ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছে

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গীবাদ দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। যুদ্ধপারাধীদের বিচার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপভিত্তিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের কাজ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের ভূখ-কে যাতে কেউ সন্ত্রাস বা জঙ্গীবাদ বিষয়ক কোন কর্মকা-ে ব্যবহার করতে না পারে এবং এ ধরনের কার্যকলাপে কোন দেশ বা সংগঠন যাতে আর্থিক সহযোগিতা না করে সে বিষয়েও সরকার সতর্ক রয়েছে। সরকারী দলের হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে সংসদকে জানান, সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গীবাদ দমন ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে মুসলিম দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অতিসম্প্রতি সৌদি আরবের নেতৃত্বে ৩৪টি মুসলিম দেশের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গীবাদবিরোধী কেন্দ্রে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে। এসব উদ্যোগে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গীবাদ দমনে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এবং পারস্পরিক সহায়তা আইন ২০১২-সহ বেশ কয়েকটি শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করেছে। সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গীবাদকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মধ্য দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় শুধু বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে কোন শুভ উদ্যোগের সঙ্গে সম্প্রক্ত থেকে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে সরকার। সরকারী দলের সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভূখ-ে জঙ্গীবাদ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কোন শক্তিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তকে শান্তির সীমান্তে পরিণত করা পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম লক্ষ্য। সরকারদলীয় অপর সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুদ্ধপারাধীদের বিচার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপভিত্তিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে বিশ্বব্যাপী প্রচারের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে বিদেশী রাষ্ট্রের সরকার, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিচারের পক্ষে ইতিবাচক জনমত গড়ার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
×