ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অতিষ্ঠ যশোর পৌরবাসী

মশার কামড়ে ঘুম আসেনা

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মশার কামড়ে ঘুম আসেনা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মশার অত্যাচারে পৌরবাসী ঘুমাতে না পারলেও ঘুম ভাঙেনি পৌরসভার। মশার উপদ্রবে অতীষ্ঠ সবাই। পৌর এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব ও মশক নিধন অভিযান না থাকায় ব্যাপকহারে মশার বংশবিস্তার করায় এর উপদ্রব বেড়েছে। এতে নাগরিকরা চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। মশা নিধনে এখনও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর নাগরিকরা। তবে খুব শিগগির মশক নিধন অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের একযোগে ড্রেন সংস্কার কাজ চলছে। নোংরা পানি আবর্জনা জমে মশার বংশবৃদ্ধি হয়েছে ব্যাপক হারে। ময়লা আবর্জনা ও নোংরা পানি ঠিকমত পরিষ্কার না করায় মশার বংশ বেড়েছে। সেই সঙ্গে মশা নিধনের অভিযানও শুরু করা হয়নি। ফলে মশার দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছে নাগরিক সমাজ। রাতদিন ২৪ ঘণ্টায় মশার সমান উপদ্রব চলছে। এতে মশারি টানিয়ে কিংবা মশার কয়েল জ্বালিয়েও নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না বলে পৌরবাসীর অভিযোগ। শহরের মিশনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘রাতদিন সব সময় মশার উপদ্রব। সব সময় মশারি টানিয়ে বসে থাকা কি সম্ভব! মশার কামড়ে অতিষ্ঠ সবাই। এইসব লিখে কী হবে? কেউ কী দেখার আছে? যদি থাকত তা হলে এত দিনে নিশ্চয় জনগণের দুর্ভোগ কমাতে পদক্ষেপ নেয়া হত।’ সরকারী এমএম কলেজের ছাত্র ও খড়কি এলাকার একটি মেসের বাসিন্দা বরুণ সাধু খাঁ ও সোহাগ আচার্য জানান, ‘মশার উৎপাতে ঠিকমত পড়তে পারছি না। কয়েল জ্বালিয়ে পড়তে বসলেও কোন কাজ হচ্ছে না। আর মশারি টানিয়ে ঘুমালেও কোন কাজ হচ্ছে না। মশারির মধ্যেও ঢুকে যাচ্ছে মশা। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে এখনও ঘুম ভাঙেনি।’ শহরের গুরুদাশ বাবু লেনের বাসিন্দা গৃহবধূ শিলা খাতুন জানান ‘মশার উপদ্রব ব্যাপক হারে বেড়েছে। দিনরাত মশার উপদ্রবে মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মশারি টানিয়ে কিংবা কয়েল জ্বালিয়েও মশার কামড় থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।’ শুধু শহরের খড়কি, মিশনপাড়া কিংবা গুরুদাস বাবু লেন নয়; পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের বাসিন্দা মশার উপদ্রবে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। যশোর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত কনজারভেনসি ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন জানান, খুব শিগগিরই ৯টি ওয়ার্ডে একযোগে মশা নিধন অভিযান শুরু হবে। মশা নিধনের সরঞ্জাম সংস্কার করা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে অভিযান শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু বলেন ‘এক সপ্তাহের মধ্যে পৌর এলাকায় মশক নিধন অভিযান শুরু হবে। ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ চোর চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার ॥ ১১ বিদ্যুত মিটার উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ॥ নওগাঁয় বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে অভিনব কায়দায় মোবাইলে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে সেগুলো মালিকের কাছে ফেরত প্রদানকারী একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের ১১টি বৈদ্যুতিক মিটার উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি একইরাতে সদর উপজেলার হাঁপানিয়া এলাকা থেকে বিভিন্ন রাইসমিল থেকে মোট ১২টি এবং সেচ প্রকল্প থেকে ১টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়ে যায়। ৯ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ সদর মডেল থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ জিয়ারুল মোল্লা (২৬) এবং রনি, মুকুল এবং সুজন আলী।
×