ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আলো ছড়াচ্ছে মাতৃভাষা লাইব্রেরী

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আলো ছড়াচ্ছে মাতৃভাষা লাইব্রেরী

উদ্যোমী এক যুবকের চেষ্টায় গড়ে উঠেছে লাইব্রেরি। যুবকের নাম কামরুজ্জামান টুটুল। আর তার প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরির নাম মাতৃভাষা পাবলিক লাইব্রেরি। শ্যামল-ছায়া ঢাকা গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাশে ছোট্ট টিনশেড ঘর। বাঁশের খুঁটিতে ঘরের সামনে টাঙানো সাইনবোর্ডটি যে কোন আগন্তুকেরই নজর কাড়ে। ভেতরে ঢুকলে অবাক না হয়ে উপায় নেই। ঘরভর্তি মানুষ, অথচ পিনপতন নীরবতা। বই দিয়ে ঠাসা ভাঙাচোরা কয়েকটি আলমারি ওই ঘরের একপাশ দখল করে আছে, আর অন্যপাশে লম্বা টেবিলে সারিবদ্ধভাবে বসে কেউ বই পড়ছে, কেউবা চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে পত্রিকার পাতায়। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার অজপাড়াগাঁ কালুহুদায় টুটুল গড়ে তুলেছেন ব্যতিক্রমী এ লাইব্রেরি। ২০০১ সালে টুটুল নিরলস প্রচেষ্টায় আধুনিক সুযোগবঞ্চিত নিভৃত পল্লীতে গড়েন লাইব্রেরিটি। ১৫ বছরের ব্যবধানে ছোট্ট পরিসরের সেই লাইব্রেরি বিস্তৃতি পেয়েছে আশপাশের প্রত্যন্ত গ্রামেও। আলোকিত করছে পুরো অঞ্চলকে। মাতৃভাষা লাইব্রেরি বদলে দিয়েছে এলাকার শিক্ষা, কৃষি ও সামাজিক পরিবেশ। টুটুল জানান, ২০০০ সালের আকস্মিক বন্যায় এলাকায় ব্যাপক ফসলহানি হয়। বাড়িঘরে বন্যার পানি ঢোকায় ভিজে নষ্ট হয়ে যায় বইখাতা। ফলে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা নতুন করে বইখাতা কিনতে না পেরে সঙ্কটের মধ্যে পড়ে। তখনই টুটুলের মাথায় লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার ভাবনা আসে। এরপর নিজের বাড়ির এক কোণায় টিন-বাঁশের ঘর তৈরি করে মামা শহীদ সাংবাদিক শামছুর রহমানের লেখা ‘ধূসর সীমান্ত’সহ মাত্র ৫০টি বই নিয়ে লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। এখন বইয়ের সংখ্যা সাড়ে চার হাজার। পাঠ্যপুস্তক, কৃষি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই, গল্প-উপন্যাস, কবিতা-প্রবন্ধ, সাহিত্যসহ সব ধরনের বই আছে এ তালিকায়। এছাড়া প্রতিদিন সাত কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে উপজেলা সদর থেকে সংগ্রহ করে আনেন দৈনিক পত্রিকা। Ñসাজেদ রহমান, যশোর থেকে
×