয়ে যেতে পারে। দেশটির ফয়সাল ইউনিভার্সিটির এক ফ্যাকাল্টি মেম্বার মোহম্মদ আল-ঘামদি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে পানির সঙ্কটের তথ্য তুলে ধরার পর থেকে ভূগর্ভস্থ পানি কমে যাচ্ছে। খবর দ্য ইনডিপেন্ডেন্টের। সৌদি আল-ওয়াতান এ্যারাবিক পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপসাগরীয় দেশগুলোতে জনপ্রতি পানি ব্যবহারের হার অনেক বেশি হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে। সৌদি আরবে জনপ্রতি প্রতিদিন ২৬৫ লিটার পানি ব্যবহার করা হয়, যা ইউরোপের তুলনায় দ্বিগুণ। সৌদি আরবে দু’ভাবে পানির উৎপাদন করা হয়। তা হলো ভূগর্ভস্থ ও সমুদ্রের লোনা পানি থেকে লবণ অপসারণ করে। তবে লবণ অপসারণ করে পানি উৎপাদন প্রক্রিয়া সবচেয়ে ব্যয়বহুল। ভূগর্ভস্থ পানির মাধ্যমেই সৌদি আরবের ৯৮ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়। কারণ দেশটিতে নদী ও জলাশয় কোনটাই নেই। দ্য নিউ আরব জানিয়েছে, সৌদি আরবের মধ্যাঞ্চলে জলাধারগুলো বালিতে পরিণত হয়েছে। সৌদি জলবায়ু অধ্যাপকদের ধারণা, পানির সঙ্কট শুরু হয়েছে ১৯৮৩ সালে দেশটিতে গম উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়ার পর থেকেই। তবে দেশটিতে গম চাষ এখন নিষিদ্ধ। কিন্তু খড়, জলপাই ও খেজুর উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।
×