ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরবরাহ পাইপ লাইন অক্ষত

চট্টগ্রামে কালভার্টে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে অর্ধ কিমি সড়ক লণ্ড ভণ্ড-

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চট্টগ্রামে কালভার্টে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে অর্ধ কিমি সড়ক লণ্ড ভণ্ড-

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম মহানগরীর সাগরিকা মোড় এলাকায় বুধবার বিকেলে কালভার্টে জমে থাকা গ্যাস আকস্মিকভাবে বিকট বিস্ফোরণে ল-ভ- হয়ে গেছে সড়কের প্রায় অর্ধকিলোমিটার। বিধ্বস্ত হয়েছে একটি কালভার্ট। বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয় দুই পথচারী। ঘটনার আকস্মিকতায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বেশকিছু সময়ের জন্য ব্যাহত হয় যান চলাচল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, সাগরিকা মোড়সংলগ্ন সড়কের নিচের কালভার্টে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেখানে কিছু ওয়েল্ডিংয়ের ওয়ার্কশপও রয়েছে। আগুনের ফুলকি গ্যাসের সংস্পর্শে এসেও এ ঘটনা হতে পারে। যে কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার দৈর্ঘ্য প্রায় ২শ’ ফুট। এর সঙ্গে আরও ৩শ’ ফুটের মতো সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনের সংস্পর্শে দগ্ধ দুই পথচারীর মধ্যে একজনের নাম নাসির উদ্দিন (৫০)। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। অপরজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পাহাড়তলী থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, সেখানে গ্যাসের লাইন থাকলেও তাতে লিকেজের ঘটনা ঘটেনি। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। সাগরিকা থেকে কাজী মসজিদ পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অলঙ্কার থেকে বন্দর পর্যন্ত যে পোর্ট কানেকটিং সড়ক তাতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বাখরাবাদ গ্যাসের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে এ ব্যাপারে তিনি জানান, কালভার্টের কাছাকাছিই তাদের বড় একটি গ্যাস লাইন রয়েছে। তবে এর কোন ক্ষতি হয়নি। যদি সেটিতে কোন লিকেজের ঘটনা ঘটত তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। ময়লা-আবর্জনার কারণে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে বাখরাবাদ গ্যাস কর্মকর্তাদের ধারণা। এদিকে, হঠাৎ বিকট শব্দের এ বিস্ফোরণে সাগরিকা মোড় এলাকা কেঁপে ওঠায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা ভিড় জমায় ওই এলাকায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন।
×