ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি’, নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ফয়সালার শেষ ওয়ানডে আজ

ম্যাককুলামের জন্যই জিততে চায় কিউইরা

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ম্যাককুলামের জন্যই জিততে চায় কিউইরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ানডে বিদায়ে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামকে ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি’ উপহার দিতে চায় কিউইরা। ১-১ এ চলমান সিরিজে আজকের শেষ ম্যাচটা অঘোষিত ফাইনাল। বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের বদলা নেয়ার পাশাপাশি অধিনায়কের জন্যই আজ জিততে মরিয়া স্বাগতিকরা। পরবর্তী অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন তেমনটাই বলেছেন, ‘এটা ম্যাককুলাম ও দলের সবার জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দীর্ঘদিন আমরা তার অধীনে খেলেছি। বিদায়ী ওয়ানডেতে তাকে জয় উপহার দিতে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চেষ্টাই করব।’ অকল্যান্ডে প্রথম ওয়ানডেতে ১৫৯ রানের বড় জয়ে এগিয়ে যায় কিউইরা। ওয়েলিংটনে ৪ উইকেটের চিত্তাকর্ষক জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাটিতে ভারতের কাছে টি২০ সিরিজ হারের ক্ষতে প্রলেপ বোলাতে স্টিভেন স্মিথের দলও জিততে চায়, সফরকারীরা চায় ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ট্রফি পুনরুদ্ধার করতে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ের আগাম ঘোষণা দেন ৩৪ বছর বয়সী ম্যাককুলাম। এজন্য নিউজিল্যান্ড নির্বাচকদের কাছে নিজের নাম টি২০ বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্তি না করারও আহ্বান জানান তিনি। ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান সিরিজটাই তার শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ। যার অর্থ, আজকের ওয়ানডে শেষেই রঙিন পোশাকের জার্সিটাকে চিরতরে খুলে রাখছেন আধুনিক নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সফল এই ব্যাটসম্যান। এরপর দুই ম্যাচের টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের শেষ। ম্যাককুলাম কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবেই সফল নয়, নেতৃত্ব-ক্রীড়াশৈলীতে তিনি দেশটির ক্রীড়াঙ্গনেরই এক চলমান ‘আইকন।’ গত বছর নিউজিল্যান্ডের বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হন। তার অধীনে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে কিউইরা। ইতোমধ্যে ইংল্যান্ডে কলিন কাউড্রে বক্তৃতার জন্য ডাক পেয়েছেন। সব মিলিয়ে আধুনিক নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের এই ‘আইডল’কে বিদায় বেলায় জয়-ট্রফি, দুই-ই উপহার দিতে চায় কিউইরা। এজন্য নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে মরিয়া উইলিয়ামসন-ট্রেন্ট বোল্টরা। ২০০২ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমন ম্যাককুলামের। এ পর্যন্ত ২৫৯ ম্যাচে করেছেন ৬০৩৬ রান। সেঞ্চুরি ৫ ও হাফসেঞ্চুরি ৩২। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন কেবল ড্যানিয়েল ভেট্টরি ও স্টিফেন ফ্লেমিং। রান সংগ্রহে ফ্লেমিং ও নাথান এ্যাস্টলের পর তৃতীয় স্থানে ম্যাককুলাম। ধুরন্ধর ব্যটিং, বিচক্ষণ নেতৃত্বে কিউই ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় তুলে এনেছেন ডুনেডিনে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটার। যার ওপর দাঁড়িয়ে উইলিয়ামসনের মতো তরুণরা আজ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। কিংবদন্তিতুল্য এমন এক ক্রিকেটারের বিদায়টা রাঙিয়ে দিতে প্রস্তুত হ্যামিল্টন, প্রস্তুত নিউজিল্যান্ড। তবে কাজটা সহজ হবে না। কারণ দ্বিতীয় ম্যাচে চিত্তাকর্ষক জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়া। ২৮১ রানের জবাবে ৪৬.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্মিথবাহিনী। বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ঘুরে দাঁড়ানোর ‘নায়ক’ মিচেল মার্শ। ভাল ব্যাট করেছেন ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত মারকাটারি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর ফিরে ৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন উসমান খাজা। সঙ্গে স্মিথ, জর্জ বেইলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল জ্বলে উঠলে কী হতে পারে সেটা অনুমেয়। নিউজিল্যান্ডের অনুপ্রেরণা সাম্প্রতিক সাফল্য। ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করার পর এই সিরিজেও শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। অকল্যান্ডের প্রথম লড়াইয়ে ৩০৭ রান করার পর প্রতিপক্ষকে ১৪৮Ñএ গুড়িয়ে দিয়েছিল ম্যাককুলামের দল! ফর্মের তুঙ্গে মার্টিন গাপটিল, উইলিয়ামসন, গ্র্যান্ট ইলিয়ট, বোল্টরা।
×