ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন

মেরিন ফিশারিজ একাডেমি ক্যাডেটদের সিডিসি দেয়ার প্রক্রিয়ায় গাত্রদাহ

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মেরিন ফিশারিজ একাডেমি ক্যাডেটদের সিডিসি দেয়ার প্রক্রিয়ায় গাত্রদাহ

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ উভয়ে মেরিন ক্যাডেট। এক গ্রুপ প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে চট্টগ্রামের মেরিন একাডেমি থেকে। আরেক গ্রুপ বের হচ্ছে মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে। উভয় প্রতিষ্ঠানের ক্যাডেটরা প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিলকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করে এই দুই একাডেমির প্রশিক্ষিত গ্র্যাজুয়েট ক্যাডেটগণ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন মেরিটাইম প্রতিষ্ঠান ও বিশ্বের বিভিন্ন নামী-দামী জাহাজ কোম্পানি ও মেরিটাইম সংস্থায় সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটদের সিডিসি (কন্টিনিওয়াজ ডিসচার্জ সার্টিফিকেট) বা ধারাবাহিক নিষ্কৃতি সনদ ইস্যু করার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে আপত্তি তোলা হয়েছে মেরিন একাডেমির ক্যাডেটদের পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে উভয় একাডেমির ক্যাডেটরা বাদ প্রতিবাদ, মানববন্ধন সমাবেশও করেছে। করা হয়েছে সাংবাদিক সম্মেলনও। কিন্তু মেরিন সেক্টরে প্রশ্ন উঠেছে কেন এ নিয়ে আপত্তি বা বিপত্তি। এ ব্যাপারে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অফিসারদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অধিবাসীরা স্ব স্ব বছর ধরে নাবিক জীবনের ঐতিহ্যে লালিত। এ দেশের উপকূল কেন্দ্রিক সমুদ্র বন্দর রয়েছে তিনটি। রয়েছে অসংখ্য নদী বন্দর এবং লঞ্চ ঘাট। বাঙালী সমাজের বংশপরম্পরায় নাবিক জীবনে ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা উত্তরকালে বেশ কয়েকটি মেরিটাইম শিক্ষায়তন অবদান রেখে চলেছে। যাদের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে লীলাভূমি চট্টগ্রাম বন্দর নগরীর কোল ঘেঁষে প্রবাহিত পাহাড়ী কর্ণফুলীর স্রোত-বিধৌত মৎস্য বন্দর পরিবেষ্টিত সরকারী মেরিন ফিশারিজ একাডেমি। এই একাডেমি হতে প্রশিক্ষিত ¯œাতক সনদধারী এক্স ক্যাডেটগণ দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন মেরিটাইম দেশের জাহাজে এবং মেরিটাইম প্রশাসনে সুনাম এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সম্প্রতি মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটদের নিয়ে বিষোদগার শুরু হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, দেশ ও বিদেশের পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজসমূহে বাংলাদেশী নাবিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিএমএসও’ ৮৩ এর চ্যাপ্টার-১০, ধারা-১০৭ এর নির্দেশনা মোতাবেক জাহাজে যোগদানের জন্য সিডিসি থাকতে হবে। এ ধরনের শৈতল্য এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং জরিমানা করার নির্দেশনা আইনের ধারা ১০৭ (২) তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। কোন বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য এই সিডিসি ইস্যুর সীমাবদ্ধতা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম আইনে কোথাও নেই বলে স্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে। প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিকের সাংবিধানিক ও পেশাগত অধিকার রয়েছে- জাহাজে যোগদানের পূর্বে সিডিসি প্রাপ্তির। কিন্তু বর্তমানে সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের এক শ্রেণীর কর্মকর্তারা সরকারের আইনকে অবজ্ঞা করে চলেছে। মেরিন ফিশারিজ একাডেমি কর্তৃপক্ষীয় সূত্র জানায়, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ নির্দেশে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এবং এর প্রশিক্ষিত গ্র্যাজুয়েট এক্স ক্যাডেটগণ সরকারের মেরিন প্রশাসনসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন মেরিটাইম প্রতিষ্ঠান ও বিশ্বের বিভিন্ন নামী-দামী জাহাজ কোম্পানি ও মেরিটাইম সংস্থায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
×