ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অতলান্তিকের দেশ থেকে একটি ভ্যালেন্টাইন দিনের ইতিকথা -শরীফা খন্দকার

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অতলান্তিকের দেশ থেকে একটি ভ্যালেন্টাইন দিনের ইতিকথা   -শরীফা খন্দকার

তুষার আর শীতের যুগলবন্দী ঘনঘটায় নিউইয়র্ক নগরীতে আসে ভ্যালেন্টাইন ডে। পাখির গান নেই, ঘাসে সবুজ আভা নেই, বৃক্ষগুলো রসহীন তরু। ফুল ফোটার দিন আসতে দেরি তখন। কিন্তু নগরের বাগানে ফুল ফুটুক আর না ফুটুক ফুলডোরেই তো বাঁধা হবে প্রেমের দিনের ঝুলনা! দোকানপাটের সদর-অন্দরে থরে থরে উপহারের পসরা হয়ে সাজানো অজস্র পুষ্প। উষ্ণ অঞ্চলে ফোটা এসব উড়াল কুসুম দিয়েই বাঁধা হয় শীত অঞ্চলের ভ্যালেন্টাইন নামক প্রেমডোর। এ সময়টা এলে ওকে আমার মনে পড়বেই, যার বয়স ছিল আমার চাইতে অনেকটাই কম। তবুও স্কুলের দিনগুলোতে যে অসম বয়সীর সঙ্গেই গড়ে উঠেছিল একটি সখ্যের সম্পর্ক। আসলে ওর বড় বোন গোলাপ ছিল আমার সহপাঠী বন্ধু- সেই সুবাদে প্রায়ই যেতাম ওদের বাড়ি। দেশ ছাড়ার পরও ওর সঙ্গে চিঠিপত্রে এক-আধটু যোগাযোগ ছিল। এদেশে বসবাসের বছর ছয় পর হঠাৎ একদিন বাংলাদেশ থেকে ওর খুশিভরা আর অবাক করা ফোনটা এসেছিল। আমেরিকান ভিসা পেয়ে খুব দ্রুততম সময়েই সে নাকি পা রাখবে ‘এক স্বপ্নের দেশে’। নিবাস হবে আমার নগর নিউইয়র্কে। জানালো বর্তমান জীবনের কুশলবার্তাসহ খুঁটিনাটি সব। জেনে খুশি হলাম অনেক। তবে ওর উচ্চারিত ‘স্বপ্নের দেশ’ শব্দটা কাঁটার মতো খচখচ করল বেশ কয়েকদিন। স্বপ্নে দেখা দেশ আর বাস্তবের দেশ দুটোর মধ্যে ফারাক যে অনেক। মাস তিনেক পর পৌঁছল এদেশে। হপ্তাখানেক পর দেখতে গিয়েছিলাম ওর বসবাসের জায়গাটি। তখন খচখচে আলগা কাঁটাটি এমন সমূলে বিঁধে গেল যে, ঢোক গেলাও দায়। এই শহরের আলো ঝলমল আর চোখ ধাঁধানো রূপের কথা দুনিয়ার মানুষ শুনেছে, দেখেছে। কিন্তু সৌন্দর্যের বিপরীতে এমন অসুন্দরের কল্পনা কি তার ছিল? কোন বন্ধুর মারফত সস্তায় এক চাইনিজ বাড়িওয়ালার কাছ থেকে এটা ওরা ভাড়া নিয়েছে। বেজমেন্টটাতে নামতে গিয়ে দেখলাম ওটা যেন সত্যিকার এক পাতালপুরী। বলে রাখা ভাল, এদেশের অধিকাংশ ঘরবাড়ি ও সিঁড়ি কাঠেরই তৈরি। নামা ও ওঠার সিঁড়িটা কাঠের নয়। কোন এক রকম সস্তার শীট দিয়ে চীনা বুদ্ধিতে তৈরি বোধ হয়। নিচে নামতেই অবিশ্বাস্য জরাজীর্ণ এক কুঠরিতে রান্নাঘর ও লাগোয়া বেডরুম দেখে আঁতকে উঠলাম যেন। শুরুতেই বাড়ির মালিকের হরেক জিনিসের ছোট একটা স্তূপ। কত বছর পর দেখা, তবু ওর মুখটির দিকে তাকাতে পারলাম না যেন। রংপুরের দোতলা বাড়িটির কথা মনে পড়ছিল। কিন্তু সহসাই আমাকে হতবাক করে জড়িয়ে ধরল ও উচ্ছল হাসিতে- দেখলে তোমার শহরেই চলে এলাম...! গোলাপের সঙ্গে সঙ্গে সেও আমায় তুমি ডাকত। অনেকদিন পর সসঙ্কোচে যখন জিজ্ঞাসা করলাম- এদেশে খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না! -ভালবাসার মানুষ যদি পাশে থাকে কষ্ট তখন কষ্ট থাকে কি! এমন কথায় আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম যেন। বুকের ভেতর এত ভালবাসা বহন করে বিশাল আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছে সে? আসার পরদিন থেকেই শুরু হয়েছিল কাজ খোঁজা। কিন্তু যে ভিসা ক্যাটাগরিটিতে তার আগমন সেটায় কাজ করার অনুমতি নেই। হলে কি হয় নিউইয়র্ক নগরকে নগরকর্তারা গর্ব করে বলেন মেল্টিংপট। সারা পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে এর ডানার নিচে। ফুটপাথ, ছোট ছোট দোকান, রেন্টুরেন্ট, গ্রোসারি- হাজার জায়গায় অবৈধরা কাজ করে যায়। অপরাধ না করা পর্যন্ত পুলিশ এদের গ্রেফতার করে না। কারণ এসব মানুষই নগর অর্থনীতির বিশাল খুঁটি হয়ে আছে। সে খুঁজতে খুঁজতে ৯৯ সেন্ট বেতনে একটি দোকানের কাজ যোগাড় করল। যেখানে বৈধ কাগজের বালাই নেই, সেখানে নিয়মনীতির তোয়াক্কাও নেই। দু’পায়ের ওপর দাঁড়িয়েই আট ঘণ্টা বা আরও বেশি কাজ করতে হয়। একজন পুরুষের সহকারী হিসেবে বড় বড় বক্স ওঠানো-নামানো, জিনিসপত্র সেলফে সাজানোর চাকরি। দুপুরে ১৫ মিনিটের ছোট্ট ব্রেকে সে কেবল পেছনের সিঁড়িতে বসতে পারে- টিফিনের কৌটা থেকে বাড়ির আনা খাবারটা খেতে পারে। আমার এক অফ ডেতে ওর কাজের ওখানে দেখা করতে গিয়ে দেখি, মুখটা যদিও শুকনো তবু হাসির কমতি নেই। এক সময় কেউ কেউ নাকি ভালবাসায় ভিখারি হয়ে সুখী হতো! কিন্তু সেসব তো পুরনো হয়ে যাওয়া দিনের গানে। এত ভালবাসতে কী করে শিখল এ যুগের একজন, যার বয়স আমার চেয়ে অনেক কম! রাত আটটার দিকে বাড়ি ফিরে সঙ্গে আনা বাজার কেটে-বেছে রান্না বসায় সে। জমানো ময়লা কাপড় ভেজায় বালতিতে- রান্না শেষ করে বাটিতে বেড়ে ক্ষুদে পুরনো টেবিলটার উপরে রাখে। হাঁড়িটাড়ি সব ধুয়ে, চুলো মুছে, কাপড় কচলে, কেচে, মেলে, স্নান করা। এ সময় ক্ষুধাটা চড়চড়িয়ে ওঠে- কিন্তু খাবার সময় তখনও হয়নি বলে মুখে পুরে বিস্কিট একটা। দিনমানের পরিশ্রান্ত শরীর একটু বিছানা চায়Ñ কিন্তু সেটারও সময় হয়নি। কারণ ওর মেধাবী প্রাণেশ্বর অলি তখন বিছানায় বইপত্র ছিটিয়ে শুয়ে বা বসে লেখাপড়া করছে। তার বৌ- যার নাম বকুল সে কথাটথা বলে স্বামীকে ডিস্টার্ব করে না এ সময়। একটাই ঘর তো- তাই টিভি খোলে না, করে না কাউকে ফোন পর্যন্ত। যতক্ষণ স্বামী দেবতার পঠন-পাঠন চলে স্ত্রীর হাঁটাচলাটাও হয় নিঃশব্দ। রাত ১০টায় দু’জনে একসঙ্গে আহার করবে। যখন অলির কথা শোনে তখনই বকুল হাসবে। সেই রংপুর থেকে করা প্রথম ফোনটায় কলকলিয়ে বকুল মনে করিয়ে দিয়েছিল বছরখানেক আগে সমন্ধ করে অলিউর রহমানের সঙ্গে ওর বিয়ের কথা। হ্যাঁ, সেই বিয়ের কার্ডটা দেশ থেকে ডাকে এসেছিল। বকুল সবশেষে বলেছিল তার চিটাগং ইউনিভার্সিটির লেকচারার বর খুব ভাল ছাত্র। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডির একটা স্কলারশিপ পেয়েছে অলিউর। সঙ্গে বৌকে আনার অনুমতি আছে বলে আনছে বকুলকেও। সুযোগ পেলে ও নিজেও কোথাও ভর্তি হয়ে যাবে। জানি আমেরিকান ইমিগ্রেশনের আইনকানুন দেশের অধিকাংশ লোকজন জানে না। আসলে স্টুডেন্টদের বৌ বা স্বামীরা এখানে বৈধভাবে কাজ বা লেখাপড়ার অনুমতি পায় না। স্পাউসদের এই ক্যাটাগরির ভিসাকে ঠাট্টা করে কেউ কেউ বলে বেবি সিটার ভিসা। সেদিনের ফোনে ফিক করা হাসির শব্দে সে বলেছিল, ‘ও তো সব সময় আমাকে চোখে হারায়। ...’ আমেরিকায় এসে প্রতিদিন আত্মত্যাগের এমন ঘরসংসারে কে কাকে চোখে হারায় কে জানে! আশ্চর্যের কথা এতসবের মধ্যেও বরের কথা বলতে গেলেই খুশিতে কলকলিয়ে ওঠে বকুল। ১০ মিনিটের কথায় অলির নামে গান গাইবে পাঁচবার তো বটেই। অলি তো ক্লাস আর লেখাপড়া করে। টুকিটাকি কাজ করে পরীক্ষা পাসের কঠিন পাঠে সে বিঘœ ঘটাতে চায় না। স্কলারশিপের টাকায় দু’জনের স্বাচ্ছন্দ্যে চলা কষ্টকর, তাই সংসারের বাকি তেল যোগাড়ে বকুল ঘানি টানছিল সপ্তাহে পাঁচ দিন ধরে একা একা। কিন্তু বকুলের অলি হঠাৎ পরীক্ষা দেয়ার আগে মন বদলালো। প্রাণোচ্ছল মেয়েটা জানায়, অলি বলেছে আমরা তো আর দেশে ফিরছি না, তাই পিএইচডি করে লাভ নেই। নতুন করে ভিন্ন এক সাবজেক্টে মাস্টার্স করতে ভর্তি হলো। সপ্তাহে দু’দিন শুধু ক’ঘণ্টা অড জব করবে। যাই হোক, অবশেষে দিন, মাস, বছর পেরোতে পেরোতে একদিন অলির একটা ফার্মে ভাল বেতনের চাকরি হলো। নতুন বাড়িতে উঠল ওরা। খুশি হয়ে বলি, এবার তোমার দোকানের কাজটা ছাড়ো- বাড়ির সবচেয়ে ছোট আর আদরের মেয়েটির অনেক হয়েছে। -জাননা তো কাজ করতে করতে স্বভাবটাই আমার বদলে গেছে, বসে থাকতে পারি না। আর মজার কথা, অলি এত টাকা বেতন পায় তবু আমার পাওয়া টাকা খরচ করতে কী যে পছন্দ করে। শোন না সামনের সপ্তাহে আমরা গাড়ি কিনছি একটা। সে তখন পা রেখেছে লুকানো স্বপ্নের দুয়ার দেশে। একটা অপারেশনের কারণে বকুলের সন্তান নেয়া সম্ভব নয়। অলি বলত এসবের তোয়াক্কা তার নেই। দেশ থেকে একটি শিশু দত্তক নেবে ওরা বরং। মেডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে বাংলাদেশ সম্মেলন হলো। কী যে সুন্দর শাড়ি পরেছিল ও। চুলটা দারুণ করিয়েছিল হেয়ার ড্রেসারের কাছ থেকে। নতুন গয়নাটাও সুন্দর- জ্যাকসন হাইটস থেকে কিনেছে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে এ শহর ছেড়ে ভার্জিনিয়ায় চলে যাওয়ার ভিন্ন এক বার্তা দিল বকুল। তিন বছর পর আবার ফিরবে। আর ফেরার পর এলো সেই ভ্যালেন্টাইনের দিনটি। নিউইয়র্ক থেকে প্রথম ফোর কালার সাপ্তাহিক পত্রিকা- নাম ‘কাগজ’ প্রকাশ হচ্ছে। ওখানে আড্ডা দিতে কাজ ফেরত আমি মাঝে-মধ্যেই চলে যেতাম সেই অফিসে। অনেকেই আসত, বকুলও তাদের মধ্যে একজন। কিন্তু সেদিন তার সাজটা আড্ডায় বসার মতো নয়- স্কার্ট টপের রং ছিল খুব উজ্জ্বল। মনে পড়ল আজ ভ্যালেন্টাইন ডে। ও সেলে কারও সঙ্গে কথা বলে মধুর হেসেছিল- আমার বর আসছে নিয়ে যেতে। অলি এলো বিশাল এক ফুলের তোড়া হাতে। সামান্য আড্ডা মেরে চলে গেল অন্য হাতে ওকে জড়িয়ে নিয়ে। কিন্তু এরপর থেকেই ওরা উধাও যেন। অনেক ফোন করে না পেয়ে ওদের বন্ধু বলাকাকে ফোনে ধরে যা জানলাম তাতে আমার মূর্ছাহত হওয়ার দশা। ভ্যালেন্টাইন ডের তিনদিন পর কাজ থেকে ফিরে বকুল দেখেছিল ওদের গাড়িটা গ্যারাজে নেই। ঘরের ভেতরে অলির ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং কম্পিউটার সবই হাওয়া। টেবিলে রাখা একটা চিরকুটে লেখা ‘এক মাস আগেই আমাদের দুজনের ডিভোর্স হয়ে গেছে। দিন দু-একের মধ্যে লেটারটা পাবে তুমি।’ পরে কাগজপত্রে দেখা গেল তিন বছরের বাইরে অলি গিয়েছিল সেপারেসন হিসেবে দেখানোর জন্য। ব্যাপারটা নিয়ে কাগজ তৈরি করে যাচ্ছিল এই শহরে থাকতেই বকুলের সঙ্গে সংসার করার অবকাশে। বকুলের অজ্ঞাতে কিভাবে যেন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে এটাকে মিউচুয়াল ডিভোর্স দেখিয়েছে সে। ও মেয়ে কোনদিন কি দেখেছে স্বামীর কথায় ও কোথায় সই দিল! উপায়ান্তর না দেখে বকুলকে বলাকারা বাড়ি নিয়ে এসেছে। আগুন নাকি ছাইচাপা থাকে না। বাতাসে উড়ে উড়ে তাই অলির একটা খবর এলো কানে- অফিসের এক স্প্যানিশ দুর্দান্ত যুবতীর সঙ্গে নাকি সে চাকরির শুরু থেকে প্রেম শুরু করেছে। কলকাতার মেয়ে নন্দিতা মেয়েদের অধিকার সংক্রান্ত কাজ করে। ওকে অনেকদিন জানি। সব শুনে বলল- তুমি বাঙালী মেয়েদের চেন না। হয়ত আমরা লড়াই করে ওকে জিতিয়ে দেব; কিন্তু পরবর্তীতে প্রতারক স্বামীর একটু আদর-সোহাগেই গলে যাবে তোমার বকুল। অন্য একটা মেয়ের কথা শোন। কেস শেষের দিকে স্বামীর উকিলের শেখানো কথায় পিঠে গরম ইস্ত্রী দিয়ে ছ্যাঁকা খাওয়া মেয়েটা পতি দেবতাকে পার পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল সবদিক দিয়ে। এ রকমই ঘটনা ঘটাল বকুলও। যেদিন কেসে জিতল সেদিনই অলি বলাকাদের বাড়ি হাজির মিষ্টি ও বিশাল ফুলের তোড়া চোখে জল নিয়ে। বকুল তো নতুন করে ওকে পেয়ে আহ্লাদে আটখানা। কিসব আপোসরফা করল একাকী। ওরা কোথায় যে বাড়ি ভাড়া করে চলে গেল কেউ জানালো না পর্যন্ত। দু’মাসের মাথাতেই অদ্ভুত স্বরের এক ফোন আমার কানে- অনেক পরে বুঝলাম বকুলের। আজ অলি নাকি ফের বেরিয়ে চলে গেছে নিজের সব নিয়ে যখন হুদ্দু মেয়েটা কাজে। অলি ওকে ফোনে বিকেলে বলেছে এবারের ডিভোর্স অনেক শক্ত ইত্যাদি। কিছুটা অপ্রকৃতস্থ বকুলকে আমরা বাসায় নিয়ে এসেছিলাম। মাঝে-মধ্যে ও যেন আমায় চেনে না। শুধু কখনও করুণ গলায় বলত- অলি এনে দাও নইলে বকুল কী করে বাঁচবে! অবশেষে গোলাপ আমেরিকায় এসে ওকে নিয়ে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশে। এরপর থেকেই ভ্যালেন্টাইন দিনের ফুলের প্রতি আমার কোন বিশ্বাস নেই। ॥বিঃ দ্রঃ এই লেখাটির পাত্র-পাত্রী সম্পূর্ণ কাল্পনিক। প্রবাসে নানা ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। কিন্তু এই ঘটনাটির সঙ্গে কারও জীবনের কোন মিল পাওয়া গেলে তা অনাকাক্সিক্ষত- লেখক লেখক : নিউইয়র্ক প্রবাসী
×