ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৬১ হাজার বইয়ের বিশাল সমাহার

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

৬১ হাজার বইয়ের বিশাল সমাহার

ইতিহাসসমৃদ্ধ বইয়ের বিশাল সংগ্রহশালা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার। এক শ’ কিংবা দুই শ’ নয়, একষট্টি হাজার বইয়ের বিশাল সংগ্রহশালা এটি। আজ থেকে ১৩২ বছর আগে ১৮৮৪ সাল থেকে পথচলা শুরু। রাজশাহী নগরীর মিয়াপাড়ায় অবস্থিত বলে এটিকে ‘মিয়াপাড়া সাধারণ গ্রন্থাগার’ বলেই চেনে অনেকে। এটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাণী ভবানীর বংশধর রাজা আনন্দনাথ। বহু মনীষীর পদধুলি মিশে আছে বিশাল এ গ্রন্থাগারে। চারদিকে গ্যালারি ভর্তি গাদা গাদা বই আর বই। দেশে প্রতিষ্ঠিত অন্যতম প্রাচীন লাইব্রেরি এটি। এ গ্রন্থাগারের ৩৬ বছরের সাক্ষী হয়ে আছেন শুকুর মোহাম্মদ। বিগত ৩৬ বছর ধরে একাই সামলে চলেছেন একষট্টি হাজার বইয়ের এ সম্ভার। এখনও তিনি এটির গ্রন্থাগারিক। শুকুর মোহাম্মদ জানান, বর্তমানে ৬১ হাজার বইপত্র রয়েছে এখানে। এর মধ্যে ৩৬ হাজার বই এবং ২৫ হাজার পত্রিকার সংকলন রয়েছে। প্রতিদিন মোট ১৬ টি স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকা রাখা হয়। তবে পাঠক কমে গেছে। দিনে ৫০ থেকে ৬০ পাঠক আসে। এর অধিকাংশ পত্রিকার পাঠক। দোতলা ভবনের নিচের তলায় রয়েছে অফিস, পত্রিকা পাঠের কক্ষ এবং মিলনায়তন। ওপর তলায় তিন কক্ষে রয়েছে লাইব্রেরি। এর একটি রেফারেন্স শাখা। বিশিষ্ট লেখক আব্দুর রশীদ খানের ‘রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ গ্রন্থে বলা হয়েছে, ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয় এ গ্রন্থাগার। তবে এর আগে ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টারের স্ট্যাটিসটিক্যাল এ্যাকাউন্ট বইতেও এই লাইব্রেরির কথা বলা হয়েছে। ১৮৮৪ সালে ভবন এবং জমি পাওয়ার পর লাইব্রেরিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। হান্টারের দেয়া তথ্য মতে, ১৮৭১ থেকে ’৭২ সালে এই লাইব্রেরিতে বই ছিল মাত্র তিন হাজার ২৪৭টি এবং সাময়িকী ছিল ছয়টি। রাজা আনন্দ রায়ের পরে তার ছেলে রাজা চন্দ্র রায় বছরে ২০ পাউন্ড বা ২০০ টাকা অনুদান দিতেন। বর্তমান ভবনে আসার আগে লাইব্রেরিটি বিভিন্ন জায়গায় ছিল। এর মধ্যে নগরীর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের কাশিমপুর হাউসে ছিল এই গ্রন্থাগার। দিঘাপতিয়ার রাজা প্রমথনাথ রায়ের দানে বর্তমান ভবনে মিয়াপাড়ায় গ্রন্থাগারটি স্থানান্তরিত হয়। তার চার ছেলে রাজা প্রমদানাথ রায়, কুমার বসন্ত কুমার রায়, কুমার শরৎ কুমার রায়, কুমার হেমন্ত কুমার রায় এবং মেয়ে রাজকুমারী ইন্দুপ্রভা রায় রাজশাহীর অন্য প্রতিষ্ঠানের মতো এই লাইব্রেরিতে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেন। Ñমামুন-অর-রশিদ রাজশাহী থেকে
×