ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে ২৮৬ স্কুল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ॥ পরিত্যক্ত ৫৭

প্রকাশিত: ০৪:১১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বাগেরহাটে ২৮৬ স্কুল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ॥ পরিত্যক্ত ৫৭

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ জেলায় ২৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার পরও গত তিন বছর একই অবস্থায় পড়ে আছে। এর মধ্যে ৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে এসব বিদ্যালয়ে শিশুদের বিকল্প ঘরে ক্লাস চলছে। টিনশেড নির্মিত অস্থায়ী ঘরে ক্লাস করার সময় গরমে শিশুদের কষ্ট হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। বাসাবাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তিনতলা ভবনটির কলাম, দেয়ালে ফাটল ধরেছে। এখানে সেখানে পলেস্তরা খসে পড়েছে। কোথাও কোথাও কলামের পলেস্তরা খসে ভেতরের লোহার রড বেরিয়ে এসেছে। বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানা বুলবুল বলেন, ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর এই স্কুল ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই থেকে আমরা শিশুদের জন্য মাঠে টিনশেডের একটি ঘর নির্মাণ করে ক্লাস নিচ্ছি। আর ভবনের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা দাফতরিক কাজ করছি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার সমাদ্দার বলেন, ২০১৩ সালের মে মাসে জেলার নয়টি উপজলায় ২৮৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলগুলোতে টিনশেড দিয়ে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে শিশুদের পাঠদান করা হচ্ছে। তবে গরমের সময় শিশুদের সীমাহীন কষ্ট হয়। ইতোমধ্যে কয়েকটি স্কুলের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান তিনি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, জেলার নয়টি উপজলায় এক হাজার ১২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ২০১৩ সালর মে মাসে ২৮৬টি বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্য রয়েছে সদর উপজেলায় ৩৯টি, ফকিরহাটে ২৯, মোল্লাহাটে ১৯, চিতলমারীতে ১৫, কচুয়ায় ২০, শরণখোলায় ১৬, রামপালে ১২, মংলায় ২৭ এবং মোরেলগঞ্জে ১৭২টি। মুন্সীগঞ্জে শিশু ধর্ষণের শিকার স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের কাজীরগাঁও গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছরের এক শিশু। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কাজিরগাঁও গ্রামের আট বছরের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ওই শিশু রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে খোকার মার্কেট এলাকায় পানি আনতে যায়। এ সময় একা পেয়ে একই গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের বখাটে ছেলে মুক্তার হোসেন মেয়েটিকে মার্কেটের ছাদে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে লম্পট বিল্লাল পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে দ্রুত গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আল-আমিন জানান, মেয়েটিকে প্রাথমিক পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। গজারিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ হেদায়েত-উল ইসলাম ভুইয়া ফোনে সাংবাদিকদের জানান, রবিবার রাতে মেয়েটির মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।
×