ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চাহিদা বাড়ছে ছোট আকারের নোটবুক আর ট্যাবলেট পিসির

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চাহিদা বাড়ছে ছোট আকারের নোটবুক আর ট্যাবলেট পিসির

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্মার্ট ডিভাইসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশের প্রযুক্তি বাজারে কমেছে পার্সোনাল কম্পিউটার বা ডেস্কটপ পিসির বেচাকেনা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রুতগতির ডেটা ট্রান্সফার সুবিধার পাশাপাশি সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় বাজারে বিক্রি বেড়েছে অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের নোটবুক আর ট্যাবলেট পিসির। যদিও প্রযুক্তি পণ্যের ব্যবসায় লাভের অঙ্ক ক্রমেই কমছে বলেও দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই মুনাফা কমছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। সময়ের পরিবর্তন আর আধুনিক জীবনযাপন, দুটোতেই প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে কম্পিউটারের। এই একটি মাত্র পণ্যকে ঘিরেই সারা বিশ্বে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী প্রযুক্তি বাজার। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশের প্রযুক্তি বাজার বলতেই সবার ধারণা সিপিইউ, মনিটর, মাউস কি বোর্ডসহ কম্পিউটারের নানা যন্ত্রাংশের বেচাকেনা। এসব পণ্যের প্রায় প্রত্যেকটিই বাজারে আসছে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির হাত ধরে। তবে দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রেখেছে চীন। যুগের বিবর্তনে এখন সিআরটি মনিটর আর ঢাউস সাইজের সিপিইউয়ের বদলে অনেকের হাতেই উঠেছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ আর ট্যাবলেট পিসি। এতে একদিকে যেমন খরচ কমছে, অন্যদিকে সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় প্রতিদিন বাড়ছে চাহিদা। কিন্তু বিক্রি বাড়লেও প্রত্যাশা অনুযায়ী মুনাফা অর্জিত হচ্ছে না বলে আক্ষেপ রয়েছে ব্যবসায়ী পর্যায়ে। তবে বাজার পর্যালোচকরা মনে করছেন, ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ কিংবা পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণে এখনও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। যার কারণেই দেশজুড়ে চলছে অসুস্থ ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা। ইসিএস কম্পিউটার সিটি দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সুব্রত সরকার বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া না থাকার কারণে সবাই একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে। কারণ ম্যানুফেকচারারাও সব সময় প্যারালাল ডিস্ট্রিবিউটর দেয়ার চেষ্টা করে। যে কারণে লাভ করাটা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।’ যদিও বছরের শুরুতেই প্রসেসর, মাদারবোর্ড, র‌্যাম, হার্ডডিস্ক, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মনিটর ছাড়াও ল্যাপটপ, ট্যাবের দাম কিছুটা কমায় ব্যবসা ভাল হয়েছে উল্লেখ করে বছরজুড়ে তা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা করছেন তারা। অনলাইনে বিক্রি বাড়ছে ওয়ালটনের পণ্য অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মাত্র তিন মাসের মধ্যেই গ্রাহকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ই-কমার্স সাইট। অনেক গ্রাহক ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে অন-লাইন মাধ্যমকেই বেছে নিচ্ছেন। নগদ অর্থ বহনের পরিবর্তে সহজেই ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা যায়। পাশাপাশি রয়েছে ডিসকাউন্ট এবং শর্তসাপেক্ষে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা। ফলে, গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের ই-কমার্স। সূত্রমতে, গ্রাহকরা ঘরে বসে সহজেই যাতে ওয়ালটন পণ্য ক্রয় করতে পারেন সে উদ্দেশে গত বছরের অক্টোবর মাসে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ই-কমার্স সাইট। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে ই-কমার্স সাইটটির উদ্বোধন করেন। নবেম্বর মাস থেকে এই সুবিধাটি গ্রাহকদের জন্য পুরোপুরি চালু করা হয় । এরপর থেকেই প্রতিমাসে উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ছে ওয়ালটন পণ্যের অন-লাইন সেলসের পরিমাণ। ই-কমার্সের পরিধি আরও বিস্তৃত করতে ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আম্বিয়া বলেন, গ্রাহকদের দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে শীঘ্রই চালু করা হবে অন-লাইন সুবিধা। এটি চালু হলে গ্রাহকরা ঘরে বসেই অন-লাইনের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের পাশাপাশি খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বাজারকেও ওয়ালটনের ই-কমার্স প্রক্রিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
×