স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ এখন দৃশ্যমান। প্রকল্পের পাইলিংয়ের কাজ ১০ ভাগ শেষ হওয়ার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার রাজধানীর কুড়িল এলাকায় ৮ হাজার ৯শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিপি ভিত্তিতে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি। পরে মন্ত্রী গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য দেখতে বেশ কয়েকটি বাস ও অটোরিক্সায় ঝটিকা অভিযান চালান। এ সময় বাস ও অটোরিক্সায় বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেন যাত্রীরা। ফিটনেসবিহীন গাড়িও জব্দ করেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৮১০টি পাইলের মধ্যে ৮৪টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিমানবন্দর হতে কমলাপুর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হবে রেললাইনের পাশ দিয়ে। তাই নির্মাণকালে জনভোগান্তি কিংবা যানজটের কোন আশঙ্কা নেই। এ বিষয়টি আমরা আগে থেকেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রেখেছি।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। উত্তরায় প্রকল্পের অর্থায়নে ১২শ’ ফ্ল্যাট নির্মাণ করে ক্ষতিগ্রস্ততের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হবে। পুনর্বাসন এলাকায় বিস্তারিত নক্সা তৈরির কাজ এগিয়ে চলেছে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিন ধাপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। এ সময় সেতু বিভাগের প্র্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মদ, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ ফেরদৌস, বিআরটিএ’র পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বিজয় ভূষণ পাল, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইটাল-থাই প্রাঃ লিঃ-এর প্রতিনিধিসহ সেতু বিভাগ এবং এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: