ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিবের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আজ বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিবের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, স্বনামখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক খন্দকার আমিনুল হক বাদশার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। গত বছরের এই দিনে লন্ডনের অর্পিংটন হাসপাতালে তিনি মারা যান। লন্ডন থেকে তার লাশ দেশে এনে স্বজেলা কুষ্টিয়ায় দাফন করা হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক বাদশা ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ষাটের দশকের প্রথমার্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হন। পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করতেন তিনি। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আমিনুল হক বাদশা। ঊনসত্তরে সামরিক শাসক আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এ সময় কারাবরণও করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৬৯ সালে তার প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পান বাদশা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে একদল সেনা সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে আমিনুল হক বাদশা লন্ডনে বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রে নিয়মিত কলাম লেখা ছাড়াও শেষ বয়সে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা করতেন। কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে লন্ডনে নতুন দিন পত্রিকায় ‘বাদশাহী দরবার’ নামে নিয়মিত কলাম লিখতেন। ১৯৭৪ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত লন্ডনে ‘প্রবাসী’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন বাদশা। পরে তিনি লন্ডনে সাপ্তাহিক নতুন দিন, জনমতসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করতেন। বাংলাদেশের দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক বাংলা ও কলকাতার দৈনিক আজকাল-এর লন্ডন প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আমিনুল হক বাদশার পাঁচটি বই রয়েছে। ‘অ্যা কাইন্ড অব ইংলিশ’ নামে একটি ফিল্মসহ কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৪২ সালের ২৮ জানুয়ারি কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন আমিনুল হক বাদশা। কুষ্টিয়া মুসলিম হাই স্কুল, কুষ্টিয়া হাই স্কুল হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন। পরে লন্ডনে সোশ্যাল ওয়ার্কের ওপর ডিপ্লোমা করেন তিনি। টাওয়ার হ্যামলেটসে একজন সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার। আমিনুল হক বাদশার সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয় ১৯৫৭ সালে, দৈনিক আজাদ পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হিসেবে।
×