ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এসএ গেমস পুরুষ ফুটবল, স্থান নির্ধারণী ম্যাচে প্রতিপক্ষ আজ মালদ্বীপ

স্বর্ণ খুইয়ে তামার লড়াইয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

স্বর্ণ খুইয়ে তামার লড়াইয়ে বাংলাদেশ

রুমেল খান ॥ শনিবার বাংলাদেশের জন্য দিনটা হতে উৎসবের, জোড়া আনন্দের। দিনটা ছিল বসন্তের সূচনা দিন, পহেলা ফাল্গুন। আর এমন দিনেই কি না এসএ গেমস ফুটবলে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের চরম হতাশা উপহার দিল বাংলাদেশের পুরুষ ও মহিলা দল! হায়, ফাল্গুন-পবণে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল গঞ্জালো আর ছোটনের শিষ্যরা! বিষয়টা কাকতালীয়ই বটে। এসএ গেমসে শনিবার ফুটবল ইভেন্টে বাংলাদেশ পুরুষ ও মহিলা ফুটবল দল খেলতে নামে। উভয় দলেরই সামনে হাতছানি দিচ্ছিল ফাইনালে খেলার সুযোগ। উভয়দলই সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। উভয় দলেরই স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান করে দেয় স্বাগতিক ভারত! প্রথমে বাংলাদেশের পুরুষ দল হারে ৩-০ গোলে। তাদের হারের কিছুক্ষণ পরেই খেলতে নামে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। তারাও হারে বেশ বড় ব্যবধানে। এ হারে অবশ্য তাম্রপদক অর্জন করে দেশে ফিরছে মহিলা দল। তবে পুরুষ ফুটবল দলের জঘন্য পারফর্মেন্স দেখে কেউই আশাবাদ ব্যক্ত করতে পারছেন না তারা তাদের পরের ম্যাচ খেলে তাম্রপদক জিততে পারবে। বাংলাদেশ তাম্রপদক নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে আজ সোমবার, মালদ্বীপের বিপক্ষে, গুয়াহাটির ইন্ধিরা গান্ধী এ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে, বেলা আড়াইটায়। প্রথম সেমিফাইনালে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মালদ্বীপ ৪-৩ গোলে হেরে যায় নেপালের কাছে। শিরোপা জেতার চেয়ে তা ধরে রাখা কঠিন। পারল না বাংলাদেশ অলিম্পিক ফুটবল দল গত আসরের শিরোপা ধরে রাখতে। তাদের স্বর্ণজয়ের মিশন ধূলিসাত করে দিয়েছে স্বাগতিক ভারত। এখন যে মান-মর্যাদাটুকুু অবশিষ্ট আছে, তা রক্ষা হতে পারে, যদি তাম্রপদক নির্ধারণী ম্যাচে আজ মালদ্বীপকে হারাতে পারে বাংলাদেশ। হেড টু হেড পরিসংখ্যান কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে। ২ ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতেছে তারা। সর্বশেষ ২০১০ এসএ গেমসে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে ১-০ গোলে হারিয়েছিল মালদ্বীপকে। জয়সূচক গোলটি করেছিলেন জাহিদ হোসেন। তবে এটাও ঠিক, পরিসংখ্যান দিয়ে ফুটবলে কিছু হয় না। এখানে অসম্ভব বলে কিছু নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশ দলের সম্প্রতি বার্জে ফর্ম কোন নিশ্চয়তাই দিতে পারছে না তারা তাম্রপদক জিততে পারবে কি না। সম্প্রতি বিভিন্ন টুর্নামেন্টের পারফর্মেন্স বিচার করে বলা যায়Ñ নেপাল, ভুটান, ভারত .... সবাই অনেক এগিয়ে গেছে ছেলেদের ফুটবলে। অবনতিটা হয়েছে শুধু বাংলাদেশের। সাফ-বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ- এসএ গেমস। এই তিন আসরে বাংলাদেশ জাতীয় দল এবং অনুর্ধ ২৩ দলের পারফর্মেন্সই তার প্রমাণ। সমস্যা উত্তরণে ইতোমধ্যে জাতীয় দলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কিন্তু একটি দেশের মূল জাতীয় দলের পরবর্তী দলটিই হলো অনুর্ধ ২৩ দল। জাতীয় দলের মূল পাইপলাইনই এটি। এই দলেরই যদি এ রকম অবস্থা হয়, তাহলে দেশের ফুটবলের ভবিষ্যত কোথায়! এখন দেখার বিষয়, আজ সান্তনার তাম্রপদক জিতে ইজ্জত কিছুটা হলেও বাঁচাতে পারে কি না গঞ্জালো সানচেজ মরেনোর শিষ্যরা।
×