ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তিন বছরে ১৫ লাখ কর্মীনেবে মালয়েশিয়া

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

তিন বছরে ১৫ লাখ কর্মীনেবে  মালয়েশিয়া

অনলাইন রিপোর্টার ॥ মালয়েশিয়ার সঙ্গে ‘জি টু জি প্লাস’ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী যাওয়ার সমঝোতা স্মারকের অনুমোদন আজ সোমবার সকালে দিয়েছে মন্ত্রিসভা। জি টু জি (সরকার টু সরকার) প্রক্রিয়ায় কর্মী প্রেরণের প্রচেষ্টা সফল না হওয়ার পরিপ্রক্ষিতে জি টু জি ‘প্লাস’ প্রক্রিয়ায় নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছে। জি টু জি প্রক্রিয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের সুযোগ ছিল না। এর মাধ্যমে আগামী তিন বছরে ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারবে বলে মনে করছে সরকার। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, অভিবাসন ব্যয় ৩৪ থেকে ৩৭ হাজারের মধ্যে হবে। এই ব্যয়ের সবটুকু করবে কর্মী নিয়োগকারী (সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মালিক)। বিদেশে কর্মীদের বেতন পরিশোধ হবে ব্যাংকের মাধ্যমে। এ সমঝোতার প্রেক্ষিতে এক মাসের মধ্যেই কর্মী প্রেরণ শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সরকার। আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন পায়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার ২০১২ সালের সমঝোতা স্মারক এবং ২০১৪ সালের স্মারক বাতিল হয়ে যাবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। শফিউল আলম আরও জানান, এ সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী অভিবাসন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার ‘সোর্স কান্টি’ হিসেবে মর্যাদা পাবে। সোর্স কান্ট্রির মর্যাদার বিষয়ে তিনি বলেন, এর আগে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কর্মীরা শুধু ‘প্ল্যান্টেশন’ (বৃক্ষরোপণ) খাতে কাজ করতে পারতেন। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশি কর্মীরা সেবা খাত, ম্যানুফেকচারিং এবং নির্মাণ খাতে কাজ করতে পারবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় কাজের ক্ষেত্র ব্যাপকভাবে প্রসারিত হলো। তবে, সংশ্লিষ্ট খাতে কাজ করতে হলে কর্মীকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, নারীরাও মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যেতে পারবেন। সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কর্মী নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়া থেকে চাহিদা আসবে। তার প্রেক্ষিতে বিএমইটি’র তথ্য ভাণ্ডারে নিবন্ধিতদের থেকে আগ্রহীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। অভিবাসন ব্যয়ের সবটুকু নিয়োগকর্তা বহন করলেও প্রাথমিক কিছু খরচ অভিবাসন প্রত্যাশীকে বহন করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এদিকে মন্ত্রিসভায় ‘বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন আইন,২০১৬’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করলেও তা অনুমোদন পায়নি। আইনটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে।
×