ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যাককুলামের কাছে খেলাটাই বড়

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ম্যাককুলামের কাছে খেলাটাই বড়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ঘিরে আলোচনায় কেবলই ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। আজ থেকে শুরু, স্বাভাবিক নিয়মে সমাপ্তি হলে দুই-তিন বা আরও চারটি দিন, এরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাবেক হয়ে যাবেন আধুনিক নিউজিল্যান্ডের আকর্ষণীয় এই ক্রিককেটার। দেশটির ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ তাই ম্যাককুলামে বুঁদ। যেন ঘোরের মধ্যে কাটছে কিউইদের সময়। ঠিক তখনই ‘আসল’ কথাটা স্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক জানালেন, তার বিদায়ের ডামাডোলে করণীয় ভুললে চলবে না। সমতায় সিরিজ শেষ করতে সতীর্থদের ম্যাচে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ম্যাককুলাম স্পষ্ট করে বললেন, বিদায়ের জন্য রঙিন আয়োজন নয়, বরং তার কাছে খেলাটাই বড়। জিততে মরিয়া কিউই শিবির। ‘সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে। আমাদের কাজ বাকি আছে। এই একটা মাত্র টেস্টই হাতে। সব বাদ দিয়ে সিরিজে সমতা আনার রাস্তা খুঁজতে হবে। অবশ্যই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিদায়ী টেস্টটা উপভোগ করতে চাই। তবে ক্রাইস্টচার্চে জিতে সমতায় সিরিজ শেষ করাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’ ম্যাচে আর একটি ছক্কা মারলে অস্ট্রেলিয়ার এ্যাডাম গিলিক্রিস্টকে ছাড়িয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়ে বিদায় নেয়ার সুযোগ ম্যাককুলামের সামনে। তবে সেটি নিয়ে একদমই ভাবছেন না কিউই সেনাপতি। ঘড়ের মাঠে জীবনের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে একটুও কি আবেগ ছুঁয়ে যাবে না? এমন প্রশ্নে ম্যাককুলামের উত্তর, ‘আমি কতটা ব্যাট করতে পারি, তার ওপরই এটি নির্ভর করছে, এখনই বলা যাচ্ছে না! প্রথম লক্ষ্য ভাল খেলা’ ক্রাইস্টচার্চের সবুজ উইকেটে পসাররাই এই টেস্টের বাজি বলে উল্লেখ করেন ম্যাককুলাম, ‘এখানকার উইকেটে চমৎকার ঘাস আছে। আমি নিশ্চিত দু-দলের বোলাররা এমনটাই চায়।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্রাইস্টচার্চের উইকেটে ব্যাট হাতে স্বচ্ছন্দে সময় কাটবে, এমনটা ভাবার উপায় নেই। এখানে পেসাররাই এগিয়ে থাকবে। আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। শুরুটা অবশ্যই ভাল হতে হবে। প্রতিপক্ষকে বিন্দুমাত্র সুযোগ দেয়া যাবে না। কারণ সুযোগের সদ্ব্যবহার কীভাবে করতে হয় তারা তা ভাল করেই জানে।’ সফরে প্রথমে ওয়ানডে সিরিজে হারলেও টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৫২ রানের বড় জয় তুলে নেয় স্টিভেন স্মিথের দল। এই টেস্টটা ড্র করলেও সিরিজ জয়ের পাশাপাশি র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে উঠে যাবে অস্ট্রেলিয়া। সুতরাং অনেকটা নির্ভার হয়ে খেলবে সফরকারীরা। অধিনায়ক স্মিথ বলেন, ‘উইকেটে ঘাস ও বাউন্স থাকবে, এতে উদ্বেগের কিছু নেই। এখানে আসার আগেই আমরা জানতাম কি করতে হবে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে স্কোরবোর্ডে বড় রান সংগ্রহ করতে ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’ কিছুদিন আগে ঘরের মাটিতে সিরিজ জেতে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বিদেশে দলটির অবস্থা ভাল নয়। অসিরা দেশের বাইরে সর্বশেষ সিরিজ জিতেছিল ২০১০ সালে, এই নিউজিল্যান্ডেই। ২০০৯Ñএ ইংল্যান্ডে, ২০১০Ñএ পাকিস্তানের বিপক্ষে (ইংল্যান্ডে), ২০১৪Ñএ দক্ষিণ আফ্রিকায়, গত বছর ইংল্যান্ডে এ্যাশেজ সিরিজে জয়ের মতো অবস্থায় থেকেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
×