ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে কারাবরণ করেন ২৩ নেতা

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ময়মনসিংহে কারাবরণ করেন ২৩ নেতা

ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনেকের শিকড় ছিল ময়মনসিংহে। সে কারণে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের প্রভাব পড়ে প্রাচীন জেলা শহর ময়মনসিংহে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রবীণ সাংবাদিক মমতাজ উদ্দিন জানান, ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করতে সরকারী আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যাপক মরহুম বদর উদ্দিন হোসাইনকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ। ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি আইনজীবী আনিসুর রহমান খান জানান, এই কমিটির মহাসচিব ছিলেন মরহুম রফিক উদ্দিন ভুইয়া। শের এ বাংলা পার্টির সঙ্গে যুক্ত এবং যুক্তফ্রন্টমন্ত্রী মরহুম আবুল মনসুর আহমদ ও কলকাতাবাসী মরহুম আবুল কালাম শামসুদ্দিন ময়মনসিংহের ভাষা আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে জোরালো ভূমিকা রাখেন। নান্দাইলের মরহুম খালেক নেওয়াজ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের ভিপি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভালুকার সাবেক এমপি ভাষাসৈনিক মোস্তফা এমএ মতিনসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার শিকড় ছিল অবিভক্ত ময়মনসিংহ। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই দাবিতে সেদিন ময়মনসিংহের রাজপথ প্রকম্পিত করেছিলেন সাবেক এমপি মরহুম শামছুল হক, প্রয়াত মহাদেব সান্যাল, মরহুম হাতেম আলী তালুকার এমপি, শিক্ষাবিদ মরহুম আহাম্মদ সালেক, মরহুম এ্যাডভোকেট হাশিম উদ্দিন আহমদ, মরহুম আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, মরহুম কাজী আব্দুল বারী, মরহুম এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ খানসহ অনেকে। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ও আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক সমাজও সেদিন রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। বিপিন পার্ক ছিল মিছিল আর প্রতিবাদ সমাবেশের কেন্দ্রবিন্দু। প্রবীণ সাংবাদিক ন্যাপ নেতা জিয়া উদ্দিন আহামদ জানান, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার জের ধরে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল থেকে মেয়েদের বের করে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে পরদিন বিপিন পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ। ভাষা আন্দোলনের লড়াই সংগ্রাম ও মিছিল সমাবেশের অপরাধে সেদিন একাধিক নেতাকে কারাবরণ করতে হয়। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম জানান, ভাষা আন্দোলনের কারণে ময়মনসিংহের ২৩ নেতাকে কারাবরণ করতে হয়। -বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ থেকে
×