ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমেরিকার নির্বাচন ॥ ঘৃণা ও উদারতা এখন প্রতিযোগিতায় -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আমেরিকার নির্বাচন ॥ ঘৃণা ও উদারতা এখন প্রতিযোগিতায়  -স্বদেশ রায়

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী নির্বাচনের প্রতিযোগিতা শুরুর আগে রিপাবলিকানরা এক ধরনের নিশ্চিন্তে ছিলেন। তাদের ধারণা ছিল, এমন একজন প্রার্থী সামনে আসছেন যার পারিবারিক পরিচয় শুধু নয়, ব্যবসা ও সরকারী অফিস দুটো পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। যেহেতু দুবারের গভর্নর জেব বুশ তার প্রথম জীবনে ব্যবসায়ও সফল হয়েছিলেন। সাধারণত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এতটা অভিজ্ঞ খুব কমই মেলে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের আচার-আচরণ বলছিল, সাবেক ফার্স্টলেডি, একবার সিনেটর, একবার ফরেন সেক্রেটারি- তারপরে নারী। অতএব হিলারিকে ঠেকায় কে? তাছাড়া আমেরিকা প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাবে এও ছিল ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী বৈতরণীতে অনেক বড় সেøাগান। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রার্থীদের এই প্রতিযোগিতার এক ধরনের সাজানো বাগানে কোথা থেকে যেন ধূমকেতুর মতো কিছু বিষয় সামনে এসে এখন সব কিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে। নির্বাচনের ফল কী হবে, কোন দলে কে প্রার্থী হবেন সে কথা বলার এখনও সময় আসেনি। তবে রিয়েল এস্টেট টাইকুন ট্রাম্প যেদিন তাঁর নির্বাচনী বক্তব্য নিয়ে এলেন সেদিন থেকেই যেন বদলে যেতে থাকে আমেরিকার নির্বাচন। এমন কি আমেরিকাও। আমেরিকা মানেই একটি সব জাতি, ধর্ম ও দেশের মানুষের মিলনের একটি স্থান। হয়ত তার অনেক বিভীষিকাময় অতীত আছে। কালো মানুষের রক্ত ও দাসত্বের ঘাম এখনও তাদের মাটি থেকে হয়ত শুকিয়ে যায়নি। তারপরেও মিলন ও গণতন্ত্রের একটি প্রতিনিয়ত চেষ্টা সেখানে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের মতোই মানুষকে প্রতিমুহূর্তে পরিশীলিত করছে। এই আমেরিকার রাজনীতিতে বিজনেস টাইকুন ট্রাম্প নিয়ে এলেন ঘৃণা। এতদিন ছিল তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোর রাজনীতি ও নির্বাচনে এই ঘৃণা একটি বড় উপাদান। এখানে ঘৃণা নির্বাচনে পার হবার অনেক বড় অস্ত্র। শত শত বছরের পথ পরিক্রমায় আমেরিকা সেটা পার হয়ে এসেছিল। ট্রাম্প তাঁর অস্ত্র হিসেবে নিলেন এই ঘৃণা। মেক্সিকান ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম বিষোদগার করেন। নিন্দিত হলেন মিডিয়ার একাংশে। কিন্তু তিনি আবার হয়ে উঠলেন মিডিয়ার জন্য অনেক লাভজনক বিষয়। কারণ পণ্য হিসেবে ততক্ষণে তাঁর চাহিদা তৈরি হয়েছে। মিডিয়া তাকে বিক্রি করতে পারবে নানান ভাবে। শুধু আমেরিকায় নয়, সব দেশেই নির্বাচনে মিডিয়া শুধু খবর প্রচারের আর কখনও কখনও নৈতিক দায়িত্ব পালন করে না- ব্যবসাও করে। তাছাড়া আমেরিকার নির্বাচন মিডিয়া মোগলদের জন্য অনেক বড় পণ্য। একে ঘিরে কে কত বিলিয়ন ডলার ব্যবসা করতে পারবে সে প্রতিযোগিতা সব সময়ই থাকে। এই ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে ট্রাম্প এমনই স্থান দ্রুত করে নিতে লাগলেন সে ধাক্কাও জেব বুশের জন্য একেবারে কামানের গোলা। এর ভেতর ঘটে গেল আরও দুই ঘটনাÑ এক. ইউরোপ অভিমুখে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম শরণার্থী স্রোত। দুই. প্যারিসে মুসলিম মৌলবাদীদের বর্বর হামলা। ট্রাম্প লুফে নিলেন একে। এবার তাঁর মুখে এ্যাটম বোমা। আমেরিকায় মুসলিম অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দিতে হবে। ট্রাম্পের বক্তব্যের পর একটি ঘৃণার তীর ছুটে গেল আমেরিকার সাড়ে সাত মিলিয়ন মুসলিমের প্রতি। পজিটিভ ও নেগেটিভ দুইভাবে মিডিয়া একেই বিক্রি করা শুরু করল। আর এসব বিষক্রিয়ায় রিপাবলিকান শিবিরে জেব বুশ গেলেন হারিয়ে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট শিবিরে হিলারি যেমন রানীর মতো যাত্রা শুরু করবেন বলে সবার ধারণা ছিল; সে যাত্রা তাঁর হলো না। যেন অভিসারের প্রথম পদক্ষেপেই শাশুড়ি কাপড় টেনে ধরে বললেন, কোথায় চলেছো? হিলারি প্রার্থিতা ঘোষণা করতেই সিনেটররা তাঁর ফরেন সেক্রেটারিকালীন বেনগাজীর ঘটনা নিয়ে শুরু করলেন শুনানি। আর শুনানির সময় বাঁশির বদলে বেজে উঠল যেন শিয়ালের ডাক। ফাঁস হয়ে গেল ই-মেইল কেলেঙ্কারি। ধাক্কাটা অনেক বড়। মানুষের বিশ্বাস হারালেন তিনি এমনভাবে যে, ওই ঘটনায় কোন কোন ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটদের কাছে তিনি যেখানে শতকরা ৭৪ ভাগ জনপ্রিয় ছিলেন তা নেমে এলো ৪২ ভাগে। তারপরেও ওয়াশিংটন নিউইয়র্ক নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া তাদের ব্যবসা সাফল্য হিসেবে হিলারিকেই পছন্দ করলেন। তাদের ধারণা ছিল আমেরিকায় প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবে- এ হিসেবে তাদের জন্য হিলারি মিডিয়ার অনেক ভাল পণ্য। তাকে ঘিরে লাভের অঙ্ক এ নির্বাচনে কয়েক বিলিয়নে পৌঁছাবে। কিন্তু যাত্রা থেকে হ্যাম্পশায়ারে শোচনীয় পরাজয় পর্যন্ত আসতেই দেখা যাচ্ছে, আর যাই হোক, নারীবাদ আমেরিকার নির্বাচনী প্রার্থী প্রতিযোগিতায় খুব বড় কোন বিষয় নয়। এমনকি তরুণ প্রজন্মের মেয়েদের কাছে তো মোটেই নয়। তাদের মতে হিলারি যখন তরুণী ছিলেন তখন হয়ত তাদের কাছে নারীবাদ একটা বিষয় ছিল। কারণ, তখন ডিসক্রিমিনেশান ছিল। এখন যে তরুণীরা বেড়ে উঠছে ছেলেদের সমান তালে- তারা কখনও নিজেকে কোনরূপ পার্থক্য মনে করে না বা কেউ তাদের মনে করিয়েও দেয় না নারী-পুরুষ পার্থক্য। তাদের কাছে এ ধরনের সত্তর দশকের নারীবাদ তাই অপমানজনক একটি বিষয়। এরা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এভাবে নারীবাদ বিক্রিকে পুরোপুরি অবমাননাকর হিসেবে দেখছে। এমনকি তাদের মতে হিলারির মনে রাখা উচিত তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে কথা বলছেন। রাষ্ট্রের নাগরিকের জন্য কী করবেন সেটা তাঁর বলা উচিত। এ কোন লিঙ্গবৈষম্য আন্দোলন নয়। আমেরিকার তরুণ প্রজন্মের এই অবস্থান এখন এতই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, হিলারি সমর্থকরা এখন তাঁকে মিডিয়ায় উপদেশ দিচ্ছেন, যত দ্রুত সম্ভব হিলারির নারীবাদ ত্যাগ করা উচিত। কারণ তাঁরা বুঝতে পেরেছেন আমেরিকার মানুষ একজন ভাল প্রেসিডেন্ট চায়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজন নারীকে দেখব শুধু এমন একটি বিলাসী ভাবনা নিয়ে থাকার মতো পশ্চাৎপদতায় তারা নেই। তবে রিপাবলিকান শিবিরের প্রার্থী হিসেবে রিয়েল এস্টেট টাইকুন ট্রাম্প যেমন মুসলিমসহ কিছু অভিবাসীর প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে শুধু রিপাবলিকান শিবিরের রাজনীতি বদলে দেননি, বদলে গেছে আমেরিকার রাজনীতিও, এর বিপরীতও ঘটেছে একজন ডেমোক্র্যাটের মাধ্যমে। তিনি টাইকুন নন, সিনেটর- তবে প্রভাবশালীও ছিলেন না। কিন্তু উদারতার ও সমাজকল্যাণের নতুন চেতনা দিয়ে তিনিও আমেরিকার রাজনীতি আরেক দিকে নিয়ে গেছেন। তার ধাক্কায় ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে রিপাবলিকান শিবিরের জেব বুশের মতো হিলারি হারিয়ে না গেলেও হ্যাম্পশায়ারে যে মুষ্টাঘাত খেয়েছেন তা মোহাম্মদ আলী ক্লে’র মুষ্টাঘাতকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। সাবলীল বক্তা, কোনরূপ উত্তেজনা তাকে স্পর্শ করে না এই সিনেটর মি. ব্যারিন স্যান্ডার্স। স্যান্ডার্স আমেরিকার রাজনীতিকে এমনভাবে বদলে দিয়েছেন, যাকে বলা হচ্ছে রেভ্যুলেশান। তিনি সামনে নিয়ে এসেছেন, আমেরিকার সাধারণ মানুষ, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক কল্যাণের বিষয়টিকে। তিনি আমেরিকার নিরানব্বইভাগ মানুষকে দাঁড় করিয়ে দিতে চাচ্ছেন একভাগ মানুষের মুখোমুখি। তাঁর বক্তব্য আমেরিকাকে সাধারণ মানুষের আমেরিকা হতে হবে। তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণ চান অনেক বেশি। ওবামার হেলথ কেয়ার, শিক্ষা ঋণে তিনি সন্তুষ্ট নন, তিনি চান আমেরিকার সরকারী হাসপাতাল বিনামূল্যে আমেরিকার সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দেবে। তেমনি আমেরিকার সরকারী স্কুল ও কলেজ সাধারণ আমেরিকানকে বিনামূল্যে শিক্ষা দেবে। কাজ চান তিনি নিম্নবিত্তের জন্য। অর্থনীতিকে চান সেভাবে। যাতে আমেরিকার সকল সম্পদের নব্বই শতাংশ একভাগ মানুষ ভোগ না করে। স্যান্ডার্সের এই বক্তব্য বিদ্যুত বহ্নিশিখার মতো তরঙ্গ তুলেছে তরুণ আমেরিকানদের মনে। তরুণ-তরুণীরা তাই এখনও পর্যন্ত স্যান্ডার্সকে ঘিরে। যার ফলে আশাহত কিছু হিলারি সমর্থক এমনও বলেছেন, তরুণীরা একজন নারী হিলারিকে ফেলে স্যান্ডার্সের জনসভায় যাচ্ছে কারণ তারা সেখানে তরুণদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এর উত্তরে ওই সব তরুণী বলছেন, স্যান্ডার্স যে কথা বলেন তাতে মনে কথাগুলো তিনি বিশ্বাস করেন, তার মনের গভীর থেকে কথাগুলো আসছে। অন্যদিকে হিলারির কথা শুনলে মনে হয়, তিনি কারও শেখানো কথা বলছেন। তার নিজের কথা কিছু নয়। তাছাড়া স্যান্ডার্সের কথায় ‘আমরা’ খুঁজে পাওয়া যায়, হিলারির কথায় থাকে ‘আমি’। আমেরিকার নির্বাচন এখন একেবারে শুরুতে তাই এখনও কোনমতেই কোন বিষয়ে স্থির মন্তব্য করার কোন সময় আসেনি। কারণ, সব দেশের নির্বাচনেই দেখা যায়, যে কোন মুহূর্তে যে কোন একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের গতি বাঁক নেয়। তবে ট্রাম্প ও স্যান্ডার্স যে এ নির্বাচনের ভেতর দিয়ে আমেরিকার রাজনীতি বদলে দিয়েছে এ মন্তব্য এখন নিশ্চিতভাবে করা যায়। আমেরিকার এই নির্বাচনে যে প্রার্থী যে দলেই মনোনয়ন পান না কেন, আর যিনিই প্রেসিডেন্ট হোন না কেন, আমেরিকার রাজনীতিতে একদিকে ঘৃণা এবং অন্যদিকে উদারতা ও সমাজ কল্যাণ দুটো শক্ত পিলার হিসেবে দাঁড়িয়ে গেল। এর ভেতর কোনটা বেশি শক্তিশালী হবে তা আগামীতে আমেরিকার জনগণ ঠিক করবে। আর এর পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে আমেরিকার ফরেন পলিসির থেকে বড় হয়ে উঠেছে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সামনে আসছে অভ্যন্তরীণ কাঠামো ও অর্থনৈতিকসহ সব ধরনের নিরাপত্তাসহ নানান অর্থনৈতিক ইস্যু। আর আমেরিকার জনগণও তাদের ফরেন পলিসির থেকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে, ব্যক্তি জীবনের ইস্যু নিয়ে। এর থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়, আমেরিকার শরীর ভাল নেই। তাদের এখন শুধু সারা পৃথিবী দাবড়ে বেড়ানোর থেকে নিজের শরীরের দিকে খেয়াল দিতে হবে। তাদের মানুষ তাই চাচ্ছে। আমেরিকার নির্বাচন এই অভ্যন্তরীণ ইস্যুকেন্দ্রিক হয়ে পড়াতে আমেরিকার নির্বাচনের অন্যতম একটি বড় ফ্যাক্টর ইসরাইল লবি অনেকটা দ্বিধান্বিত। তারা মনে করছে, আমেরিকায় যে প্রেসিডেন্ট আসুক না কেন, তিনি খুব বেশি প্রো-ইসরাইল হবেন না। এমনিতে তাদের মতে ওবামাই প্রথম ইসরাইলকে কম গুরুত্ব দিয়েছে বা তিনি প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যিনি ইসরাইলের কম বন্ধু। এখন তারা মনে করছেন, পরবর্তীতে যিনি আসবেন- তিনি আরও কম বন্ধু হবেন। এখন প্রশ্ন, ট্রাম্প ও স্যান্ডার্সের এই দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে বদলে দেয়া আমেরিকার রাজনীতিতে এখন আমেরিকার গোটা স্টাবলিশমেন্ট কি ইসরাইল লবির মতো দ্বিধান্বিত হয়ে পড়বে? তারা কি অনেকটা দূরে সরে থাকবে নির্বাচন থেকে। আমেরিকার জনগণই তাদের নিজস্ব শক্তি দিয়ে নির্বাচনের নিয়ামক হবে না শেষ পর্যন্ত আল গোরের মতো স্টাবলিশমেন্টের কাছে হেরে যাবে পরিবর্তিত আমেরিকার রাজনীতি। তবে আল গোরের সময়ের থেকে এখন সময় আরও পরিবর্তন হয়েছে। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে হ্যাম্পশায়ারের মনোনয়ন প্রার্থী প্রতিযোগিতার ভোটে। যে ভোটের এক্সিট পোলে দেখা গেছে শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ ওবামার থেকেও বেশি উদার প্রেসিডেন্ট চান আমেরিকায়। অন্তত হ্যাম্পশায়ার বলছে, পিলার হিসেবে ট্রাম্পের ঘৃণার থেকে স্যান্ডার্সের উদারতাই শক্তিশালী হচ্ছে আমেরিকার রাজনীতিতে। এমনকি হিলারি যে ব্লাক ভোটে তাঁর আধিপত্যের কথা বলছেন, সেখানে কিন্তু তরুণ আফ্রিকান আমেরিকান বলছে স্যান্ডার্সের কথায় অনেক বেশি সকলকে এক করার ধ্বনি শোনা যায়। অর্থাৎ তারাও লালিত হবার থেকে নিজের পায়ে হাঁটতে পছন্দ করছে। এদিকটি তাই অনেক বড় আশার। তীব্র ঘৃণায় যখন পৃথিবী জ্বলছে, যে ঘৃণা এখন আমেরিকার রাজনীতির উপাদান সেই আমেরিকাতে সাধারণ মানুষের উদারতা, নিজের পায়ে হাঁটার শক্তি আরো বেড়েছে। তবে আরও অন্তত কয়েক মাস সময় লাগবে স্টাবলিশমেন্ট কী অবস্থান নেবে আর তার সঙ্গে মানুষ কীভাবে পাল্লা দেবে- এই বিষয়টি স্পষ্ট হতে। [email protected]
×