ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে ফোন করলেই মিলবে সর্বশেষ সব তথ্য

চালু হলো হজ কল সেন্টার

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চালু হলো হজ কল সেন্টার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে চালু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত হজ কল সেন্টার। মঙ্গলবার রাজধানীর আশকোনা হজ অফিসে দিবারাত্রি এই তথ্য প্রযুক্তি চালুর ফলে দেশের লক্ষাধিক হাজী ছাড়াও দেশে-বিদেশের যে কেউ হজ বিষয়ক যে কোন তথ্যের সর্বশেষ তথ্যাদি পাবেন। ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নাম্বারে ফোন করলেই মিলবে সর্বশেষ সব তথাদি। এতে একদিকে যেমন হাজীদের সার্বিক সুবিধাদি বাড়বে, তেমনি হজ এজেন্সিগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মোয়াল্লেম ফি জমা দিতে বাধ্য করা হবে। তুচ্ছ অজুহাতে বার বার সময় বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করার সুযোগ পাবে না। জানা যায়, বিজনেস অটোমেশন নামক একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নিয়মিত এই কল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করবে। এরই মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির একটি চুক্তিও সম্পাদন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা সাবেক অতিরিক্ত সচিব বজলুল হক বিশ্বাস জানান, হজ যাত্রীরা হজ প্যাকেজসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি সম্পর্কে সঠিক সময়ে অবগত না হতে পারার সুযোগ নিয়ে থাকে মাঠ পর্যায়ের দালালরা। এ কল সেন্টারের মাধ্যমে এখন সব ধরনের তথ্যাদি জেনে যাবে দেশ-বিদেশে যে কোন স্থান থেকে। জানা যায়, গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই এবার দেশব্যাপী একযোগে অনলাইনে আগাম রেজিস্ট্রেশন করার যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাতে অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করবে এই কল সেন্টার। এ জন্য এবারও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ‘বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডকে। এ খাতে আগ্রহী বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট যাচাই করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। সে আলোকেই হজযাত্রী নিবন্ধনসহ প্রয়োজনীয় সব কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজনেস অটোমেশন। জানতে চাইলে হজ অফিসের আইটি বিভাগের ইনচার্জ কবির আল মামুন বলেন, এবার সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা প্রশাসকের অফিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও হাবসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ কাজটি সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যে করার জন্যই কল সেন্টার চালু করা হয়েছে। জানা যায়, এবার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় তাদের তথ্য যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশনের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করা হবে। এজন্য এনআইডি প্রকল্পের সঙ্গে কারিগরি কাজ চলছে। এ পদ্ধতির কারণে এবার ভুয়া নামে হজযাত্রী নিবন্ধনের আশঙ্কা থাকবে না। এছাড়া নিবন্ধন ফি জমার প্রমাণ পেতে ব্যাংকের সঙ্গেও আইটি বিভাগের সংযুক্তি থাকবে। প্রাথমিক কাজ শেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয় বা হজ অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে হজযাত্রী নিবন্ধন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করা হবে। এ সম্পর্কে বজলুল হক বিশ্বাস বলেন, মূলত হজযাত্রীদের নিয়ে যাতে এজেন্সি কিংবা দালাল বাটপাড়রা কোন ধরনের অজুহাত সৃষ্টি করে অর্থ হাতিয়ে নিতে না পারে সেজন্যই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে রেজিস্ট্রেশন চালু হয়ে চলবে মে মাস পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশনের সময় মোয়াল্লেম ফি বাবদ ৩০৭৫২ (ত্রিশ হাজার সাতশ বায়ান্ন) টাকা জমা দিতে হবে। তারপর ব্যালটি ও নন ব্যালটি হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে পুরো প্যাাকেজের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দেবেন। এ পদ্ধতিতে কিছুতেই আর কোটা বা রিপ্লেসমেন্ট বাণিজ্য করার সুযোগ থাকবে না এজেন্সিগুলোর। রেজিস্ট্রেশনের সময় তাকে ক্রমিক নং নাম্বার দিয়ে দেয়া হবে। সে নাম্বার অনুযায়ী তিনি প্রাধান্য পাবেন। যেমন এবার যদি সৌদি সরকার বাংলাদেশের জন্য হজযাত্রী কোটা নির্ধারণ করে ১ লাখ বিশ হাজার। কিন্তু বাংলাদেশে যদি রেজিস্ট্রেশন করে থাকে ১ লাখ ২১ হাজার জন-তাহলে বাকি ১ হাজারের ভাগ্যে কি ঘটবে? কিংবা এই এক হাজার জনকে বাদ দেয়া হবে কোন প্রক্রিয়ায়? এমন জটিলতা এড়াতেই যে ১ হাজার সবার শেষে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ক্রমিকানুযায়ী তারাই বাদ পড়বেন। তাদের পরবর্তী বছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাখা হবে। এ প্রক্রিয়া ইচ্ছে করলেও কাউকে আগপিছ করা যাবে না। কোন তদ্বীরও চলবে না। সফটওয়্যার সিস্টেম সেভাবেই করা হবে, যাতে পরে রেজিস্ট্রেশন ব্যক্তির হজ আইডি অটোমেশনে না আসে।
×