ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কীট নাশকের ব্যবহারের ফলে খাদ্য আর খাদ্য থাকে না

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কীট নাশকের ব্যবহারের ফলে খাদ্য আর খাদ্য থাকে না

অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও যে উপায়ে খাদ্য উৎপাদিত হচ্ছে তাতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত হচ্ছে না। এমনটাই মনে করেন কৃষি উন্নয়ন কর্মী ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উবিনীগ-এর প্রধান ফরিদা আখতার। উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, পোকামাকড় রোধে কীট নাশকের ব্যবহার, পাকানোর ক্ষেত্রে রং বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে সেটি আর আদতে খাদ্য থাকে না। বাংলাদেশের ঢাকায় আজ আয়োজিত হচ্ছে ‘নিরাপদ খাদ্য’ বিষয়ক একটি সম্মেলন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উবিনীগ এর অন্যতম আয়োজক। সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিয়ে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাতকারে মিস আখতার বলেন, কৃষিজমিতে বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে, অন্যান্য স্থাপনা করতে দেয়া হচ্ছে, খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ করতে দেয়া হচ্ছে। তার মতে, এর মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর স্বার্থই দেখা হচ্ছে। যেভাবে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে সে অনুপাতে উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে কি-না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, খাদ্যের মাধ্যমে এখন অনেক ধরনের রোগ বাড়ছে। মানুষের সংখ্যাই যদি সমস্যা হয় তাহলে কি কীটনাশক বিষ দিয়ে মানুষ মেরে ফেলতে হবে? ফরিদা আকতার বলেন, “এখানে মানুষের সংখ্যার সমস্যা না, আমাদের কৃষি নীতি আসলে বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করছে। আসলে মানুষের সংখ্যাটা এখানে একটি অজুহাত মাত্র”। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এখন এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ তেরি হয়েছে উল্লেখ করে মিস আকতার বলেন, যারা এতদিন উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলছিলেন তারা এখন উপলব্ধি করছেন যে, পরিমাণ বাড়ানোর চেয়ে জরুরি। কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে যতটা না কীট নাশের জন্য নয়, তার চেয়ে বেশি কীটনাশক উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বাড়ানোর জন্য। কীট দমন করার পদ্ধতি কিন্তু কৃষকই জানে সেজন্য কীটনাশকের দরকার নেই” বলে উল্লেখ করেন ফরিদা আখতার। সূত্র : বিবিসি বাংলা
×