ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

না’গঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে র‌্যাব সদস্যসহ গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

না’গঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে র‌্যাব সদস্যসহ গ্রেফতার ৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ১৩ ফেব্রুয়ারি ॥ নারায়ণগঞ্জে এবার চাঁদাবাজির অভিযোগে হুমায়ুন কবির (৩০) নামে এক র‌্যাব সদস্য ও তার চার সহযোগী গ্রেফতার হয়েছে। শনিবার দুপুরে সোনারগাঁওয়ের আষাঢ়িয়াচর এলাকায় আদমজীর র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের কনস্টেবল হুমায়ুন কবির ও তার চার সহযোগী শাহিদা (৪৫), মাহবুবল ইসলাম (৩০), হাসানুজ্জামান (২৪) ও আমজাদ হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করে। হুমায়ুন কবির র‌্যাব-১৩ রংপুরে কর্মরত। আটককৃতদের প্রথমে র‌্যাব-১১-এর সদর দফতরে নেয়া হয়। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তাদের সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়। র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাঁচ মাস আগে সোনারগাঁওয়ের আষাঢ়িয়াচর এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র মোঃ মহসিন দয়াল (৩৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে র‌্যাব-১১তে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন র‌্যাবের কনস্টেবল হুমায়ুন কবির। তখন মহসিনকে বলা হয়, বিষয়টি মীমাংসা করার বিনিময়ে তাকে কিছু টাকা দিতে হবে। অন্যথায় র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যাবে বলে ভয় দেখায়। এতে মহসিন ভয় পেয়ে ঝামেলা এড়াতে কনস্টেবল মোঃ হুমায়ুন কবিরের প্রস্তাবে রাজি হয়। গত পাঁচ মাস ধরে মহসিন তাকে বিভিন্ন সময়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেন। পরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মহসিন বিষয়টি যে চাঁদাবাজি তা বুঝতে পেরে র‌্যাব-১১কে অবহিত করেন। ফলে র‌্যাব সদস্যরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। এ অবস্থায় শনিবার দুপুরে হুমায়ুন কবির রংপুর থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে দলবল নিয়ে সোনারগাঁয়ে আবারও মহসিনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা নিতে আসে। তবে আগেই মহসিন র‌্যাব-১১কে বিষয়টি জানায়। দুপুরে ওঁৎ পেতে থাকা র‌্যাব-১১-এর একটি দল টাকা লেনদেনের সময় কনস্টেবল মোঃ হুমায়ুন ও তার চার সহযোগীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হুমায়ুন কবির রংপুরে অবস্থিত র‌্যাব-১৩-এ কনস্টেবল পদে কর্মরত। তার পিতার নাম মোঃ আব্দুল বাতেন। গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার আনারপুরা এলাকায়। গ্রেফতারকৃত অপর চারজন হলো মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার জামালদি গ্রামের সিরাজ মিয়ার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪৫), ভাটেরচর গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে মোঃ আমজাদ (৩২), রংপুর কোতোয়ালি থানার জানকি ধাপেরহাট গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মাহবুবুল ইসলাম (৩০) ও বদরগঞ্জ থানার রামকৃষ্ণপুর বালাপাড়া গ্রামের মোঃ আঃ শুক্কুরের ছেলে মোঃ হাসানুজ্জামান (২৪)। এদের মধ্যে মাহবুবুল ইসলাম মাইক্রোবাস চালক এবং মোঃ হাসানুজ্জামান মাইক্রোবাসের মালিক। আমজাদ কনস্টেবল হুমায়ুন কবিরের সহযোগী আর শাহিদা আমজাদের শাশুড়ি। র‌্যাব কনস্টেবল হুমায়ুনের কাছে বিভিন্ন ঠিকানা সংবলিত তিন ধরনের ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়। সে বর্তমান কর্মস্থলের কাউকে না জানিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিল। র‌্যাব আরও জানায়, মহসিন বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেছেন।
×