ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেয়ার্ন মিউনিখে এখনও অপরিহার্য রোবেন

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বেয়ার্ন মিউনিখে এখনও অপরিহার্য রোবেন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইনজুরির কারণে চলতি ২০১৫-১৬ মৌসুমে মাত্র ১০ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন আরিয়েন রোবেন। এ ডাচ তারকা এখনও সেই ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন। তবে রোবেনের অনুপস্থিতিতে ডগলাস কোস্টা ও কিংসলে কোম্যান বেশ দুর্দান্ত খেলে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। অনেকে মনে করছেন ৩২ বছর বয়সী রোবেনের চেয়ে বরং এ দুই তরুণ জার্মান জায়ান্ট বেয়ার্ন মিউনিখের জন্য বেশি উপযোগী। কিন্তু দলের কোচ পেপ গার্ডিওলা মনে করেন এখনও রোবেন তার দলের জন্য অপরিহার্য এবং সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে চাবিকাঠি। আজ বেয়ার্ন মুখোমুখি হবে অগসবার্গের। গার্ডিওলা জানিয়েছেন এ ম্যাচে ফিরতে পারেন জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য মারিও গোয়েটজে। দীর্ঘদিনের ইনজুরি কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। আর বাভারিয়ানদের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষা শেষ হতে পারে আজই সের্ডার টাসির। কিন্তু এ বিষয়ে গার্ডিওলা অবশ্য বললেন, ‘আমি এখনও নিশ্চিত না বেয়ার্নের হয়ে খেলার জন্য গোয়েটজে এবং সের্ডার প্রস্তুত কিনা। খেলোয়াড়রা শুক্রবার ছুটি পেয়েছিলেন। এরপর শনিবার অনুশীলনে ফিরেছেন। অনুশীলন শেষেই আমরা সিদ্ধান্তটা নেব।’ কিন্তু রোবেনের হয়তো আরও কিছুটা সময় লাগবে। অবশ্য অনেকেই বলছেন ৩২ বছর বয়সী এ ডাচের চেয়ে এখন বেয়ার্নের জন্য বেশি ভাল হবেন দুই তরুণ কোস্টা ও কোম্যান। কিন্তু গার্ডিওলা এখনও রোবেনর ওপরই ভরসা খুঁজে পাচ্ছেন বেশি। তিনি বলেন, ‘আরিয়েনের এখনও কিছু সময় প্রয়োজন তার সেরা অবস্থানে পৌঁছার জন্য। কিন্তু আমার কাছে তিনি বিরাট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তার মধ্যে সামনে এগিয়ে যাওয়ার এবং ওয়ান-টু-ওয়ান অবস্থানে তার যে সামর্থ্য সেটা যে কারও চেয়ে ভাল। আমার দায়িত্বের প্রথম দুই মৌসুমে তিনি খুব কমই ইনজুরিতে পড়েছেন। কিন্তু এবার ইনজুরিতে পড়ায় খেলতে না পারলেও আমার কাছে আগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ তিনি।’ সের্ডারের সম্ভাব্য অভিষেকের ম্যাচে বেয়ার্নের একাদশে মিডফিল্ডার হিসেবে দেখা যেতে পারে জশুয়া কিমিচকে। তিনি বেশ কয়েকটি ম্যাচে রক্ষণভাগে খেলেছেন। গার্ডিওলা এ জার্মান অনুর্ধ-২১ দলের তারকার ব্যাপারে দারুণ প্রশংসাও করেছেন। এ বিষয়ে এ কোচ বলেন, ‘আমরা জশুয়ার নৈপুণ্যে এখন পর্যন্ত বেশ সন্তুষ্ট। তিনি রক্ষণভাগে দারুণ খেলছেন। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে, ভবিষ্যতে কি ঘটে সেটা দেখতে হবে।’
×