ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভালুকায় পাম চাষে ব্যাপক সাফল্য

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ভালুকায় পাম চাষে ব্যাপক সাফল্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিং, ১৯ ফেব্রুয়ারি ॥ পাহাড়, টিলা, বাইদ আর শাল গজারির বনে ঘেরা ভালুকা উপজেলায় সফলভাবে মিষ্টি সৌদি খেজুর ও মাল্টা চাষ হবার পর এবার পাম চাষে সফলতা দেখিয়ে নতুন চমক দেখালেন ভালুকার রাজৈ ইউনিয়নের কুল্লাব গ্রামের উদ্যোমী, সাহসী, পরিশ্রমী এবং ধৈর্যশীল চাষী আনোয়ার ইসলাম (ফকির)। ২০১০ সালে তিনি তার বাড়ির আশে উঁচু, নিচু, টিলার পরিত্যক্ত প্রায় ১০ একর জমিতে ২ হাজার পাম গাছের চারা রোপণ করেন। তার বাগানে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা। সৌদি আরবে চাকরিরত অবস্থায়ই তিনি পাম চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ হন। বর্তমানে রোপণকৃত অধিকাংশ গাছেই পাম ফল ধরতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, গত বছর থেকে নিজেই তার বাগানের পাম ফল থেকে সফলভাবে পাম তেল নিষ্কাশন শুরু করেছেন। বাজারে প্রচলিত পাম ওয়েল থেকে যথেষ্ট উন্নত ও সুস্বাদু। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই কুমিল্লাা এবং গাজীপুরে পাম ফল থেকে তেল প্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। তাই পাম চাষের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। বর্তমানে তার বাগানে যে পরিমাণে পাম ফলের মোচা দেখা যাচ্ছে তাতে আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই তার বাগান থেকে ব্যাপকভাবে পাম ফল এবং তেল পাওয়া যাবে। পাম চাষী মোঃ আনোয়ার ইসলাম (ফকির) জানান, এ বছর তার বাগানে ২০ টন ফল আহরণ করা যাবে। ওই ফল পরিশোধিত করে প্রায় ১০ টন পাম তেল পাওয়া যাবে। আহরিত পাম ফল প্রতি কেজি ২৫ টাকা ধরে ৫০ লাখ টাকায় কিনে নিতে কুমিল্লার একটি ফার্ম আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্যাপকভাবে পাম চাষ হলে গার্মেন্টসের পরেই পাম চাষ হবে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আজম খান জানান, ভালুকা উপজেলার মাটি খরা প্রবণ হওয়ায় এবং উঁচু টিলা ও পরিত্যক্ত ভূমি থাকায় পাম চাষের জন্য উপযোগী। ব্যাপকভাবে পাম চাষ করা গেলে বিদেশ থেকে পাম তৈল আমদানি করার প্রয়োজন হবে না ।
×