ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাকিবকে হত্যার হুমকি!

প্রকাশিত: ০৯:০১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সাকিবকে হত্যার হুমকি!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘হত্যার হুমকি! এখন অবধি আমি নিরাপদ। হ্যাঁ যথেষ্ট নিরাপদ আছি।’Ñ কথাগুলো বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। যিনি এখন পাকিস্তান সুপার লীগ খেলছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এতদিন ছিলেন দুবাইয়ে। যেই শারজায় পা রাখেন। হোটেল রুমে যান। ফোনে জীবননাশের হুমকি পান সাকিব। এরপর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন এ অলরাউন্ডার। বুধবার সকাল থেকেই এ রকম একটা গুজব বাতাসে ভাসছিল। দেশের বেশ কয়েকটা অনলাইন গণমাধ্যম খবরও প্রকাশ করেছিল যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হোটেল রুমে সাকিব আল হাসানকে ফোন করে উর্দু ভাষায় হত্যার হুমকি দেয়া হয়। বেলা পৌনে তিনটার দিকে সাকিব নিজেই এই খবরের সত্যটা স্বীকার করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নিজের আইডি থেকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘হত্যার হুমকি! এখন অবধি আমি নিরাপদ, হ্যাঁ যথেষ্ট নিরাপদ আছি।’ পিএসএলে করাচী কিংসের হয়ে খেলতে সাকিব এখন অবস্থান করছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে দুবাইয়ের খেলা শেষ করে শারজায় যাওয়ার পরই ঘটে এই ঘটনা। জানা গেছে, হোটেলে সাকিবের রুমে ফোন করে পিএসএল না খেলে দেশে ফিরে যেতে বলা হয়। উর্দু ভাষায় সাকিবকে গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই করাচী কিংসের টিম ম্যানেজমেন্টকে বিষয়টি অবহিত করেন সাকিব। হোটেল কর্তৃপক্ষকেও ফোন দেয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি সংবেদনশীল হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু কেন সাকিবকে এ হুমকি দেয়া হয়, তা জানা যায়নি। পিএসএল করাচী কিংসের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেই ৩৫ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রান করে দলকে জেতান সাকিব। ১ উইকেটও নেন। ম্যাচসেরাও হন। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭ রান করেন ও ১ উইকেট নেন। দল হারে। তৃতীয় ম্যাচেও সাকিব ২০ রান করেন। বল হাতে কোন উইকেট নিতে পারেন না। এবারও হারে করাচী কিংস। যখন সাকিব ব্যাট-বল হাতে ভাল করেছেন, দল জিতেছে। যেই সাকিব নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি, দল হেরেছে। আজ সাকিব ও বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালের মধ্যকার লড়াইও হবে। সাকিবের করাচী কিংস ও তামিমের পেশোয়ার জালমির মধ্যকার খেলা আছে। এই খেলা খেলতেই সাকিব দুবাই থেকে শারজায় যান। আর সেখানে গিয়েই অনাকাক্সিক্ষত এ ঘটনার সম্মুখীন হন সাকিব। তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়। এর আগে দুবাই গিয়ে যখন প্রথম ম্যাচেই দলকে জেতান, ম্যাচসেরা হন; তখনও সাকিব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার শিকার হন। ধারাভাষ্যকার, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা সেই কা-টি ঘটান। দুবাইতে টুর্নামেন্টের পর্দা ওঠার পরের দিন লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে করাচী কিংসের খেলা ছিল। সাকিব ব্যাট-বল হাতে নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচ সেরা হন। ম্যাচ শেষে তাই অনুমিতই ছিল ম্যাচসেরার পুরস্কার পাচ্ছেন সাকিবই। কিন্তু পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রমিজ রাজা ভুল করে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ ঘোষণা করেন লেন্ডন সিমন্সকে। যদিও পরে ভুল বুঝতে পেরে সাকিবকেই ডেকে নেন তিনি। ম্যাচে ৬২ রান করা লেন্ডন সিমন্সকে বাউন্ডারি এ্যাওয়ার্ড দিয়ে রমিজ রাজা বলেন ‘প্লিজ স্টে অন ইউ উইল রিসিভ দ্য ম্যান অব দ্য ম্যাচ অলসো।’ কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ভুল ভাঙ্গে তার। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, ‘সরি সরি ইটস সাকিবস ... ইউ অলরেডি গট ইওর এ্যাওয়ার্ড। সাকিব প্লিজ কাম ওভার এ্যান্ড রিসিভ ইওর এওয়ার্ড।’
×