ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অযত্ন অবহেলায় কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ‘রামমালা প্রন্থাগার’

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অযত্ন অবহেলায় কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ‘রামমালা প্রন্থাগার’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘদিন ধরে অযতœ অবহেলায় পড়ে আছে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ‘রামমালা গ্রন্থাগার’। এতে দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের হাজারও মূল্যবান পা-ুলিপি। গবেষকরা বলছেন, সংস্কৃতি চর্চার বিকাশে, এ সংগ্রহশালাটি রক্ষণাবেক্ষণে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। তবে গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতার কারণে, শুধু ট্রাস্টের অর্থ দিয়ে এটি পরিচালিত হতে পারবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১৯১২ সালে কুমিল্লার রামঘটলার মহেশাঙ্গণে, ‘রামমালা গ্রন্থাগার’ প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী মহেশ ভট্টাচার্য। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশ-বিদেশের বই সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। প্রায় ৩৭ বছর ধরে আট হাজার প্রাচীন পুঁথির পাশাপাশি বাংলা, সংস্কৃতসহ বিভিন্ন ভাষার হাজারও দুর্লভ বইয়ের সমাহার ঘটান এ গ্রন্থশালায়। ১৯৪৯ সালে তার মৃত্যুর পর গঠিত মহেশ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে গ্রন্থাগারটি। কিন্তু অযতœ আর অবহেলায় দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এখানকার মূল্যবান পা-ুলিপি। কুমিল্লার রামমালা গ্রন্থাগারের সহকারী গ্রন্থাগারিক ইন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, ‘আমরা মনে করি সংস্কৃতচর্চা পুনরায় শুরু করা খুবই প্রয়োজন।’ কুমিল্লা নজরুল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অশোক বড়ুয়া বলেন, ‘সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এই গ্রন্থশালাকে যদি আরও ভালভাবে সংরক্ষণ করা হয় তাহলে এর মূল্যবান সম্পদগুলো রক্ষা পাবে।’ সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে ঐতিহ্যের এ গ্রন্থাগারটি সবার জন্য উন্মুক্ত করার দাবি পাঠকদের। বিভিন্ন মহল থেকে গ্রন্থাগারের উন্নয়নে সরকারী সহযোগিতা দেয়ার দাবি জানালেও ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনী বাধায় সহায়তা নিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। মহেশ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সেক্রেটারি অধ্যাপক চন্দন কুমার রায় বলেন, ‘মহেশ ভট্টাচার্য একটা কাজ করে গেছেন তা হলো এই প্রতিষ্ঠান সাহায্য করবে। কিন্তু কোন সাহায্য নিতে পারবে না। সুতরাং সরকারী কোন সহযোগিতা নেয়ার সুযোগ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এখানে নেই।’ ঐতিহ্যবাহী রামমালা গ্রন্থাগারের গবেষণা, সাধারণ ও পুঁথি বিভাগে ভারতীয় সংস্কৃতি, বিভিন্ন ধর্ম, চিকিৎসাশাস্ত্র ও ইতিহাসসহ প্রায় ৩০ হাজার দুর্লভ বই রয়েছে। মিটার ছাড়া চলছে সিএনজি অটোরিক্সা সরকারী নির্দেশ আর বিআরটিএ’র অভিযানের মধ্যেও মিটার ছাড়া চলছে বেশিরভাগ সিএনজি অটোরিক্সা। আবার ভাড়াও নেয়া হয় ইচ্ছা মতো। বিআরটিএ বলছে, প্রায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতে আইন ভঙ্গকারীদেরর সাজা দেয়া হচ্ছে। তারপরও মিটারে চালু করা যাচ্ছে না সিএনজি অটোরিক্সা। যানজট এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছার সুবিধার কারণে সিএনজি অটোরিক্সা জনপ্রিয়তা পায় শুরু থেকেই। কিন্তু যাত্রীর চাহিদামতো গন্তব্যে না যেতে গো ধরে বেশিরভাগ সময়। আবার ভাড়াও হাঁকে ইচ্ছামতোÑ এমন অভিযোগ আছে। ফলে যাত্রী ভোগান্তি নিত্যদিনের বিষয়। সরকার গেল বছর পহেলা নবেম্বর থেকে অটোরিক্সার মিটারে চলা বাধ্যতামূলক করে। কিন্তু বাস্তবে নেই তার প্রতিফলন। বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত গত বছরের নবেম্বর থেকে এ পর্যন্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৩৯২৮টি, যার বেশিরভাগই সিএনজি অটোরিক্সার বিরুদ্ধে। আর সিএনজি অটোরিক্সা যে পুরোপুরি মিটারে চলছে না সেটাও অজানা নেই বিআরটিএ’র। এজন্য যাত্রীদেরও কিছুটা দুষছেন তারা। অটোরিক্সা চলাচলের এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির জন্য চালকের মতো মালিকও দায়ী বলছেন অনেকে। নিয়ম ভেঙ্গে দুই শিফটে অটোরিক্সা চালানো আর বেশি জমার অভিযোগ মালিকের বিরুদ্ধে। তাই দায়ীদের শান্তির কথা জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। নতুন করে আরও হাজার পাঁচেক সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের অনুমতি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে, জানায় বিআরটিএ। Ñস্টাফ রিপোর্টার
×