ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রীড়াবিদদের সাফল্যে সন্তুষ্ট বিওএ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ক্রীড়াবিদদের সাফল্যে সন্তুষ্ট বিওএ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সদ্যই ভারতের অসম ও মেঘালয় রাজ্যের গুয়াহাটি এবং শিলংয়ে শেষ হয়েছে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক’ খ্যাত সাউথ এশিয়ান গেমসের ১২তম আসর। এবারের আসরে ৪ স্বর্ণসহ মোট ৭৫ পদক জিতে পঞ্চম স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের দেশের এই পারফর্মেন্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা চৌধুরী। এবারের গেমসে ১৮৮ স্বর্ণসহ ৩০৮ পদক নিয়ে যথারীতি শীর্ষস্থান লাভ করে স্বাগতিক ভারত। ২৫ স্বর্ণসহ ১৮৬ পদক নিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কা। ১২ স্বর্ণসহ ১০৬ পদক নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থান পেয়েছে পাকিস্তান। আসরের শেষদিকে এসে চমক দেখায় আফগানিস্তান। ৭ স্বর্ণসহ ৩৫ পদক নিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে চতুর্থ স্থান লাভ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। পঞ্চম হওয়া বাংলাদেশ ৪ স্বর্ণের পাশাপাশি জিতেছে ১৫ রৌপ্য ও ৫৬ ব্রোঞ্জপদক। গত ২০১০ আসরে পদক তালিকায় বাংলাদেশ ছিল তিন নম্বরে, এবার লাল-সবুজের দেশ দুই ধাপ পেছনে স্থান পেয়েছে। এরপরও বাংলাদেশের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিওএ মহাসচিব। সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি বলতে চাই, এসএ গেমসে দলের পারফর্মেন্সে আমি খুশি। আমরা ২২ ডিসিপ্লিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। এ্যাথলেটরা বেশিরভাগ ইভেন্টে নিজেদের সাধ্যমতো সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ ফেডারেশন ও এ্যাথলেটদের সুযোগ হয়নি আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। এরপরও এসএ গেমসে সবাই ভাল করার চেষ্টা করেছে। সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, আমার ধারণা এসএ গেমস একটা আদর্শ আসর যার মাধ্যমে পরিমাপ করা সম্ভব আমাদের এ্যাথলেটদের আন্তর্জাতিক মান কেমন। আমি বিশ্বাস করি এসএ গেমসের সাফল্য এ্যাথলেটদের আরও ভাল করতে অনুপ্রাণিত করবে। এবারের আসরে বাংলাদেশের অর্জন ৪ স্বর্ণপদক। এর মধ্যে ৩টিই জিতেছেন নারী ক্রীড়াবিদরা। ভারোত্তোলনে মাবিয়া আক্তার সিমান্ত জেতেন প্রথম স্বর্ণ। এরপর সাঁতারু মাহফুজা আক্তার শিলা একাই জেতেন ২ স্বর্ণ। আর পুরুষদের মধ্যে একমাত্র স্বর্ণজয় করেন পিস্তল শূটিংয়ে শাকিল আহমেদ। গেমসে সাঁতার থেকে দুটি স্বর্ণ জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন মাহফুজা। এ প্রসঙ্গে শাহেদ রেজা বলেন, সত্যি কথা বলতে, পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা প্রতি দেশের সাঁতারুরাই শারীরিকভাবে আমাদের সাঁতারুদের চেয়ে সামর্থ্যবান। এরপরও মাহফুজা আক্তার শিলা তাদের হারিয়েছে। এটা অসাধারণ একটা অর্জন। আমাদের সাঁতারুদের সামর্থ্য আছে সেটা প্রমাণ হয়েছে। এদের সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে আরও ভাল করা সম্ভব। পরবর্তী এসএ গেমসে আরও ভাল করার প্রত্যয়ের কথা শুনিয়েছেন সাবেক এই কূটনৈতিক। এ নিয়ে করণীয় ঠিক করতে দ্রুতই তারা বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে শাহেদ রেজা বলেন, আমরা শীঘ্রই বৈঠকে বসব এবং আলোচনা করব ভবিষ্যত কর্মসূচী নিয়ে। উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে এ্যাথলেটদের পাঠানোর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। এবারের এসএ গেমসকে সামনে রেখে ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিভিন্ন ফেডারেশন তাদের প্রস্তুতিপর্ব শুরু করে। এবারের আসরে আরচারি, এ্যাথলেটিক্স, বক্সিং, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, কাবাডি শূটিং, সুইমিং, ভলিবল, তায়কোয়ানদো, ভারোত্তোলন, কুস্তি, সাইক্লিং, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, ফুটবল, জুডো, টেনিস, হকি, খো খো, উশু ও স্কোয়াশসহ ২২ ডিসিপ্লিনে অংশ নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ শুধু ট্রায়াথলন ডিসিপ্লিনে অংশ নেয়নি। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২২৩ পুরুষ এবং ১৪৭ মহিলা খেলোয়াড়, ৬০ কোচ, ৩৯ ম্যানেজার এবং অন্যান্য কর্মকর্তাসহ মোট ৪৬৯ সদস্যের দল অংশগ্রহণ করে।
×