ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মাহমুদুর রহমানের  মুক্তির জন্য প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দী আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি। সোমবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া মামলা, কারানির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধ করে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। রিজভী বলেন, সকল মামলায় জামিন হওয়ার পরও সরকার একটি মানহানির মামলায় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার না করার অজুহাত দেখিয়ে মাহমুদুর রহমানকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অবৈধভাবে আটকে রেখেছে। দু’সপ্তাহ ধরে আটকে রাখার পরে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হলেও তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। সিএমএম আদালতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি আইনের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, সংবিধানের পক্ষে প্রধান বিচারপতি অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একারণেই তিনি আমাদের ভরসাস্থল। তার কাছেই আমরা আবেদন করছি। তার হস্তক্ষেপে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি হবে বলে আশা করছি। এছাড়া আমাদের বলার কিছু নেই। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৭০ মামলায় জামিন পেয়ে যখন মাহমুদুর রহমানের মুক্তি পাওয়ার কথা ঠিক সেই মুহূর্তে তাকে আরেকটি মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে আটকে রাখা হলো। সরকারের নির্দেশেই সিএমএম এহেন হীন একটি চক্রান্তের অংশীদার হলেন। এ বিষয়ে সিএমএম যেভাবে ভূমিকা পালন করলেন তা ন্যায়বিচারের চরম পরিপন্থী। অথচ এর আগে আইজি বলেছেন, নতুন মামলা দিয়ে কাউকে শ্যোন এ্যারেস্ট করা যাবে না। একজন মানুষকে কারাগারে বন্দী রেখে কষ্ট দিতে সরকারের ক্রোধ পরিতৃপ্ত করার সহযোগী হিসেবেই সিএমএম দায়িত্ব পালন করলেন। এটি এদেশের বিচারিক ইতিহাসে একটি ন্যক্কারজনক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। রিজভী বলেন, সরকার মাহমুদুর রহমানের মতো একজন সৎ ও স্পষ্টভাষী মানুষকে শত্রুজ্ঞান করে। তাই এ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে ন্যায়নিষ্ঠ, বিবেকবান প্রতিবাদী মানুষকে দমন করতে কাজে লাগাচ্ছে। বিএনপি বার বার অভিযোগ করে এসেছে, সরকার আদালতকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করার সর্বাধিক চেষ্টা চালিয়েছে। বিশেষভাবে নিম্ন আদালতকে নিজের কব্জায় রাখার জন্য সরকার অনেকটাই সফল হয়েছে। কারণ আদালতের বিচারক যদি দলের বিচারে, গোষ্ঠীর বিচারে বা অঞ্চলের বিচারে বিবেচনা করা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়া অধরাই থেকে যাবে। রিজভী বলেন, দেশের দায়িত্বশীল সব মানুষের কর্মকা- জনগণ পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর নির্মম নীতি হচ্ছে এ শক্তিকে দাবিয়ে রাখতে হবে, ধ্বংস করতে হবে। ভোটারবিহীন সরকারের যেহেতু জনসমর্থন নেই, তাই তাদের জনসাধারণের প্রতি নীতি হচ্ছে মানুষকে বশ মানাতে বল প্রয়োগ করা। আর সে জন্যই এই সময়ের সাহসী, নির্ভীক ও সত্য উচ্চারণে অকপট মাহমুদুর রহমানের ওপর চলছে নানামুখী জুলুম-নির্যাতন।
×