ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডেইরি, মৎস্য, পোষাপ্রাণী মেলা ও সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী

চতুষ্পদ জন্তুর ক্ষেত্রে ৪৫ বছর আগে যেখানে ছিলাম সেখানেই আছি

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চতুষ্পদ জন্তুর ক্ষেত্রে ৪৫ বছর আগে যেখানে ছিলাম সেখানেই আছি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চতুষ্পদ জন্তুর ক্ষেত্রে দেশে কোন উন্নয়ন ঘটেনি, ৪৫ বছর পূর্বে দেশ যে অবস্থায় ছিল এখনও সেখানেই রয়েছে। শষ্য ও মৎস্যসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটলেও এই একটি খাতে দেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। তাই এ খাতকে এগিয়ে নিতে সম্মিলিতভাবে ৩ বছরের একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশে গরুর যে অভাব রয়েছে তা পূরণ করতে হবে, আমিষের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে একই সঙ্গে বাড়াতে হবে দুধের সরবরাহ। একই সময়ে শিশু খাদ্যের ৫০ শতাংশ পূরণের সক্ষমতা নিজেদের অর্জন করতে হবে। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে ডেইরি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ‘৩য় আন্তর্জাতিক ডেইরি, মৎস্য ও পোষাপ্রাণী মেলা ও সেমিনার-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। তিনদিন ব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে এ্যানিমেল হেল্থ কোম্পানিজ এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাণিজ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শষ্যক্ষেত্রে আমরা অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছি, নিজেরা চলতে পারি। মৎস্য খাতেও বিগত ১০ বছরে খুব ভাল করেছি। কিন্তু চতুষ্পদ জন্তুর ক্ষেত্রে দেখি আমরা যে অবস্থায় ছিলাম এখনও সেখানেই আছি। এই একটি ক্ষেত্রে আমাদের কোন উন্নয়ন হয়নি। কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান কৃষি মন্ত্রণালয় করে, কিন্তু এ অনুষ্ঠান করছে এ্যানিমেল হেল্থ কোম্পানিজ এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব)। এতেই প্রমাণিত হয়, এ ক্ষেত্রে আমরা কতটা পিছিয়ে আছি। এসময় অর্থমমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে চতুষ্পদ জন্তু ছাগলের ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নয়ন হলেও আমাদের গরুর অভাব রয়েছে। বিশেষ করে গরুর দুধের যে চাহিদা আমরা তা পূরণ করতে পারছি না। চাহিদা পূরণ করতে তিন বছরের মধ্যে দুধ সরবরাহ ও আমিষ-খাদ্য উৎপাদনের আমূল পরিবর্তন আনার জন্য গো-খামারি, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের অঙ্গীকার নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আজ আপনাদের অঙ্গীকার করার আহ্বান জানাই, আগামী ৩ বছরের মধ্যে গরুর যে অভব রয়েছে তা পূরণ করার চেষ্টা করেন। যাতে দুধ ও আমিষের সরবরাহ তিনগুণ বাড়াতে পারি। এ সময়ের মধ্যে শিশু খাদ্যের ৫০ শতাংশ পূরণ করারও আহ্বান জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা আমূল পরিবর্তন করেছি। ৪৫ বছরে ১০ লাখ টন থেকে ৩ কোটি ৮০ লাখ টন শস্য উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি। মৎস্য উৎপাদনেও ১০ থেকে ১২ বছরে অনেক উন্নতি সাধন করেছি। তবে চতুষ্পদ জন্তুর ক্ষেত্রে ৪৫ বছর পূর্বে যে অবস্থান ছিল এখনও সেখানেই আছি। একমাত্র এখানেই আমরা কোন উন্নতি করতে পারিনি। আমাদের যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে এটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের গো-সম্পদের উন্নয়ন করতে হবে।
×