ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বুড়িমারী বন্দরে শ্রমিক ধর্মঘট

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বুড়িমারী বন্দরে শ্রমিক ধর্মঘট

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৮ ফেব্রুয়ারি ॥ বুড়িমারী স্থলবন্দরে লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার পর হতে নানা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্থলবন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ধর্মঘট শুরু করে দিয়েছে। এতে বন্দরে প্রায় দুই শতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। আটকা পড়া ট্রাকগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে কাঁচাপণ্য পেঁয়াজ ও কমলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক নেতাদের সূত্রে জানা যায়, পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত স্থলবন্দরটি দেশের একমাত্র স্থলবন্দর যে, বন্দর দিয়ে ত্রিদেশীয় বাণিজ্য হয়। দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, ভুটান ও নেপাল। ভারতীয় ট্রাকচালক রমেশ চন্দ্র জানায়, বুড়িমারী স্থলবন্দরে পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে সকালে এলে সন্ধ্যায় ছাড়পত্র পাওয়া যায়। এতে শ্রমঘণ্টা নষ্ট হয়। ট্রাক মালিককে অর্থ দিতে হয়। সাথে সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিলে উভয় দেশের শ্রমঘণ্টা অপচয় কমে যাবে। বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মী আব্দুস সোবাহান জানান, সারাদিন বুড়িমারী স্থলবন্দরে পণ্য ওঠানামা হয় না। সন্ধ্যার পরে পণ্য ওঠানামা হয়। এতে শ্রমিকদের অনেক কষ্ট হয়। বুড়িমারী কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত সকাল হতেই পণ্যবাহী ট্রাকের ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। তাহলে দিনরাত দুই শিফটে শ্রমিকরা কাজ করতে পারত। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসককে আদালতে সমন স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ভুল চিকিৎসার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রামের দুই চিকিৎসককে সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছে আদালত। অভিযুক্ত এই দুই চিকিৎসক হলেন অধ্যাপক ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় ও তার পুত্র ডাঃ বিনিময় চন্দ্র রায়। বৃহস্পতিবার এ সমন জারি করেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালত। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে এই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেছিলেন শফিউল আজম নামের এক ওষুধ ব্যবসায়ী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের কৌঁসুলি এ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, নগর গোয়েন্দা পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের পর এ বিষয়ে বক্তব্য জানাতে বাদীকে ডেকেছিলেন আদালত। তিনি বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন দাখিল করেন। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে দুই চিকিৎসককে হাজিরের জন্য সমন জারি করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী শফিউল আজম নগরীর হাজারী লেনে আজমী মেডিক্যাল নামের একটি ওষুধের দোকানের মালিক। ২০১৩ সালে তার পা ফসকে গেলে তিনি চিকিৎসক বিধান চন্দ্র রায়ের শরণাপন্ন হন। ডাঃ বিধান চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন।
×