ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই চোখ হারাল গারো যুবক রকি

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সন্ত্রাসীদের হামলায়  দুই চোখ হারাল গারো যুবক রকি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই চোখেই দেখতে পারছেন না গারো যুবক রকি রিছিল (২২)। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। রাজধানীর জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বেডে শুয়ে ব্যথার যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তিনি। আঘাতপ্রাপ্ত দুই চোখের দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে শয্যার পাশে বসে কেঁদেই চলেছেন রকির স্বজনরা। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানাধীন গোবরাকুড়া গ্রামের এই আদিবাসী যুবকটি কয়েক দিন আগে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। শনিবার জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সরেজমিন ঘুরে এ ঘটনা জানা গেছে। এ ঘটনায় হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের একজনকে গ্রেফতার করেছে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ। মামলার সত্যতা স্বীকার করে হালুয়াঘাট থানার ওসি এমএ হক জনকণ্ঠকে জানান, মামলার প্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে লোকজন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানান এমএ হক। এ ঘটনায় হালুয়াঘাট থানায় দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেনÑ মৃত লিলু ভূঁইয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৫), ছমির উদ্দিন ম-লের দুই ছেলে সারোয়ার হোসেন ম-ল (৩২) ও আমজত ম-ল (২৭), আয়েজ উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৭), নিজাম উদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়া (২৮), মৃত জুবেদ আলীর ছেলে আব্দুল কাদির (২৬), ইছব আলীর ছেলে লিটন মিয়াসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন। রকি রিছিলের বড় ভাই পলাশ রিছিল জনকণ্ঠকে জানান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার গোবরাকুড়া গ্রামে তাদের বাড়ি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় গোবরাকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় রকি রিছিল প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিল। ওতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে রকির ওপর হামলা চালায়। অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে হালুয়াঘাট থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর জ্ঞান ফিরে এলে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও রকিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চোখের সমস্যা বেশি থাকায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা রকিকে শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
×