ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

কক্সবাজারের ওসমান গনির জামিন আবেদনের শুনানি ১৫ মার্চ

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কক্সবাজারের ওসমান গনির জামিন আবেদনের শুনানি ১৫ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কক্সবাজারের মহেশখালীর বিএনপি নেতা সালামত উল্লাহ খানসহ ২০ রাজাকারের মধ্যে ওসমান গনির জামিনের আবেদনের ওপর শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ মার্চ। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ২০ রাজাকারের মধ্যে মামলার অন্যতম আসামি ওসমান গনির পক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে আসতে দেরি করেন। আর এ কারণে আসামির জামিনাবেদন খারিজের আরজি করেছেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত। এর আগে সকালে নির্ধারিত সময়ে প্রসিকিউটর ও বিচারপতিরা ট্রাইব্যুনালে এসে পৌঁছালেও আসেননি আসামিপক্ষের কোন আইনজীবী। তবে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর কিছু পর ট্রাইব্যুনালের এজলাশে এসে হাজির হন আসামিপক্ষের আইনজীবী তারিকুল ইসলাম। এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দেরি দেখে আসামি ওসমান গনির জামিন আবেদন নাকচের আরজি জানায় প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত। পরে ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১৫ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ মে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ১৬ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এই মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে কারাগারে থাকা অবস্থায় আসামিদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকি ছয়জন কারাগারে রয়েছেন। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন কক্সবাজারের ছালামতউল্লাহ খান, রশিদ মিয়া, মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবিলা গ্রামের বাসিন্দা মৌলভী নুরুল ইসলাম, মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা মুহুরী ডেইলের বাসিন্দা জিন্নাত আলী এবং ঘরকঘাটা জামায়াতের মৌলভী ওসমান গনি। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মহেশখালী দ্বীপে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব আসামিরা একাত্তরে স্থানীয় শান্তি কমিটির সভাপতি মৌলবী জাকারিয়ার ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি রশিদ মিয়ার সহযোগী ছিলেন। তবে ওই এলাকায় এখনও ৭০ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৩১ জন বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন। বাকিদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। আরও অভিযোগ রয়েছে, একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর একনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন মৌলভী নুরুল ইসলাম ও জিন্নাত আলী। এ মামলার অন্যান্য আসামি হলেন মৌলভী জাকারিয়া শিকদার (৭৮), মোঃ রশিদ মিয়া বিএ (৮৩), অলি আহমদ (৫৮), মোঃ জালাল উদ্দিন (৬৩), মোলভী নুরুল ইসলাম (৬১), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মোলভী আমজাদ আলী (৭০), মৌলভী আব্দুল মজিদ (৮৫), বাদশা মিয়া (৭৩), ওসমান গনি (৬১), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মোলভী সামসুদ্দোহা (৮২), মোঃ জাকারিয়া (৫৮), মোঃ জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী (৫৮) মোলভী জালাল (৭৫) ও আব্দুল আজিজ (৬৮)। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে মোট ঘটনা ১৩টি। এর মধ্যে হত্যার ৯৪টি, নারী নির্যাতন অসংখ্য এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ব্যাপক। মামলায় মোট একশ’ ২৬ জন সাক্ষী রয়েছে।
×