ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা গণমাধ্যমের ওপর আঘাত নয় ॥ জয়

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মাহফুজ আনামের  বিরুদ্ধে মামলা গণমাধ্যমের  ওপর আঘাত  নয় ॥ জয়

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা নিয়ে সমালোচনার জবাবে বলেছেন, এটা গণমাধ্যমের ওপর আঘাত নয়, এটা ফৌজদারি মামলাও নয়, এটা হলো দেওয়ানি মামলা। আধুনিক আইনী ব্যবস্থা সম্পন্ন সব দেশেই এটা ঘটে। কেউ যদি কারও ক্ষতি করেন, সংক্ষুব্ধ পক্ষের তার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করার সব ধরনের অধিকার রয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন। মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে জয় লিখেছেন, আমাদের ‘সুশীল সমাজের’ কিছু অংশ এবং কিছু সংবাদপত্রের সম্পাদক আমার মায়ের বিরুদ্ধে মাহফুজ আনামের মিথ্যা তথ্য ও সাজানো প্রচারে স্বীকারোক্তির পর তার বিরুদ্ধে হওয়া দেওয়ানি মানহানির মামলাগুলোর সমালোচনা করছেন। আমাদের সরকার তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেনি। মামলাগুলো সবই দেওয়ানি প্রকৃতির, যা আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে দায়ের করা হয়। মাহফুজ আনামের ‘স্বীকারোক্তি’র বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বঙ্গবন্ধুর এই দৌহিত্র বলেন, আমি জানতে চাই, যা কিছু ঘটেছে তাতে গণমাধ্যমকে দায়মুক্তি দেয়া যায় কিনা? মাহফুজ আনাম স্বীকার করেছেন কেবল একটিই নয়, এসব মিথ্যা কাহিনী ধারাবাহিকভাবে তিনি আমার মায়ের বিরুদ্ধে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চালিয়েছেন। তার কর্মকা-ের ফলে আমার মা তার এই বয়সে ১১ মাস জেলে কাটিয়েছেন। এত কিছুর পর তিনি (মাহফুজ আনাম) বলেন, ‘ওহ হো, আমার ভুল হয়েছে!’ আর আমাদের সেসব ভুলে গিয়ে এগুতে হবে? আমার মা, আমার পরিবার এবং আমাদের দল আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনই বিচার থাকবে না? সেখানে কোনই জবাবদিহিতা থাকা উচিত না?’ সজীব ওয়াজেদ জয় আরও লিখেছেন, রাজনীতিকদের আইন মেনে চলতে হবে নয়ত জেলে যেতে হবে। পুলিশকে আইন মেনে চলতে হবে নতুবা জেলে যেতে হবে। কিন্তু মিথ্যা কাহিনী লেখার জন্য কোন আইন থাকবে না। দেওয়ানি আইনে রাজনীতিক ও বিখ্যাত ব্যক্তির একমাত্র আশ্রয় হচ্ছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া। অন্য কিছু যদি নাও হয়, শুধু উকিল খরচ এবং আদালতে যাওয়ার সময় বিবেচনায় একজন সাংবাদিককে মিথ্যা তথ্য ছাপানো এবং অন্যের সুনাম ক্ষুণেœর আগে দ্বিতীবার ভাবা উচিত। যদিও, এই গোত্রের লোকেরা এটুকু স্বল্পমাত্রার জবাবদিহিতাও চায় না। তার বদলে তারা একে গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আখ্যা দিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চায়। জয় বলেন, মাহফুজ আনাম যদি হয়রানি বোধ করেন, মিথ্যা অভিযোগে ১১ মাস জেলে কাটানোর অনুভূতি কেমন সম্ভবত তা তার জানা উচিত।
×